
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে পৌঁছেই উচ্ছ্বাসে ভাসলেন ফিলিপাইনের সুন্দরী আহতিসা মানালো। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গত রোববার দেশটিতে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে তার আগমন ঘিরে হাজারো ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন। তাদের হাতে ছিল ফিলিপাইনের পতাকা। কারও হাতে প্রিয় রানির প্রতিকৃতি।
মিস ইউনিভার্স আয়োজক কমিটির নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক আগমনের দিন ছিল ২ নভেম্বর। যদিও বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী এরআগেই পৌঁছেছিলেন। তবে আহতিসার আগমনেই সর্বাধিক উচ্ছ্বাস দেখা গেল। ভক্তদের উল্লাসে মুখর হয়ে ওঠে পুরো বিমানবন্দর এলাকা। ফিলিপাইন মিস ইউনিভার্স সংগঠনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা হয়, ?‘ভালোবাসা ও সমর্থনে আমরা অভিভূত। এই মুহূর্তটি ফিলিপিনোদের গর্বের প্রতীক।’
২৮ বছর বয়সী আহতিসা এদিন পরেছিলেন আধুনিক ঢঙে তৈরি ঐতিহ্যবাহী থাই পোশাক। সাদা সূচিকর্ম করা ব্লাউজে এক কাঁধে সোনালি ওড়না, সঙ্গে ঢিলেঢালা পায়জামা। এই লুক আয়োজক দেশের সংস্কৃতির প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ফিলিপাইনের নিনয় অ্যাকুইনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাতে ভক্তরা জড়ো হয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহতিসা লিখেছেন, ‘ফিলিপাইন, এই চমৎকার বিদায়ের জন্য ধন্যবাদ।’
এবারের আসরে ফিলিপাইন পঞ্চমবারের মতো মুকুট জয়ের আশায় রয়েছে। এরআগে দেশটির চার সুন্দরী মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছিলেন। তারা হলেন গ্লোরিয়া দিয়াজ (১৯৬৯), মারজি মোরান (১৯৭৩), পিয়া উরৎজবাখ (২০১৫) ও ক্যাটরিনা গ্রে (২০১৮)।
চলতি বছরের প্রতিযোগিতাটি হবে মিস ইউনিভার্স ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আসর। সেখানে অংশ নিচ্ছেন ১২০টিরও বেশি দেশের প্রতিযোগী। আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডেই অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব। আহতিসা মানালো এরইমধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রতিযোগী হিসেবে উঠে এসেছেন। লাখ লাখ ফিলিপিনোর প্রত্যাশা, এই বছর আবারও তাদের দেশেই ফিরে আসবে বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট।