ওসমান হাদিকে হারিয়ে রুপালি অঙ্গনে শোক
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি আর নেই। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন হাদি। টানা ৬ দিনের মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে হার মানলেন এই সাহসী তরুণ নেতা। হাদির এই আকস্মিক মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। হাদির মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সামাজিকমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়ে শোক ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় তারকারা।
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে নিজের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘শহিদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের সিয়াম আহমেদ ওসমান হাদি ও তার শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক হাদির মৃত্যুতে মর্মাহত হয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। নামটা মনে রেখো, শহিদণ্ডবীর শরীফ ওসমান হাদি।’
পরবর্তীতে একটি দীর্ঘ পোস্টে নানা সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কথা ও প্রশ্ন তোলেন এই অভিনেত্রী। লেখেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের ওপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হয়ে পারে? যে বাকস্বাধীনতার জন্য, এতো আন্দোলন, এতো স্লোগান- আজ সেই স্বাধীনতা কোথায় দাঁড়িয়ে? ভিন্নমত মানেই কি শাস্তি? প্রশ্ন করাই কি অপরাধ? আজ হাদি, কাল কে? এই প্রশ্নটা এখনই, নিজেদের ভেতরে ফিরে তাকিয়ে করার সময়। আমি হাদিকে কোনোদিন সামনাসামনি দেখিনি। ওনার সাথে আমার কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আমি যুক্ত নই। তবুও আজ মনটা কেমন ছটফট করছে, একটা গভীর অস্বস্তি।’ শেষে উল্লেখ করেন, শরীফ ওসমান হাদি (১৯৯৩-ইনফিনিটি)
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তার শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তার ছোট্ট বাচ্চাকে।
ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত¡না দেন। তিনি যেই হোন না কেন, আমরা এমন একটা ভবিষ্যৎ চাই যেখানে রাজনীতি হবে ভালো, মানবিক আর দায়িত্বশীল, যেখানে মানুষের জীবনের মূল্য সবার আগে। এভাবে প্রাণ ঝরে যাওয়া কখনোই স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া উচিত না।’
