নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত ভোজ্যতেল সয়াবিন। এ পণ্যটি কিনতে ক্রেতার নাভিশ্বাস চরমে পৌঁছেছে। ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণে অনেকে আবার বিকল্প পথ খুঁজছেন। তারপরও যারা এ পণ্যটি না কিনেই পারছেন না, তাদের বাজারে কিংবা দোকানে দোকানে ছুটতে হচ্ছে। কিন্তু গত ক’দিনে দোকানেও ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে সয়াবিন তেল বলতে গেলে ‘নাই’ হয়ে গেছে। মোটা দাগে অনেকেই বলছেন, বাজার থেকে ভোজ্যতেল উধাও। শুধু বাজার থেকে নয়, সয়াবিন তেল উধাও সুপার শপগুলো থেকেও। বাজারে সয়াবিন তেলের পাশাপাশি সানফ্লাওয়ার অয়েল তথা সূর্যমুখী ফুল বীজের তেলের দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সরিষার তেলের দামও। কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন দোকানে দেখা যায়, অলইটালিয়া ব্র্যান্ডের সূর্যমুখী তেলের পাঁচ লিটারের দাম ১ হাজার ৮৭৫ টাকা। পাঁচ লিটারের সেফের সূর্যমুখী তেল ১ হাজার ২২০, কিংসের ১ হাজার ২২০ এবং অলিয়া ব্র্যান্ডের তেল ১ হাজার ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এসিআইয়ের রাইস ব্র্যান্ড অয়েলের পাঁচ লিটার ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের অলিভ অয়েল ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রয়েল ব্র্যান্ডের একই তেলের চার লিটার বেচা হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়। কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানগুলোতে সয়াবিন তেলের পরিবর্তে দেখা গেছে সরিষার ও সূর্যমুখী তেলের বোতল। প্রতি লিটার সূর্যমুখী তেল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩৪০ টাকার মধ্যে।
এ বাজারের আলী স্টোরের বিক্রেতা জসিম উদ্দিন জানান, ঈদের পর কোনো কোম্পানির ডিলার তেল দিতে আসেনি। আগে ডিলাররা দোকানে দোকানে তেল দিয়ে যেতেন। তবে শুক্রবার সকালে টিকে গ্রুপের পুষ্টি ব্র্যান্ডের ১০ বোতল তেল হাতে পেয়েছেন। দোকানে তোলার সঙ্গে সঙ্গে সেই তেল বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
বেশ ক’দিন বন্ধ থাকার পর সকাল থেকে পুষ্টি ব্র্যান্ডের কিছু বোতলজাত তেল বিপণন শুরু করেছিল কারওয়ান বাজারের অন্যতম ডিলার ও পাইকারি বিক্রেতা আঁখি স্টোর। দোকানের একজন পরিচালক জানান, সরবরাহ না থাকার কারণে তারা পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের তেল দিতে পারছিলেন না। শুক্রবার পুষ্টির কিছু তেল পেয়ে তা বিতরণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন তাদের দোকান থেকে পাঁচ হাজার পিস ভোজ্যতেলের কার্টন বিক্রি হয়। সেখানে শুক্রবার পুষ্টি কোম্পানি ২০০ কার্টন দিয়েছে। তীর, বসুন্ধরা, ফ্রেশ, রূপচাঁদা কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো পণ্য দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবার পর্যন্ত কোম্পানির বেঁধে দেওয়া দাম ৭৪০ টাকায় (৫ লিটার) তেল বিক্রি করেছেন। এর আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু মিল মালিক জানিয়েছিলেন, সরকার নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি করে আমদানি ও পরিশোধন ব্যয় মেটানো যাচ্ছিল না। তারপরই মিল মালিকরা মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেন।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। কারসাজিদের চক্রান্তের কারণে অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যটি উধাও হয়েছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী-সচিবের সঙ্গে বসে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তা গতকাল থেকে কর্যকর হয়। কিন্তু শনিবারের আগেই গত শুক্রবার থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে কিংবা অধিকাংশ দোকানে তেমন পাওয়া যায়নি বোতলজাত তেল। দু-এক জায়গায় গোপনে নতুন দামের চেয়ে অনেক বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তেলের জন্য দোকান থেকে দোকানে ঘুরছেন ক্রেতা। এদের বেশিরভাগই হতাশ হয়ে ফিরছেন শূন্য হাতে। এদিকে মিল মালিকদের দাবি অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের দাম সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাবে সায় দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নতুন দাম বেঁধে দেওয়ার পরও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বাজারে পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেল নেই। এক ও দুই লিটারের বোতলও প্রায় নেই বললেই চলে। দু-একটি দোকানে খোলা ও এক লিটারের বোতলজাত তেল মিললেও দাম আকাশছোঁয়া। শুক্রবার বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে অনেক বেশিতে বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের মতে, কিছু অসাধু মিল মালিক, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আরও লাভের আশায় নতুন করে দাম বেঁধে দেওয়ার পরও চক্রটি বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। ফলে দাম বেড়েই চলেছে। গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর সিপাহিবাগ বাজার, খিলগাঁও রেলগেট বাজার ও মালিবাগবাজারে গিয়ে কোনো দোকানে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। কয়েকটি দোকানে দুই লিটারের বোতল পাওয়া গেলেও দাম ৪১০-৪৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। খোলা সয়াবিন ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বোতলজাত প্রতিলিটারের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। এই দাম গতকাল শনিবার থেকে কার্যকর হয়। নতুন দাম অনুযায়ী ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হবে ৯৮৫ টাকায়। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১ লিটার ১৮০ টাকা ও পাম তেল ১ লিটার বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়।
এদিকে ভোজ্যতেল নিয়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক। গত শুক্রবার নিউমার্কেট ও লালবাগ এলাকায় সয়াবিন তেল নিয়েই বাজারে যত আলোচনা, কথা কাটাকাটি আর তর্ক। নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও লালবাগের দোকানগুলোতে আগে থেকেই মজুত রাখা সয়াবিন তেলও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তেল নতুন না পুরোনো সেটি বিষয় না, দাম বেড়েছে তাই দাম বেশি রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে তেল সরবরাহে অবনতি হওয়ার কারণে এই দাম বেড়েছে। ওই সময় থেকেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও সবশেষ তেলের বাজারে বড় ধাক্কা লাগে ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রফতানি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে। এ ঘটনার আগে ১৩০ টাকায় ভালো পাম অয়েল মিলত বাজারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে তেল কিনতে গিয়ে যাতে ক্রেতার ভোগান্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নির্ধারিত দামে যাতে তেল কিনতে পারে সেজন্য তদারকি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি যারা তেল নিয়ে কারসাজি করছে চিহ্নিত হলে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, মিল পর্যায় থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে ক’দিনের বাজার তদারকি করতে গিয়ে দেখেছি-খুচরা বিক্রেতারা তেল অবৈধভাবে মজুত করেছেন। তারা দোকানে দৃশ্যমান জায়গায় তেল রাখছেন না। এতদিন বেশি দামে বিক্রির আশায় দোকানের পেছনে বা বস্তায় ভরে তেল মজুত করেছেন। অভিযানকালে তারা তা হাতেনাতে ধরে শাস্তির আওতায় এনেছেন। তবে এবার যেহেতু নতুনভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে এই দরে তেল বিক্রি হচ্ছে কি না তা তারা তদারকি করছেন। অনিয়ম পেলেই সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।
রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি তেল বিক্রেতা আব্দুল হাকিম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য কয়েক মাস ধরে দেশে তেলের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। তবে এই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার সয়াবিন ও পাম অয়েল আমদানির ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। পাশাপাশি উৎপাদন পর্যায়েও ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করেছে। সঙ্গে বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তি থাকলেও এই সুযোগ পাওয়ার পরও দেশে তেলের দাম বাড়ার কথা নয়।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো জানান, রোববার ব্যাংক খোলার পর টাকা জমা দিয়ে নতুন তেল সংগ্রহ করা যাবে। তিনি বলেন, এর আগ পর্যন্ত বর্তমানে যে সংকট চলছে তা পুরোপুরি কাটবে না। তবে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আমার ধারণা।
সয়াবিন তেল উধাও সুপার শপগুলো থেকেও : নিত্যপ্রয়োজনীয় এ ভোজ্যতেলটি শুধু বাজার কিংবা পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে উধাও হয়নি। হয়েছে সুপার শপ থেকেও। গতকাল শনিবার সুপার শপের এমন চিত্র উঠে এসেছে। সুপারশপ স্বপ্ন, মিনা বাজার, আগোরা, প্রিন্স বাজারসহ অন্যান্য সুপারশপেও ভোজ্যতেলের দেখা মিলছে না। সুপারশপ মিনাবাজারের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে ফোন করে তেলের বিষয়ে জানতে চাইলে সেখান থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটির কোনো শাখাতেই সয়াবিন তেল নেই। সুপার শপ প্রিন্স বাজার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির চারটি শাখার কোথাও সয়াবিন তেল নেই। চাঁদ রাতের আগেই প্রতিষ্ঠানটির কাছে থাকা সব তেল বিক্রি হয়ে গেছে। এরপর আর তেল কোম্পানির থেকে তেল পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। স্বপ্ন সুপার শপের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা হলে কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ আরমান বলেন, ‘দুঃখিত, আমার কোনো শাখাতেই সয়াবিন তেল নেই। স্টক আউট দেখাচ্ছে।
সরিষার তেলের দামও বেড়েছে : গত এক মাসে সরিষার তেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ৬৫ টাকা। সয়াবিনের দাম বাড়ানোর পর এই তেলের দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়েও দেশে খোলা সরিষার তেল বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। দুই বছরের ব্যবধানে সে দাম দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। এদিকে ঈদের আগে থেকেই বোতলজাত সরিষার তেল ৩৬০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শনিবার খোলা সরিষার তেল ২৯০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হয়। আজ রোববার থেকে প্রতি লিটার সরিষার তেলের জন্য ক্রেতাকে দাম গুনতে হবে ৩৫০ টাকা। এদিকে সাভার নামাবাজার এলাকার ঘানি থেকে পাওয়া তথ্য মতে, প্রতি লিটার মেশিনে ভাঙা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। আর গরুর ঘানিতে ভাঙা তেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা লিটার দরে। তারাও দর বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, সরিষার দাম বাড়ার কারণে সরিষার তেলের দাম বেড়েছে। মার্চে সরিষার দাম ছিল ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা মণ। যা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। বর্তমানে প্রতি মণ সরিষার দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা হারে। মিল মালিক ও আমদানিকারকরা জানান, বিশ্ববাজারে প্রতিটন সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৮০০ ডলারে উঠেছে। এখন কিছুটা কমলেও ১ হাজার ৬০০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটের সঙ্গে জাহাজ ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বেড়েছে। ফলে সবকিছু বিবেচনা করে দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
কম সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার : কম সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করছেন ব্যবসায়ীরা। দোকানিরা কোম্পানির পক্ষ থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করলেও তা মানছেন না দেশে ভোজ্যতেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেশি হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বাজারে সয়াবিন তেলের কোনো ঘাটতি নেই। ঈদের আগে তেলের সংকটের কোনো কারণ ছিল না। তারা তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছেন। জানা গেছে, ঈদের ছুটির কারণে মাঝখানে তেল সরবরাহ বন্ধ ছিল। এখন নতুন মূল্য ঘোষণা হয়েছে। গতকাল শনিবার থেকে আবার সরবরাহ শুরু হয়।