বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপ নির্দিষ্ট করতে হবে। সব পরিবর্তন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরও আমরা বলতে চাই, তাদের যে মূল দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের ফেলে যাওয়া দলবাজ উচ্ছিষ্ট প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্রের কাছে এ সরকার মাঝে মাঝে অসহায় বোধ করছে। তাদের এই ছোট ছোট ঝড়যন্ত্র এক সময় মহা বিপদ ডেকে আনবে। তাই এদের অপসারণ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র ও দেশে উন্নয়নের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে। এই সরকারের প্রতি সেদিনও আমাদের সমর্থন ও আস্থা ছিল, আজও আছে। আমাদের আস্থাকে প্রশ্নহীন রাখার চ্যালেঞ্জ কিন্তু তাদেরই নিতে হবে। স্বৈরাচার পতনের এই মহা সময়ে দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা, কৃষক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের মানুষের অবদানকে যদি আমরা মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে ১৬ বছরের স্বৈরাচারী হাসিনার গুম, খুন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার জনতার অবদানকে যদি স্বীকৃতি দিতে না পারি, তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় নিহত ঝিনাইদহের সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিবুল হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এ গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব রনক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোমেনুজ্জামান সোমেন প্রমুখ।