সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর মৃত্যু

রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হাসপাতালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ছেলে মাহী বি. চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবা রাত ৩টা ১২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল শনিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়। শোকবার্তায় মো. সাহাবুদ্দিন মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সদ্য প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায় উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বাদ জোহর বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার ৮ নম্বর সড়কে অবস্থিত বায়তুল আতিক জামে মসজিদে। গতকাল শনিবার বি. চৌধুরী প্রেস সচিব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টায় শ্রীনগর স্টেডিয়ামে তৃতীয় নামাজে জানাজা এবং বাদ জোহর গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দয়হাটায় চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।