বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী, আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মমণ্ডনির্যাতন করেছেন ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা।
গতকাল প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সব মামলা প্রত্যাহার ও দৈনিক দিনকালের প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে দেশে আসার ব্যবস্থার দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। ১৯৭১ সালে জাতীয় বীর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তখন বেগম খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীর কারাগারে ছিলেন।
আর যারা স্বাধীনতার কাণ্ডারি দাবি করে তারা হয় পাকিস্তানের জেলে ছিল আর বাকিরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আরাম আয়েশে ছিল। আর বেগম খালেদা জিয়া তার দুটো বাচ্চা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জেলে ছিলেন। আজ পর্যন্ত তিনি শত শত মামলা মাথায় নিয়ে আছেন। কীসের জন্য? দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষার জন্য। এই মানুষটা তার পুরো জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছেন দেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র জন্য। দেশের মানুষের অধিকার এর জন্য। বেগম খালেদা জিয়া এদেশের নারীদের জন্য যা করেছেন পৃথিবীর আর কোনো দেশে কেউ এ রকম করেনি। তিনি কৃষকদের ঋণ মওকুফ করেছেন। সারের দাম কমিয়েছিলেন। তিনি দেশের জন্য যা করেছেন, অন্য কোনো সরকার আজ পর্যন্ত কেউ তা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আমাদের তারেক রহমান তার পুরো তারুণ্য দেশ থেকে বাইরে গিয়ে কাটাতে হয়েছে। তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় মিডিয়াতে তার বক্তব্য প্রচার করতে দেয়নি। অথচ ওনাদের দুজনের মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। বিএনপির এই নেতা বলেন, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা যত হামলা মামলা গুম এর শিকার হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো রাজনৈতিক দল এর শিকার হয়নি। তাদের একটা মামলাও প্রত্যাহার হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে যেমন হাজিরা দিত হত, এখনো দিতে হচ্ছে। আমাদের অনেক নেতা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ফাঁসির আসামি হয়ে জেলে আছে। আপনি গণতন্ত্র চাইবেন আর গণতন্ত্রের সৈনিকদের জেলে রাখবেন। তাদের মাথার ওপর মামলা রাখবেন এটা তো হয় না। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংস্কার করেন কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়া ঠিক হবে না। বাংলাদেশের মানুষ সময় দেয় কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষা নিলে তাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। আপনারা ৩, ৬, ৯ মাস সময় নেবেন নেন; কিন্তু কীভাবে কী করবেন, সেটার একটি রোড ম্যাপ প্রকাশ করেন। যাতে আমরা জানতে পারি এই সময়ে এই হচ্ছে। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নাজিমুদ্দিন আলম, আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, কৃষক দল নেতা এসকে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও, আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।