ভোট কারচুপির সহায়তাকারী ডিসিরা অধরা
একাদশ-দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ফারুক আলম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনে পদাধিকারবলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে এবং ভোট কারচুপির চরম অভিযোগ ওঠে। এরপরও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অনুষ্ঠিত নির্বাচন স্থগিত কিংবা বাতিলের উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো নিজেদের আমলনামা ঠিক রাখতে ডামি নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন, এতে সারা দেশে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মহা উল্লাসে মেতে ওঠে। বিতর্কিত নির্বাচন কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেও তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যারা মাঠ প্রশাসনে ডিসির দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের আমলনামা আগেভাগে সংগ্রহ করেছিলেন আওয়ামী লীগের আর্শিবাদপুষ্ট কিছু গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ এই কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখে গোয়েন্দা সংস্থা। এর ভিত্তিতেই ঠিক করা হয় নির্বাচনে কোন কোন কর্মকর্তাদের ডিসির দায়িত্বে পেলে আওয়ামী লীগের ভালো হয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলে দিনের ভোট রাতে ও ভোটবিহীন নির্বাচনের মতো বিতর্কিত কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটের আগের রাতেই কারচুপির ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কার্যক্রমে মূল ভূমিকা পালন করেছেন প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে ডিসি কর্মকর্তারা। ৫৭ জন ডিসির নাম সামনে এসেছে, যারা এই প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তৎকালীন সময়ের ভোট কারচুপিতে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের আয়কর নথি যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
বরাবরের মতো গত বছরের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত ‘ডামি নির্বাচন’র মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে টিকতে পারেননি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। মাত্র সাত মাসের মাথায় ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে তীব্র জনরোষে পতন হয় তার দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তিনি পালালেও তাকে টিকে রাখার জন্য সেসব ডিসি দায়িত্ব পালন করেছেন তারা প্রশাসনে দাপিয়ে পেড়াচ্ছেন। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ (১) ধারায় (রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ) বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় প্রশাসনের সর্বত্রে দলীয়করণ করেছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার একাদশ নির্বাচনের কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ওএসডি করেছে। কয়েকজনকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যেসব কর্মকর্তা চাকরিবিধি ও আইন লঙ্ঘন করে ভোট কারচুপিতে জড়িত ছিলেন, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের।’ তবে কীভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে তা স্পষ্ট করেননি উপদেষ্টা।
প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণের পেছনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যারা ওই সময়ে ডিসির দায়িত্ব পালন করেছেন তারা দায় এড়াতে পারেন না। ডিসিরা পদোন্নতি এবং প্রাইজ-পোস্টিংয়ের লোভের আশায় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হলেও সেদিকে বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা বোধ করেননি। রাতে ভোট সম্পন্ন করা ডিসিরা দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তারা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ফ্যাসিবাদীদের সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন।
অতীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভোটের পার্থক্য ১৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকলেও একাদশে ছিল ৬৪ শতাংশ। ব্যতিক্রম ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। জেলার দুটি আসনে বিএনপি জয়ী হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এ জেডএম নুরুল হক এখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব। তিনি বলেছেন, সারা দেশে যা-ই হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমার নাম নষ্ট করিনি। কখনো লক্ষ্মীপুর-১ আসনে পরাজিত না হওয়া বিএনপি সেখানে ২ দশমিক ০২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। একাদশের মতোই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোটের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণ করেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিনের ভোট আগের রাতে করা চাঁদপুরের ডিসি মো. মাজেদুর রহমান খানকে শিল্প মন্ত্রণালয়ে, দিনাজপুরের ডিসি মো. মাহমুদুল আলমকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড, নীলফামারীর ডিসি নাজিয়া শিরিনকে ওএসডি, লালমনিরহাটের ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আরিফকে অতিরিক্ত সচিব হিসাবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে, কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভিনকে যুগ্মসচিব হিসাবে পরিকল্পনা বিভাগে, গাইবান্ধার ডিসি মো. আবদুল মতিনকে পরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে, জয়পুরহাটের ডিসি জাকির হোসেনকে বাংলাদশ কুটির শিল্প করপোরেশনে। বগুড়ার ডিসি ফয়েজ আহাম্মদকে অতিরিক্ত সচিব হিসাবে বিদ্যুৎ বিভাগে, সিরাজগঞ্জের ডিসি কামরুন নাহার সিদ্দিকাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে, মেহেরপুরের ডিসি মো. আতাউল গনিকে পরিচালক হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গার ডিসি গোপাল চন্দ্র দাসকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে, যশোরের ডিসি মো. আব্দুল আওয়ালকে মিনিস্টার (লেবার) পদে আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে, মাগুরার ডিসি মো. আলী আকবরকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে, নড়াইলের ডিসি আনজুমান আরাকে ওএসডি, বাগেরহাটের ডিসি তপন কুমার বিশ্বাসকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে, সাতক্ষীরার ডিসি এসএম মোস্তফা কামালকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে, বরগুনার ডিসি কবীর মাহমুদকে পরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে, ঢাকার ডিসি আবু ছালেহ মো. ফেরদৌস খানকে পরিকল্পনা বিভাগে, জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরকে ওএসডি, ময়মনসিংহের ডিসি ড. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাসকে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে, নেত্রকোনার ডিসি মঈনউল ইসলামকে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে, গাজীপুরের ডিসি ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে নির্বাহী সদস্য বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে, নারায়ণগঞ্জের ডিসি রাব্বী মিয়াকে ওএসডি, রাজবাড়ীর ডিসি মো. শওকত আলীকে মহাপরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও কারিগরি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ কেন্দ্র (ব্যান্সডক), গোপালগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারকে অতিরিক্ত সচিব হিসাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। শরীয়তপুরের ডিসি কাজী আবু তাহেরকে যুগ্মসচিব হিসাবে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে, মৌলভীবাজারের ডিসি মো. তোফায়েল ইসলামকে নিবন্ধক হিসাবে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস, হবিগঞ্জের ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি হায়াত-উদণ্ডদৌলা খানকে পরিচালক হিসাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড, ফেনীর ডিসি মো. ওয়াহেদুজ্জামানকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, নোয়াখালীর ডিসি তন্ময় দাসকে ওএসডি, খাগড়াছড়ির ডিসি মো. শহিদুল ইসলামকে নির্বাহী পরিচালক হিসাবে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদে, রাঙামাটির ডিসি একেএম মামুনুর রশিদকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এবং বান্দরবানের ডিসি মোহাম্মদ দাউদ ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার ডিসি মো. আসলাম হোসেন পরিকল্পনা কমিশনে, সাতক্ষীরার ডিসি এসএম মোস্তফা কামাল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে, বান্দরবানের ডিসি মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে, নাটোরের সাবেক ডিসি শাহরিয়াজ ওএসডি, শরিয়তপুরের ডিসি কাজী আবু তাহের নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে, চাঁপাইনবাগঞ্জের ডিসি এজেডএম নূরুল হক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। রাজশাহীর ডিসি এস এম আব্দুল কাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে, পাবনার ডিসি মো. জসিম উদ্দিন ওএসডি, ঝিনাইদহের ডিসি সরোজ কুমার নাথকে ওএসডি, খুলনার ডিসি মোহাম্মদ হেলাল হোসেনকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে, পটুয়াখালীর ডিসি মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড, ভোলার ডিসি মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিককে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে, বরিশালের ডিসি এসএম অজিয়র রহমানকে পানি উন্নয়ন বোর্ডে, ঝালকাঠির ডিসি মো. হামিদুল হককে তথ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিসংখ্যান বিভাগে, পিরোজপুরের ডিসি আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে, শেরপুরের ডিসি আনার কলি মাহবুবকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে, কিশোরগঞ্জের ডিসি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীকে কিশোরগঞ্জ-মিঠামইন উড়াল সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি)। মানিকগঞ্জের ডিসি এসএম ফেরসৌদকে ওএসডি, মুন্সীগঞ্জের ডিসি সায়লা ফারজানাকে ওএসডি, নরসিংদীর ডিসি সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনকে সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে, ফরিদপুরের ডিসি উম্মে সালমা তানজিয়াকে ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য, মাদারীপুরের ডিসি মো. ওয়াহেদুল ইসলামকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, সুনামগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদকে রাজউকে, সিলেটের ডিসি এম কাজী এমদাদুল ইসলাম সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে, কুষ্টিয়ার ডিসি মো. আসলাম হোসেনকে পরিকল্পনা বিভাগে, লক্ষ্মীপুরের ডিসি অঞ্জন চন্দ্র পালকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের ডিসি ইলিয়াস হোসেন ওএসডি, কক্সবাজারের ডিসি মো. কামাল হোসেনকে পরিচালক বিডা, কুমিল্লার ডিসি আবুল ফজল মীরকে পরিচালক হিসাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, বাগেরহাটের ডিসি তপন কুমার বিশ্বাসকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে, নওগাঁর ডিসি মো. মিজানুর রহমানকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, রংপুরের ডিসি এনামুল হাবীবকে অতিরিক্ত সচিব হিসাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে, টাঙ্গাইলের ডিসি মো. শহীদুল ইসলামকে ওএসডি, ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি ড. কে এম কামরুজ্জামানকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে এবং পঞ্চগড়ের ডিসি সাবিনা ইয়াসমিনকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) সভাপতি ড. আনোয়ার উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, দিনের ভোট রাতে করা ডিসিরা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে উলটো স্বৈরাচারকে সহায়তা করেছে। ডিসিরা নির্বাচনে জাল-জালিয়াতিতে সহায়তা করেছেন। তারা অপরাধের প্রতিবাদ করেননি। বরং অন্যায়কে সমর্থন করেছেন। এসব অপকর্ম করে তারা স্বৈরাচারী সরকারের কাছে থেকে পুরস্কার নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে বিচারের আওতায় আনা উচিত। বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, স্বৈরাচারের ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে সহায়তাকারী ডিসিরা দেশদ্রোহী অপরাধ করেছে। তাদের প্রশাসন থেকে অপসারণ ও গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।