আমদানি করা তাজা ফলের উপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।
অন্যথায় ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্থল ও নৌবন্দর দিয়ে আমদানি করা তাজা ফল খালাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাদামতলীতে ফলের ওপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এমন দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা। ফল আমদানিকারকরা বলেন, আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তাজা ফলের ওপর শুল্ক দিতে বাধ্য করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের, যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। আবার দাম বাড়ার ফলে আমদানি করা ফলের বিক্রিও অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কঠোর সমালোচনা করে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। নেতারা বলেন, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে বর্ধিত কর প্রত্যাহার করা না হলে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্থল ও নৌবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত তাজা ফল খালাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ফারুক সিদ্দিকী বলেন, সম্পূরক শুল্কের কারণে তাদের ব্যবসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না, প্রতি চালানে ‘আর্থিক লোকসানে’ পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন বিগত সময়ে প্রতি ট্রাক ফল যেখানে একদিনে বিক্রি করা সম্ভব ছিল, এখন ৩-৪ দিনেও বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পোর্ট থেকে পণ্য খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার শিপিং ও পোর্টে ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে। তাই সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না করলে মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের সব স্থল ও নৌ বন্দর হতে আমদানিকৃত তাজা ফল খালাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে সরকার। ফারুক সিদ্দিকী বলেন, দেশে ফল উৎপাদন হয় চাহিদার ৩৫-৪০ শতাংশ। বাকি ৬০-৬৫ শতাংশ তাজা ফল বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সাধারণত ব্যবসায়ীরা ব্যাংক লোনের মাধ্যমে ব্যবসা করেন। বর্তমানে ব্যাংকের সুদ হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মূল্যস্ফিতি ও ডলারের মানও উচ্চ পর্যায়ে। এ অবস্থায় তাজা ফলের ওপর বর্ধিত শুল্ক আরোপ হঠকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছু না।’ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে তারা স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেক ফল আমদানি করতে পারছেন, এর মধ্যে বিক্রি হচ্ছে ২০ শতাংশ। ফলতো বিলাস পণ্য না, এটা পথ্য। আমি ব্যবসাটা করতে পারতেছি না, আমি টাকাটা কই পাব? চাহিদা না থাকলে এনে কী করব? সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করলে আপাতত ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে পারব?