একুশের চেতনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার দিন। ভাষার জন্য জীবন দেয়া শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা তখনই জানানো হবে, যখন আমরা আমাদের

ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে যথাযথভাবে লালন করব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি সত্যিই ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করতে পেরেছি? আজও আমরা দেখি, উচ্চশিক্ষা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই বাংলা ভাষার ব্যবহার সীমিত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলা ভাষা চর্চার যথাযথ সুযোগ নেই। অনেক ক্ষেত্রেই ইংরেজি ভাষার প্রতি অতি নির্ভরশীলতা আমাদের মাতৃভাষাকে পিছিয়ে দিচ্ছে। অথচ ভাষার জন্য যে জাতি জীবন দিয়েছিল, সেই জাতির জন্য মাতৃভাষার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত ছিল সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়। শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলার অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের পাঠ্যক্রমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আরো গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো দরকার। পাশাপাশি ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সেটি যেন বাংলার ওপর আধিপত্য বিস্তার না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আদালত ও প্রশাসনে বাংলা ভাষার ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে। প্রযুক্তির যুগে বাংলা ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাংলার ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে। বাংলা ভাষায় অনলাইন কনটেন্টের প্রসার ঘটাতে হবে, যাতে তরুণ প্রজন্ম বাংলায় সহজেই আধুনিক জ্ঞান আহরণ করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলা। ভাষার মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব শুধু রাষ্ট্রের না এটি আমাদের সবার। একুশের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে, আমরা যদি বাংলা ভাষাকে তার প্রকৃত মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তবেই একুশের শহীদদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।