সন্ত্রাস দমনে কঠোর বার্তা

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফারুক আলম

সারা দেশে সরকারের কর্মকাণ্ড ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার স্বার্থে প্রত্যেক জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়ে তিন দিনব্যাপী রাজধানীতে ডিসি সম্মেলন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল মঙ্গলবার সম্মেলনের শেষ দিন ছিল। এবার ৩০টি কর্ম অধিবেশনে প্রায় ৩৫৪টি প্রস্তাব আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাবের বাইরেও ডিসিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনে ডিসিদের বেশি কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা। একইসঙ্গে ডিসিদের পক্ষ থেকেও উপদেষ্টাদের কাছেও কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। সব মিলেই ডিসি সম্মেলন প্রাণবন্ত ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের সামনা-সামনি দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এবার ডিসি সম্মেলন ওসমানী মিলনায়তনে শুরু হলেও বাংলাদেশ সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জন্য নবনির্মিত বহুতল ভবনে ডিসি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকজন ডিসি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসন হিসেবে ডিসিদের নিয়োগ দেয়। পুরো বছর মাঠ প্রশাসনের দায়িত্ব পালন শেষে তিন দিনের জন্য নিজ ঘরে (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ) সম্মেলনের আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান করতে পেরে ভালো লেগেছে। আশা করি, আগামীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হোক। এবারের ডিসি সম্মেলনে সারা দেশ থেকে ৩৫৩টি প্রস্তাব উঠেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন। এছাড়াও জনসেবা, জনদুর্ভোগ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, আইন-কানুন ও বিধিমালা সংশোধন এবং জনস্বার্থের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার পেয়েছে। সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। কার্য-অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নবনির্মিত ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এসব অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য দিকনির্দেশনা দেন।

গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। এ সরকারের আমলে কারো রক্তচক্ষু বা ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই। কারো ধমক শুনবেন না। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ-সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা-উপজেলায় কর না দেয়া ব্যক্তিদের তালিকা করতে ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার কার্য-অধিবেশনের বাইরে সুপ্রিমকোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এসময়ে জেলা প্রশাসকদের বিচার বিভাগের ‘সহযোগী’ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। বিচার বিভাগের সহযোগী হয়ে কাজ করুন, বাধা সৃষ্টি করবেন না। মনে রাখবেন, শাসন ও ন্যায়বিচার দুটি ভিন্ন পথ নয় বরং একই গন্তব্যের সমান্তরাল পথ। এ দিন খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ডিসিদের আলোচনা হয়। এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দুর্নীতি দমন কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়। এছাড়াও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়াদি, মন্ত্রিপরিষদ সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আইন, নীতিমালা ও সংবিধানে যা আছে, সেটি মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ দেয়া ছাড়া জেলা প্রশাসকদের আর কোনো কাজই নেই।

আইন উপদেষ্টা বলেন, দেশের মেধাবী মানুষেরা জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন বা প্রশাসনে আসেন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে। রাষ্ট্রের এত বড় একটি রিসোর্সকে গত ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণকে অত্যাচার করার জন্য, নিপীড়ন করার জন্য এবং তাদের অপকর্ম জায়েজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কথাবার্তায় তার মনে হয়েছে, তাদের যদি ইতিবাচকভাবে কাজে লাগানো হয়, জনগণকে সেবা করার জন্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করার জন্য, ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবা প্রদান করার জন্য এবং সেই সক্ষমতাও তাদর আছে। কিন্তু ওই রাজনৈতিক দিকনির্দেশনাটা থাকে না।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আশা করব ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, কোনো দিন যেন প্রশাসন ক্যাডারের যে অসীম সম্ভাবনাময় শক্তি রয়েছে, এটিকে যেন জনগণকে নিপীড়নের কাজে না লাগিয়ে, সংবিধান অনুযায়ী জনগণের সেবা করার কাজে যেন লাগানো হয়। এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। এখানে ফর্মুলার ব্যাপার নেই। আইনে যা আছে, নীতিমালায় যা আছে, সংবিধানে যা আছে, সেটা মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ দেয়া ছাড়া ওনাদের (ডিসি) আর কোনো কাজই নেই। সুতরাং আমাদের শুধু একটা কথাই যে, আপনি আইন অনুযায়ী চলেন, বিবেক মতো চলেন। তাদের যে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করে।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। এই দুর্নীতি সমূলে বিনষ্ট না করতে পারলে দেশের অগ্রগতি হবে না। সব লেভেল থেকে দুর্নীতি কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য সবার (ডিসি) সহযোগিতা চেয়েছি। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আরো উন্নতি আশা করি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও কৃষি ক্ষেত্রে আরো কীভাবে উন্নতি করা যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে রয়েছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে হয়নি। জনপ্রতিনিধি নির্বাচন অথবা প্রশাসক (পূর্ণকালীন) নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলো পরিচালনা করার বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত আসবে। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, বিভাগীয় কমিশনাররা কোনো না কোনো সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে আছেন, জেলা প্রশাসকদেরও জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ফলে একজন কর্মকর্তাকে যখন দুই-তিনটা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তখন একজনের পক্ষে কোনোটাই ঠিকভাবে পালন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেই জায়গা থেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার মাধ্যমে সেখানে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আসা উচিত।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিকে শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা যোগদানের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এই দাবির প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহানুভূতিশীল। এসব প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে। যখন ফল ঘোষণা করা হয়েছে তখন শুধু মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তারা মনে করছেন আইনি কাঠামোতেই কাজগুলো করা হয়েছে। সে হিসাবে তারা (আন্দোলনকারী) যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে সহানুভূতি রয়েছে। কারণ সরকার মনে করছে আইনসম্মতভাবেই করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পদমর্যাদার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, দেশের প্রতিরক্ষায় যুবসমাজ যাতে অংশ নিতে পারেন সেজন্য তাদের সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। আব্দুল হাফিজ বলেন, সিভিল মিলিটারি কোঅপারেশন কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে ডিসিরা প্রশ্ন করেছিলেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সিভিল প্রশাসনের অফিসাররা যে ওরিয়েন্টেশন করেন, এই ওরিয়েন্টেশনগুলো করা সম্ভব কি না? যাতে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিকবাহিনী বা সশস্ত্রবাহিনীর বোঝাপড়া আরো বাড়ানো যায়।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ডিসি সম্মেলনে ১১৯টি স্বল্পমেয়াদি, ১৯২টি মধ্যমেয়াদি ও ৭০টি দীর্ঘমেয়াদিসহ মোট ৩৮১টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্বল্পমেয়াদি ৬৪ শতাংশ, মধ্যমেয়াদি ৪০ শতাংশ ও দীর্ঘমেয়াদি ৩৬ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়।