হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

মসজিদ থেকে বের হওয়ার পথে গুলিতে মারা যান জাবির

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালীন মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন যশোর ঝিকরগাছার ইমতিয়াজ হোসেন জাবির (২২)। গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন জাবির। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। তিনি দেউলি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। তিনি ঢাকার সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

জাবিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে একটি কক্ষে ছেলে হারানোর শোকে কাতর হয়ে পড়ে আছেন মা শিরিনা বেগম। কাঁদতে কাঁদতে মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি। অপরদিকে জাবিরের বাবা নওশের আলী অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। জাবিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি নিহতের স্বজনরা। গোটা এলাকায় শোক আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেছিলেন, ‘জাবির অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। ও বাড়িতে আসতো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো। কখনো বাজে সঙ্গ ওর ছিল না। গত শুক্রবার জানতে পারি যে, নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় তার পায়ে গুলি লাগে। ওই সময় বাইরে গোলাগুলি চলছিলো। জাবিরের মৃত্যুতে আমরা গোটা এলাকাবাসী শোকাহত।’ স্থানীয় আরেক বাসিন্দা শওকত হোসেন বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসী শুধু এটুকুই জানি যে, সে নামাজ পড়ে বের হচ্ছিল, তখন বাহিরে গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়।’ জাবিরের বাবা নওশের আলী পেশায় একজন মুরগী ব্যবসায়ী। নওশের আলীর দুই ছেলে মেয়ে। জাবির বড় এবং একটা মেয়ে রয়েছে। জাবিরের বোন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।