দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

‘পদত্যাগের অভিপ্রায় নেই, নিয়োগকর্তা বললে চলে যাব’

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা নিয়ে ‘অপেশাদারত্বের’ অভিযোগে গত মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারের (সি আর আবরার) পদত্যাগ দাবি করেছেন। তবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, তার কাজের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। তাই নিজে থেকে তার পদত্যাগ করার কোনো অভিপ্রায় নেই। তবে তার নিয়োগকর্তা রয়েছেন। তারা যদি মনে করেন, এখানে ব্যত্যয় ঘটেছিল, তাহলে যেতে (পদত্যাগ) বললে অবশ্যই চলে যাবেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে তিনি জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত সোমবার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। আহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ১৬৫।

এই ঘটনায় গত সোমবার বিকালেই গত মঙ্গলবারের জন্য এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেয় সরকার। শোকাবহ পরিস্থিতিতে কোনো কোনো কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবারের এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানানো হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় এই পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়। এ নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবিতে গতকাল সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে বিক্ষোভ করে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী। বিক্ষোভ চলাকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে অব্যাহতির ঘোষণা দেয় সরকার।

গতকাল বুধবার সাংবাদিকেরা শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তার ও সচিবের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটি একটি ঊর্ধ্বতন কমিটির সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমার (পদত্যাগ) চাওয়া হয়েছে। আমি নিজে থেকে করার কোনো অভিপ্রায় নেই। কারণ, এখানে আমার কাজের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি না। আপনাদের পরমপরাটা জানালাম। আমার তো নিয়োগকর্তাও রয়েছেন। তারা যদি মনে করেন, এখানে ব্যত্যয় ঘটেছিল, তো আমাকে যেতে বললে অবশ্যই চলে যাব। এখানে আক্ষেপ করার, নিজেকে জাস্টিফাই করার কোনো কিছু নেই।