হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

বাবাকে পাকা ঘর তুলে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল শহিদ সাজিদের

জুলাই ২০২৪

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বাসস

বাবার প্রিয় সন্তান মো. সাজিদ হাওলাদারের ইচ্ছা ছিল তার অন্য ভাইয়েরা না পারলেও তিনি তার বাবাকে একটি পাকা ঘর তুলে দেবেন। বুক ফাঁটা হাহাকার নিয়ে কান্না-জড়ানো কন্ঠে একথা বলছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মো. সাজিদ হাওলাদার (২২)-এর বাবা সুলতান হাওলাদার। সুলতান হাওলাদার বাসসকে বলেন, দিনের অবসর সময়ে সাজিদ প্রায়ই বলত, ‘বাবা তোমার জন্য আজ অথবা কাল, একদিন না একদিন আমাদের দেশের বাড়িতে আমি একটি পাকা ঘর তুলে দেব।’ তিনি বলেন, ‘শহিদ সাজিদ ঢাকা সাইনবোর্ড এলাকায় আমার ভাড়া করা দোকান ‘আল মদিনা’ ভাতের হোটেলে আমাকে সহযোগিতা করত। মাঝে মধ্যে সাজিদ অটো চালাত। আমার ৪ সন্তানের মধ্যে সাজিদ ছিল খুব নম্রভদ্র। ‘ সুলতান হাওলাদার জানান, তারা বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সুন্দরকাঠি (বলিয়ান পাড়া) এলাকার বাসিন্দা। তার ও স্ত্রী চায়না বেগমের সংসারে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। বড় মেয়ে স্বপ্না বেগম, ছোট মেয়ে রত্না বেগম (বিবাহিত)। বড় ছেলে মো. জুয়েল হাওলাদার ও ছোট ছেলে ছিল শহিদ মো: সাজিদ হাওলাদার (২২)।

সুলতান জানান, শহিদ সাজিদের স্ত্রী সীমা আক্তার ও একটি ছোট মেয়ে আছে। নাম স্বর্ণা আক্তর আয়শা। ওর বয়স এখন মাত্র ২৩ মাস। সুলতান হাওলাদার বলেন, ‘সাজিদ যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগদান করত তা কখনও কাউকে বলেনি। কিন্তু আমি একটা সময় বুঝতে পারি। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সে শহীদ হলো।’

তিনি জানান, সাজিদ ৫ আগস্ট (৩৬ জুলাই) সকালেই খাবার খেয়ে শ্বশুর বাড়ি যাবার নাম করে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যোগদান করেন। দুপুরের দিকে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বুকে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ছোড়া গুলি বিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।