সাফল্য আছে, ব্যর্থতাও আছে
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর গত বছরের ৮ আগস্টের এই দিনে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি ও টালমাটাল প্রশাসন নিয়ে যাত্রা শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই ভঙ্গুর দেশকে সামনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাঁধে। এক বছরের ব্যবধানে সেই ভঙ্গুর অর্থনীতি চাঙ্গা করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশ। প্রশাসনের ভেতরেও বিরাট পরিবর্তন এনেছে। বিগত সরকার দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। সেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিদ্যুৎ বিভাগসহ মন্ত্রণালয়ে বিরাট রদবদল করা হয়েছে। বিনিময় বাড়ায় এবং নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফেরায় অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে জনমানুষ কিছুটা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। এক বছরে বেশকিছু কাজ সফলতার মুখ দেখেছে।
তবে সমালোচকরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ না করা, জুলাই-আগস্টে সংগঠিত অপরাধীদের দৃশ্যমান শাস্তি না হওয়া। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনতে না পারা।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় নিয়ে সবচেয়ে বেশি বাধার মুখে পড়ে নানামুখী আন্দোলন। আন্দোলনের ৭৬ শতাংশই হয়েছে বিভিন্ন পেশাজীবীর ব্যানারে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আন্দোলন ৩২ ভাগ। চাকরিচ্যুত ও পুনর্বহালের আন্দোলন, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যনিরসন ও চাকরি স্থায়ীকরণ, মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যদূরীকরণ, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি এবং শিক্ষার কারিকুলাম পরিবর্তন। দেশ একটি বিশাল আন্দোলনের ময়দানে পরিণত হয়, যেখানে প্রায় প্রতিটি গোষ্ঠী নিয়মিত বিক্ষোভে জানায়, আর তাদের নালিশের তাৎক্ষণিক সমাধান চায়। আশ্চর্যজনকভাবে অনেক ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার এসব আন্দোলন, প্রতিবাদ ও দাবি-দাওয়া মোকাবিলা করে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
‘বাংলাদেশ কেন্দ্রিক’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ : পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, গত এক বছরে বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবমুখী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেছে, যেখানে জাতীয় স্বার্থ ও পারস্পরিকতা অগ্রাধিকার পেয়েছে এবং একইসঙ্গে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রধান শক্তিগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক রক্ষা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তে হত্যা ও পুশইন বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতি কোনো ধরনের নীতি পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারের সাম্প্রতিক উদ্যোগ শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে নেওয়া, যাতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের দীর্ঘ স্থায়িত্ব ও ধারাবাহিকতা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব স্থিতিশীল আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো বাংলাদেশের চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর না করাকে পছন্দ করলেও ঢাকা নিজের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার দিকেই বেশি মনোযোগী, কোনো নির্দিষ্ট বলয়ের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে আগ্রহী নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ১৫ শতাংশ শুল্ক হ্রাসে বাংলাদেশের বড় সাফল্য।
প্রবাসী কল্যাণে সংস্কার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘব করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অগ্রাধিকারগুলোর একটি। তিনি পাসপোর্ট ইস্যু সংক্রান্ত সেবা উন্নয়নের জন্য নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। উদাহরণস্বরূপ, ওমানের ক্ষেত্রে, এখন ই-পাসপোর্ট সরাসরি আবেদনকারীর বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ওমান পোস্টের মাধ্যমে, ফলে দ্বিতীয়বার ব্যক্তিগতভাবে যেতে হচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১২ অর্জন : গতকাল বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের ১২টি ‘অর্জনের’ কথা তুলে ধরেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অর্জনগুলো হচ্ছে- জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের সহায়তা, আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধার, খাদ্য মূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক, নির্বাচন পরিকল্পনা, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার, বহুমুখী পররাষ্ট্রনীতিতে রূপান্তর, সংস্কার, পানিভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা, বহু বছর পর টাকার মান ডলারের বিপরীতে বেড়েছে এবং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
ধসে যাওয়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, ‘যার ফলে নৈরাজ্য ও প্রতিশোধের চক্র বন্ধ হয়েছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নৈতিক নেতৃত্ব ছিল, এই স্থিতিশীলতার মূল চালিকাশক্তি, যা জাতিকে সহিংসতা নয়; বরং পুনর্মিলন ও গণতন্ত্রের পথে পরিচালিত করেছে।’
২১ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ : সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে বাংলাদেশে এ মুহূর্তে চাল ও গম মিলে মোট ২১ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে সরকারিভাবে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার টন চাল এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার টন গম মজুদ আছে। এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মজুদের এই লক্ষ্যমাত্রায় আরও ৫ লাখ টন চাল ও চার লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খাদ্যপণ্যের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এ বাজার ব্যবস্থায় চালের দাম ডিসেম্বর ২০২৪-এর তুলনায় জুন ২০২৫ পর্যন্ত পাইকারি ও খুচরা বাজারে যথাক্রমে ১.২২ টাকা ও ১.০৪ টাকা কমেছে বলে সরকারি তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারিভাবে এ বছর ৫ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ধান ও ১৯ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। গতবছরের তুলনায় চলতি বছর ধান ও চাল মিলে মোট ৪ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিকটন খাদ্যশস্য বেশি সংগ্রহ করেছে সরকার।
বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও ব্যবসা সহজীকরণ : এক বছরের মধ্যে দেশের দ্রব্যমূল্যের বাজারে পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল এবং ব্যবসা পরিচালনার সহজতর পরিবেশ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ বছর ৪০০-এর বেশি দল সার্বক্ষণিক মাঠে ছিল। এই পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর সক্রিয় উপস্থিতি মূলত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে। টিসিবির কাভারেজ ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং বর্তমানে প্রায় ১ কোটি পারিবারিক কার্ডধারী এই সুবিধার আওতায় আসছেন। এই কাঠামোগত কাভারেজের ফলে নির্ধারিত উপকারভোগীরা সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে। ভুটানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপানের সঙ্গে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) নিয়ে সপ্তম দফার আলোচনা আগস্টেই শুরু হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে চুক্তির লক্ষ্যে টার্মস অব রেফারেন্স চূড়ান্ত করা হবে, সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও আলোচনা এগোচ্ছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নাইজেরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে কাজ চলছে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও দেশের রপ্তানি আয় বাড়ছে এবং রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে অগ্রগতি হচ্ছে।
বিমান খাতে অগ্রগতি : উন্নত বিমান পরিষেবা, বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কার্গো পরিচালনার কৌশলগত সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ৮৫ শতাংশেরও বেশি চেক করা লাগেজ এখন বিমান অবতরণের ১৫ থেকে ৫৫ মিনিটের মধ্যে কনভেয়ারে পৌঁছে যায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন ২৬টি স্বয়ংক্রিয় ই-গেট পরিচালিত হচ্ছে। নতুন টার্মিনাল চালু হলে বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি পণ্য পরিবহন ক্ষমতা ২ লাখ টন থেকে ৫ লাখ ৪৬ হাজার টনে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টার্মিনালটিতে উন্নত অটোমেশন সিস্টেম এবং বর্ধিত স্টোরেজ সুবিধাসহ ৩৬ হাজার বর্গমিটারের কার্গো জোন রয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান খাতে নানা উদ্যোগ : শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপত্তা ও ন্যায্য মজুরির বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (এনটিসিসি) পুনর্গঠন করা হয়েছে, যাতে এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং শ্রমিক ও মালিক পক্ষের প্রতিনিধিত্ব আরও সমতাভিত্তিক হয়। এই পুনর্গঠনের লক্ষ্য ছিল শ্রম খাতে সংস্কারে পরিষদের ভূমিকা শক্তিশালী করা এবং সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আরও কার্যকর সংলাপ উৎসাহিত করা। বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, এনটিসিসি সরকারের পাশাপাশি মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ত্রিপক্ষীয় সংস্থা হিসেবে কাজ করে, যা শ্রম সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।
২০২৪ সালের শেষ দিকে সরকার আইএলও এবং প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নতুন শ্রম আইন খসড়া প্রণয়ন করে। সংশোধিত এই আইন অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সরকারের আশা করছে, সংশোধিত এই আইন শ্রমিক সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। সরকারের সার্বিক লক্ষ্য হলো- একটি ন্যায়সঙ্গত ও সমতাভিত্তিক শ্রমবাজার তৈরি করা, যা শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত রাখবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং একটি নতুন নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবেশ তৈরি করবে।
বৈদেশিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় গত এক বছরে প্রায় ১৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা বৈদেশিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেডের বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আদানি পাওয়ার লিমিটেডের বকেয়া ছিল ৭ হাজার ৯৩৪.৮৯ কোটি টাকা। সেখান থেকে বর্তমানে বকেয়া রয়েছে- মাত্র ২ হাজার ৩৬৩.৫০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি তারা বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৬ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তরল জ্বালানিভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জ্বালানি আমদানির সার্ভিস চার্জ ৯ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ করার মাধ্যমে ৪৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তরল জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি শিপমেন্টে ১৫ হাজার মেট্রিকটনের পরিবর্তে ২০ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণের ফলে ৩৫৪ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্যারিফ ৮.৪৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বিদ্যুতের বর্তমান গড় বিক্রয় মূল্য ৮.৯৫ টাকার চেয়ে কম। এ কার্যক্রমের ফলে বছরের প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
