দেশে ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখের বেশি

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকায় নতুন ভোটার যুক্ত এবং কর্তন করার পর দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জন। হালনাগাদ কার্যক্রমের মাধ্যমে তালিকায় নতুন যুক্ত হচ্ছেন ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন ভোটার (২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাঁদের জন্ম)। পাশাপাশি তালিকা থেকে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এখন (৩০ জুন পর্যন্ত) দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জন।

গতকাল রোববার ইসি সচিবালয়ের সচিব আখতার আহমেদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য একটি সম্পূরক তালিকায় সংশ্লিষ্ট সব উপজেলা/থানা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।

খসড়া তালিকা নিয়ে কারও কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা আগামী ১২ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। হালনাগাদ কার্যক্রমে যেসব ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তার মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। এবার ২৭ লাখ ৭৬২ জন নারী ভোটারের নাম খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর পুরুষ ভোটার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন ১৮ লাখ ৭০ হাজার ২০৩ জন। হিজড়া পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন ২৫১ জন।

নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তারাও আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। আগামী ৩১ অক্টোবর বা তারপরে তরুণ ভোটারদের সম্পূরক তালিকা প্রকাশ করা হবে। সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে ভোটারের সংখ্যা আরও বাড়বে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘সম্পূরক খসড়া অফিসগুলোতে প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের যদি কোনও সংশোধনী থাকে, সেক্ষেত্রে সংশোধনীগুলো আমাদের জানাবেন এবং সংশোধনী অনুযায়ী আমরা এটা ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত করবো। এছাড়া ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে আরেকটি তালিকা প্রকাশ করবো। কাজেই চলতি বছর আমরা ৩টি ভোটার তালিকা পাচ্ছি।’ এক্ষেত্রে ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরে ভোটার অন্তর্ভুক্তির হার ৩.৬৯ শতাংশ এবং ভোটার বৃদ্ধির হার ১.৯৭ শতাংশ।