ডাকসু নির্বাচন

বিলবোর্ড-ব্যানার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ, ভোটগ্রহণ আট কেন্দ্রে

* গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলামের * ডাকসুতে জিতে আসলে কী কী কাজ করবেন, জানালেন সাদিক কায়েম * নির্বাচনে নারীদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার অপচেষ্টা চলছে, অভিযোগ আব্দুল কাদেরের

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে ২৫ আগস্টের পর। এই সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে টানানো বিলবোর্ড ও ব্যানার সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে এ নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। গতকাল শুক্রবার ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানো যাচ্ছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক বিলবোর্ড/ব্যানার টানানো রয়েছে কিংবা ইতিমধ্যে টানানো হয়েছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রচারণা শুরুর নির্ধারিত দিন থেকে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারকাজ চালানো যাবে।’

এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাতে আলাদা আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা ২১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কেউ হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। ২৬ আগস্ট থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে প্রচারণা চালালে সেটি ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, এখনো আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়নি। তবে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা জুমার নামাজ শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সংকট সমাধানের নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। তবে কলাভবন, ডাকসু ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কয়েকটি প্যানেলের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের বিলবোর্ড ও ব্যানার দেখা গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, ডাকসুতে ২৮ পদে ৪৬২ জন আর হল সংসদে ১ হাজার ১০৮ জন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ডাকসুতে ৪৭ জন এবং হল সংসদে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা ২৩ আগস্টের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, এবার ডাকসুতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে চূড়ান্ত তালিকায় এই সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ আগস্ট বেলা ১টা পর্যন্ত। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ আগস্ট বিকেল ৪টায়।

ভোটগ্রহণ হবে ৮ কেন্দ্রে : ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ করা হবে কার্জন হল কেন্দ্রে। শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট দেবেন জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোট দেবেন কেবল রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাংলাদেশ–কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা ভোট দেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে।

এতে আরও বলা হয়, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের জন্য। সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্?দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ভোট দেবেন কবি সুফিয়া কামাল হল এবং ইউল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন শামসুন নাহার হলের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, শুক্রবার দেওয়া আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের উদ্দেশে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক বিলবোর্ড/ব্যানার টানানো রয়েছে কিংবা ইতোমধ্যে টানানো হয়েছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রচারণা শুরুর নির্ধারিত দিন থেকে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারকাজ চালানো যাবে।

গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলামের : ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে গুজব ও অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এসব নোংরামির বিরুদ্ধে সত্য লিখে পোস্ট দিলে সেগুলো ডিলেট করে দিচ্ছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে জুমার নামাজ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে এ বিষয়ে কট্টর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আবিদুল বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, আমার সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ চাইলে ডাকসুতে প্রার্থী হতে পারতেন।

কারণ তারা বর্তমান ছাত্র। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পরিবেশের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা অনুযায়ী যাদেরকে দেওয়ার চাহিদা ছিল, তারা তাদেরকে দিয়েছেন ভোটাভোটির মাধ্যমে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরে দেখলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হলো, আমি নাকি বলেছি, ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ইচ্ছা করলেই ভিপি-জিএস হতে পারবে না। অর্থাৎ ভোট ছাড়াই। এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডা, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন, শঙ্কিত। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপতথ্য দিয়ে যা করছে, ইচ্ছা করলেও আমরা সে নোংরামি করতে পারব না। নোংরামির বিরুদ্ধে আমরা যে পোস্ট দিচ্ছি (অনলাইন গ্রুপে), সেগুলো ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে। প্রকাশ করা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে কট্টরভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।’ এসব প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তিনি নির্বাচনের পরিবেশ দেখছেন না বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে প্রপাগান্ডা বাহিনী, এগুলো বন্ধ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানে, ৫ আগস্টের পর প্রতি ক্যাম্পাসে কারা প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে। কারা বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে রাজনীতি নিষিদ্ধের নাম মব তৈরি করেছে? আপনারা এগুলো বিচার বিশ্লেষণ করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিহাইন্ড দ্যা সিন থেকে ফটোকার্ড বানাচ্ছেন, এগুলো পুরোটাই বিকৃত মস্তিস্কের চিন্তা-ভাবনা। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসেন। সুস্থ কোনো মানুষ এই অপপ্রচারে লিপ্ত হতে পারে না।’

ডাকসুতে জিতে আসলে কি কি কাজ করবেন, জানালেন সাদিক কায়েম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ী হলে কি কি কাজ করবেন সেসব জানিয়েছেন ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’এর ভিপি প্রার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাবির মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব জানান। সাদিক কায়েম বলেছেন, ডাকসুর কাজ নেতা তৈরি করা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ হাসিল করা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করা। সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের প্যানেলে সম্পাদকীয় পদগুলোতে স্পেশালাইজেশন আনার চেষ্টা করেছি। আবাসন সংকট নিরসনে তার পরকিল্পনা জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ১০৪ বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট এখনো রয়ে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী গ্রাম থেকে বড় স্বপ্ন নিয়ে ঢাবিতে এসে আবাসন সমস্যার কারণে হতাশায় ভোগেন।

তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, নির্বাচিত হলে আবাসন সংকটসহ শিক্ষার্থীদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের এখনো খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়। অথচ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের দুশ্চিন্তা নেই। আমরা এ সমস্যা নিরসনে কাজ করবো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার অভাবে ভোগে, এ বিষয়েও পদক্ষেপ নেবো।

রেজিস্ট্রার ভবনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সেখানকার কাজ এখনো মান্ধাতার আমলের মতো চলে। শিক্ষার্থীদের এক কাজের জন্য বারবার দৌড়াতে হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ, আধুনিক লাইব্রেরি ব্যবস্থা, মসজিদের আধুনিকায়ন, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের প্রসারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সমস্যার সমাধানে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ সময় ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে ডাকসু নির্বাচন বিস্তারিত ইশতেহার শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ডাকসু নির্বাচনে নারীদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার অপচেষ্টা চলছে -অভিযোগ আব্দুল কাদেরের : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করতে একটা গোষ্ঠী অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক ও সংগঠনটির ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় মধুর ক্যান্টিনে ডাকসুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন অভিযোগ করেন তিনি।

আব্দুল কাদের বলেন, ঢাবির ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের নারী শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবকে ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু ওই দুটি হলের পাশেই সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। সেখানে ভোট কেন্দ্র স্থাপন হলে ওই দুই হলের শিক্ষার্থীরা সহজে ভোট দিতে পারতেন।

মূলত তাদের ভোট থেকে দূরে রাখার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা। আমাদের স্লোগান হবে ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান সিট। এছাড়াও গণরুমণ্ডগেস্টরুম প্রথা ক্যাম্পাস থেকে চিরতরে নির্মূল করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

দলটির জিএস প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমাদের অন্যতম ইশতেহার হচ্ছে, আবাসিক হলগুলোতে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া। ঢাবিতে স্টারলিংক সেবা চালু করা হবে এবং হিসাব করে দেখা গেছে, এর জন্য শিক্ষার্থীর মাথাপিছু মাত্র ৪০ টাকা খরচ হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা স্পনসরশিপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব।