সাইবার বুলিং ও আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে কঠোর ঢাবি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং প্রতিরোধের লক্ষ্যে ঢাবি প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আদেশ অমান্য করলে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদণ্ড১’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদণ্ড২’ সহ আরও কয়েকটি চিহ্নিত অনলাইন পেইজ অনতিবিলম্বে বন্ধ করে আগামী বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তা বলবৎ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।এছাড়া গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিচালিত বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম ডাকসু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বিধায় আগামী বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সংগঠনটির সব ধরনের কার্যক্রম ও শাটল সার্ভিস ক্যাম্পাসে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক বিলবোর্ড/ব্যানার টানানো রয়েছে কিংবা ইতোমধ্যে টানানো হয়েছে, সেগুলো সরিয়ে ফেলতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।প্রার্থীদের নির্বাচনি বিধিমালা স্মরণ করিয়ে বলা হয়, কোনো প্রার্থী বা পক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না। সব ধরনের উপঢৌকন বিলি-বন্টন, আপ্যায়ন, অর্থ সহযোগিতা কিংবা অনুরূপ কার্যক্রম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এসব কার্যক্রম নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ বলে বিবেচিত হবে।
এছাড়া প্রার্থীরা আজ সোমবার পর্যন্ত হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে (রোববার) ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত ব্যক্তি অথবা সংগঠনের পরিচয়ে হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচার কার্যক্রম চালাতে পারবেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তবে এ সময়েও সামাজিক/আর্থিক/সেবামূলক সহযোগিতা বা কার্যক্রম পরিচালনা, মজলিশ-মাহফিল আয়োজন কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/প্রাঙ্গণে প্রচারণা চালানো নিষিদ্ধ থাকবে। এসব কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি (সহসভাপতি) পদপ্রার্থী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আরেক নেতা বায়েজিদ বোস্তামীর প্রার্থিতা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বাতিলকৃত প্রার্থীদের আপিল নিষ্পত্তি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগসমূহ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনাল কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনাল কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদারে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বায়েজিদ বোস্তামী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যেতে পারে।
ফলশ্রুতিতে মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার ও বায়েজিদ বোস্তামীর প্রার্থিতাও বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হলো। সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান জিলানী ও মো. খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী কর্তৃক আনিত অভিযোগে যথাযথ প্রমাণাদি না থাকায় এবং অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর স্বাক্ষর না থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এটি উচ্চতর কমিটি। এই কমিটির সুপারিশ আমরা মানতে বাধ্য। ফলে পূর্ণ কমিশন বসে এই দুজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে পরীক্ষা পেছানোর দাবি সাদিক কায়েমের : ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময়সূচি পেছানোর দাবি জানিয়েছেন ইসলামি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাদিক কায়েম। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে সাংবাদিকদের এ দাবি জানান তিনি।
পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে অনেক বিভাগের পরীক্ষা রয়েছে। কারও অ্যাসাইনমেন্ট, কারও প্রেজেন্টেশন এবং ফাইনাল-মিডটার্ম। কিন্তু নির্বাচন উপলক্ষে যে উৎসবমুখর পরিবেশ ও প্রচারণা চলছে, সে কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, সব পরীক্ষা যেন ৯ সেপ্টেম্বরের পরে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা শিক্ষার্থীদেরও দাবি।
বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে জানানো হয়েছে। তারাও যেন বিষয়টি আমলে নিয়ে পরীক্ষা পেছানোর ব্যবস্থা করেন। যেহেতু সারা দেশের মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে এবং ডাকসুর মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হতে যাচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, পরীক্ষাগুলো যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
নির্বাচিত হলে কী করবেন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিজনেস ফ্যাকাল্টির সমস্যা আছে। তাদের বসার জায়গা কম। লাইব্রেরি সংস্কার করবো। বিজনেস ফ্যাকাল্টির খাবারের দাম অনেক বেশি। এখানে এক ধরনের বাণিজ্য করা হয়। ক্লাসে পাঠদানের কোয়ালিটি বাড়াতে হবে। শিক্ষকদের পড়াশোনার মানে গা ছাড়া ভাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এখানে যে রাজনীতি করতে চায়, এবং যে চায় না, সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।
ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে বামপন্থী প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ এর উদ্বেগ : ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ডাকসু নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলকএবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য করতে ৬টি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানায় তারা। রোববার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্যানেলটির নেতৃবৃন্দরা। সংবাদ সম্মেলন শেষে পদক্ষেপগুলো নিয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে স্মাকরলিপি জমা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ৬টি পদক্ষেপ তুল ধরে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন:- ১. অপরাধে সম্পৃক্তদের প্রার্থিতা বাতিল: যেসব ব্যক্তি অতীতে শিক্ষার্থী নিপীড়ন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হামলাসহ অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধ বা গুরুতর অনিয়মে সম্পৃক্ত, তাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে।
২. ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থানান্তর: বর্তমান কেন্দ্রসংখ্যা সীমিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোগান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এছাড়া আবাসিক হলগুলোর নিকটবর্তী ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে ভোট দিতে
পারেন।
৩. পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত: নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বা পরপরই পরীক্ষা থাকায় অনেকের নির্বাচনি কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৫-১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকল পরীক্ষা স্থগিত রেখে কেবল ক্লাস চালু রাখতে হবে। এর ফলে প্রার্থীরা পড়াশোনা ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে বাধ্য হবেন না। আর ভোটাররা যথাযথভাবে প্রার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ের সময় পাবেন।
৪. আচরণবিধি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাগুলিকে অবিলম্বে চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতোমধ্যে কলা ভবনের সামনে মঞ্চ করে কুরআন বিতরণ, মিছিলের মাধ্যমে ফরম তোলা, ফরম উত্তোলনে বাধা দেওয়া, নিয়ম ভঙ্গ করে বিলবোর্ড/ব্যানার প্রদর্শন, বিভির বল বা মসজিদে প্রচারণা ইত্যাদি ঘটনা ঘটেছে। এগুলো সবই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখা জরুরি।
৫. ব্যালটে ছবি সংযুক্তকরণ: ভোটারদের সুবিধার্থে প্রার্থীদের নামের পাশে তাদের ছবি সংযুক্ত করতে হবে, যাতে বিভ্রান্তির সুযোগ না থাকে।
৬. ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করা: অনেকের জন্যে স্বল্প সময়ে হল কার্ড করা বা নবায়ন করা কষ্টসাধ্য। তাই ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বৈধ ডকুমেন্ট থাকার ভিত্তিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা দরকার।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ (ইমি), সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (জিএস) মেঘমল্লার বসুকে ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাবির আহমেদ জুবেল সহ প্যানেলের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডাকসুতে ‘সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য’ প্যানেলের আত্মপ্রকাশ : ডাকসু ‘সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য’ নামে ৩ জনের একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। প্যানেলে ভিপি, জিএস ও সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারা। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রস্তুত করছে বলে জানা যায়। রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়। প্যানেলে কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী হচ্ছেন জান্নাতি বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ স্টাডি ফোরাম) এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী তালহা নেগাবান।
এ সময় ভিপি প্রার্থী জান্নাতি বুলবুল বলেন, আগামী ২৬ আগস্ট মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর আমরা পূর্ণাঙ্গ প্যানেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ডাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রস্তুত করছে। আমরা মনে করি, সংখ্যার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কমিটমেন্ট এবং বিশ্বাস।
এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সর্বোপরি দেশের প্রতি আমরা যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি, তার প্রতিটি শব্দ এবং তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আমরা বিশ্বাস করি। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৩ সালে ৩ জন মিলে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ বপন করেছিল যাদের নেতৃত্বে পরবর্তীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল, পল্টন ময়দানে পাঠ করা হয়েছিল স্বাধীনতার ইশতেহার।
২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর হাত ধরেই যা পরবর্তীতে এই অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।এরপর তিনি ৭ দফা অঙ্গীকারের ঘোষণা দেন।
অঙ্গীকারগুলো হলো : ১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। ২. সবার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ। ৩. শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী আধিপত্য, লেজুড়বৃত্তি ও রাজনৈতিক দাপটমুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা। ৪. গেস্টরুম নির্যাতন, সন্ত্রাস, দলবাজি, চাদাবাজি মুক্ত বৈষম্যহীন ক্যাম্পাস গঠন। ৫. শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত আবাসন, পুষ্টিকর খাবার ও ভাতা নিশ্চিত করা। ৬. প্রথম বর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হলে বৈধ সিট বরাদ্দ নিশ্চিত করা। ৭. শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা ও বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
