প্রকৌশল শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র ঢাকা

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দফা দাবিতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হয়েছেন। এদিকে গতকাল বিকাল সোয়া ৫টায় শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের এক্সিট গেটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। পূর্বে ঘোষিত ৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। এছাড়াও তিন উপদেষ্টা ফওজুল করিম, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রেজওয়ান হাসানকে শাহবাগে এসে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

গতকাল সরেজমিন রাজধানীর শাহবাগ ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যায়, শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অতিক্রম করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। জলকামান দিয়ে পানি ছোড়ে। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় শাহবাগ ও আশপাশের সড়ক। বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে রওনা দেন। তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় পেরোনোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এই ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হয়েছেন।

আহত আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইম মির্জা বলেন, ‘মিছিলের সামনে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দের সঙ্গে কিছু একটা এসে আমার বাঁ পায়ে আঘাত করে।’ একই দাবিতে গত মঙ্গলবার পাঁচ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়া। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে ৯ম গ্রেডে উন্নীত না করা। ১০ম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, সমাধান নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। সচিবালয়ে তিনজন উপদেষ্টা এটা নিয়ে কাজ করছেন। শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল, শাহবাগে অবস্থান করতে। আধ ঘণ্টার ভেতরে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা বেলা তিনটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে রওনা হন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এই ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান করছিলেন। সেখানে থাকা বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘পুলিশের হামলায় আমাদের ৩৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না।’

‘নিরীক্ষা কমিটি’ গঠন ও প্রত্যাখ্যান : প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে সভাপতি করে আট সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন- শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী মো. কবির হোসেন, বাংলাদেশ বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সওব্য) কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। কমিটি বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের দাবিগুলো যাচাই-বাছাই করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে।

তবে, ‘নিরীক্ষা কমিটি’ প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, কমিটিতে তাদের প্রতিনিধি থাকতে হবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সময় তিনি মোট পাঁচটি দাবি ঘোষণা করেন। জুবায়ের আহমেদ বলেন, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিতে আমাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় আমরা সেটিকে প্রত্যাখ্যান করলাম।

তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে কমিটি সংস্কার করতে হবে। আমাদের আগের পেশ করা তিন দফা দাবিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান এবং সৈয়দ রিজওয়ানা হাসানকে আজকেই (গতকাল) এর নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পুলিশের হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে। সামনে আন্দোলন চলাকালে সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না। পুলিশের হামলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরিচ্যুত করতে হবে।

ন্যায্য সমাধানের আশ্বাস দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা : আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনা করে ন্যায্য সমাধানের আশ্বাস দিয়ে গঠিত কমিটির সভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এটার (আন্দোলন) সূত্রপাত হয় নেসকোতে (নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি) একটা ঘটনা (একজন প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি) ঘটেছিল, সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে। কমিটি শিগগির বসবে বলেও জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা।

ফাওজুল কবির খান বলেন, দাবি দুদিক থেকে- বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি এক রকম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি ভিন্ন। সব পক্ষের কথা শুনে ন্যায্য যে সমাধান সেটা আমরা করব। এ কথাগুলো এ কারণে বললাম যে তারা দেখে বুঝতে পারে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, তাদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আপনারা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান।? তাদের প্রতিনিধিদের নিয়েই আমরা তো সিদ্ধান্ত নেব। কাজেই তাদের তো আর রাস্তায় আন্দোলনের কারণ নেই, কিংবা অন্য কোথাও যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কমিটির অন্য সদস্য উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা বসে সমস্যার সমাধান করব। আমরা হয়তো কালকেই বসে যাব।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা দাবিগুলো প্রস্তাব আকারে চাইলেন জনপ্রশাসন সচিব : আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের দাবি-দাওয়ার প্রস্তাব দিলে সচিব কমিটি যাচাই-বাছাই করে সমস্যার সমাধান করে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব এ কথা জানান।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যদি তাদের দাবিগুলো স্মারকলিপি আকারে দেন, এগুলো নিয়ে তারা অনেক রিসার্চ করেছেন, তাদের কাছে আইন-কানুন আছে, এগুলো যদি অ্যাটাচ করে দেন, আমরা অল্প সময়ে এটা সমাধান করে দিতে পারব। আমাদের কাছে কোনো আবেদন আসেনি, আমরা বিষয়টি শুনেছি। এখন আপনারা আমার কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করছেন।’

সচিব বলেন, এটার সঙ্গে পিএসসি (সরকারি কর্ম কমিশন) জড়িত, জনপ্রশাসন জড়িত, মন্ত্রিপরিষদ জড়িত, লেজিসলেটিভ বিভাগ জড়িত, আর যে সব প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যে মন্ত্রণালয়ে চাকরি করছেন ওই সব মন্ত্রণালয় জড়িত। সবার সঙ্গে বসে, এটাকে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা, এর অফিসিয়াল একটা নাম আছে সচিব কমিটি, সেখানে এটা তুললেই সমাধান হবে, একটি বা দুটি মিটিং লাগবে। এটা সম্ভব, এটা এমন কোনো জটিল বিষয় নয়। মোখলেস উর রহমান বলেন, যারা ভুক্তভোগী তারা তাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রস্তাবটা আনবে। আমরা এটা পজিটিভলি দেখব, আমরা এটা ফেলে রাখব না।

চট্টগ্রামে বিক্ষোভ : ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবং প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের তিন দফা দাবিতে চট্টগ্রামের ২ নম্বর গেটে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় নগরের ব্যস্ত মোড় ২ নম্বর গেট এলাকার দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজার রহমান বলেন, ‘ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কারণে বিএসসি ডিগ্রিধারীরা পদোন্নতি ও নিয়োগে ন্যায্যতা থেকে অনেক দিন ধরেই বঞ্চিত হয়ে আসছেন। তারা সরকারি চাকরিতে ১০ম গ্রেড কুক্ষিগত করে রেখেছেন এবং পরবর্তী সময় ৩৩ শতাংশ বা বেশি কোটা নিয়ে সরাসরি ৯ম গ্রেডে পদোন্নতি পাচ্ছেন। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে আসছি আমরা। দাবি পূরণ না করে উল্টো আমাদের ওপর হামলা করেছে।’

আট পুলিশ আহত: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের যেতে বাধা প্রদানের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আট সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল বিকালে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান। আহত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসার জন্য রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা হলেন ডিএমপির রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) রেজোয়ানুল ইসলাম (৩৭), এসআই তৌহিদুল ইসলাম, এএসআই ফরহাদ আলী (২৯), কনস্টেবল আদিব (২২), কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম (২০) ও কনস্টেবল শ্রাবণ (২০)। তাদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম ও আদিবের অবস্থা গুরুতর।