জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সরকারের

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এক বিবৃতিতে সরকার বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, জুলাই আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার আদায়ের অবিচল সংগ্রামী নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঐক্যই আমাদের সংগ্রামের অর্জনকে রক্ষা করবে, জনগণের ম্যান্ডেটবিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে এবং গণতন্ত্রে সফল উত্তরণ নিশ্চিত করবে।

এ হামলাকে ‘বর্বরোচিত আক্রমণ’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু নুরুল হক নুরের ওপর নয়, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনাকেও আঘাত করেছে, যে আন্দোলন জাতিকে ন্যায় ও জবাবদিহির ঐতিহাসিক সংগ্রামে একত্র করেছিল। এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছে যে, এ ঘটনায় দ্রুততম সময়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করা হবে। প্রভাব বা অবস্থান নির্বিশেষে কাউকেই দায়মুক্তি দেওয়া হবে না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে স্বচ্ছ ও দ্রুত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তাৎক্ষণিকভাবে নুরুল হক নুর ও তার দলের আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আরও বলা হয়, তাদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশেও পাঠানো হবে। এই কঠিন সময়ে নুরুল হক নুর, আহত নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের প্রতি জাতির প্রার্থনা ও সংহতি রয়েছে। সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নুরুল হক নুর ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি তরুণ সমাজকে একত্র করেছিলেন এবং নির্ভীকভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে নির্যাতনের শিকার হন, যখন তার ভূমিকা আমাদের জনগণের স্বাধীন, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠে। তার সাহস ও আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সবশেষে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের কাছে এটি আমাদের অঙ্গীকার। নির্বাচন বিলম্বিত বা ব্যাহত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্তভাবে প্রতিফলিত হবে এবং কোনো অশুভ শক্তি আমাদের গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।