আদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল, শুনানি আজ
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনটি আজ বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালত বলেছেন, ৩ সেপ্টেম্বর (আজ) শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হলো। সেই সময় পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বাড়ানো হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, ‘আগামীকাল বুধবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য ১ নম্বর আইটেম হিসেবে থাকবে।’ এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত সোমবার ডাকসুর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশের ফলে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচন আটকে গিয়েছিল। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে গত চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত নিয়মিত সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন (দেওয়ানি বিবিধ আবেদন) না করা পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। ফলে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বাধা কাটে। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশনটি আজ আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর সম্পূরক কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে এবং শুনানি হয়।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানিতে ছিলেন।
ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন এস এম ফরহাদ। তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ নিয়ে ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা বিষয়ে গত ২৮ আগস্ট রিট করেন ডাকসু নির্বাচনের এক প্রার্থী। রিটের ওপর গত সোমবার হাইকোর্টে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ডাকসু নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে আদেশ দেন। রুলে ডাকসুর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে চ’ড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় জিএস পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
হাইকোর্ট এস এম ফরহাদের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য তথা সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণাদিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে রিট আবেদনকারীকে নির্দেশ দেন। আদেশে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে অনুসন্ধান করবে। রিট আবেদনকারী ও ফরহাদসহ অন্য নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনবেন এবং ২১ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন দেবেন।
ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকির ঘটনা তদন্তে দুই কমিটি : ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে রিট করা এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় তিন সদস্যের এবং ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন দুই সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেছে।
ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করেছিলেন ওই ছাত্রী। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত সোমবার ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলী হোসেন রিটকারী ওই ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
গত সোমবার বিকেলে আলী হোসেন ওই ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার পর এর প্রতিবাদ জানান বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ অনেকে। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে গণধর্ষণের হুমকিদাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং হুমকিদাতার বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণধর্ষণের হুমকির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এস এম ফরহাদ এবং ‘অপরাজেয় ৭১ অদম্য ২৪’ প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী নাইম হাসানের লিখিত অভিযোগ দেন। এর ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কার্যালয় ৩ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সারকে আহবায়ক এবং সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূইয়া ও মো. রেজাউল করিম সোহাগকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, সাইবার বুলিং মোকাবিলায় তাঁরা একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সাইবার বুলিংয়ের বিষয়টি কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে তারা কাজ করছেন।
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যেসব অনলাইন গ্রুপ বা পেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর নাম ও যারা পরিচালনা করেন (এডমিন) তাদেরও নাম বিটিআরসি ও ডিএমপি কমিশনারকে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা, ভোটের দিন নিরাপত্তা এবং ভোট গণনার নিরাপত্তার বিষয়েও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। পাশাপাশি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদান করতে আসার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িগুলো যাতে কোনো প্রকার বাধায় না পড়ে, সে ব্যাপারে আইজিপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। হলে নিরাপত্তা উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে বহিরাগতদের বিষয়ে হল প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে ভোটার ভিন্ন কেউ হলে অবস্থান করতে না পারে। অন্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে বৈধ শিক্ষার্থী ব্যতীত কোনও বহিরাগত বা কোনও অতিথি থাকায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাবির হলগুলোতে বৈধ শিক্ষার্থী ছাড়া কাউকে অবস্থান না করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ঢাবির হলগুলোতে ২ সেপ্টেম্বর থেকে বৈধ শিক্ষার্থী ব্যতীত কোনও বহিরাগত বা অতিথি অবস্থান করতে পারবে না।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাকসু নির্বাচনে বামজোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১’-এর নারী প্রার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আলী হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনা ভাইরাল হলে ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনগুলো আলী হোসেনকে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রশিবির। তারা বলছে, এটি তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রোপাগান্ডা।
ছাত্রশিবিরের সঙ্গে আলী হোসেনের কোনো সম্পর্ক নেই। আলোচনা-সমালোচনার মুখে ফেসবুক লাইভে এসে আলী হোসেন নিজেও দাবি করেন যে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম ফরহাদ গণমাধ্যমে জানান যে, তারা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেবেন।
গত সোমবার রাতে মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এস এম ফরহাদ বলেন, ‘যিনি এই অপরাধ করেছেন, তাকে শিবির নেতা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আমরা ঘটনার পরপরই প্রশাসনকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং বাজে ভাষা ব্যবহারের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।’ তিনি আরো বলেন, মাগরিবের পর থেকে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য আমরা প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেব।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
‘গণধর্ষণের’ হুমকিদাতার শাস্তি চাইল শিক্ষক নেটওয়ার্ক : ডাকসু নির্বাচনের এক প্রার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলা করার পর ওই প্রার্থী এ হুমকি পান। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে হুমকিদাতার শাস্তি দাবির পাশাপাশি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব ও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা খানম বলেন, “হাই কোর্টে একজন প্রার্থীর রিটের বিষয়কে কেন্দ্র করে, সেই নারী প্রার্থীকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে গণধর্ষণের হুমকি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
“হুমকিদাতা আলী হুসেনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে, যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।”
এসএম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম। ৫ অগাস্টের আগে এসএম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন, এর পরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন, এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট আবেদনে।
গত সোমবার তার রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে এবং আদেশের ১৫ দিনের মধ্যে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে।
ওই আদেশের পর শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করায় নির্বাচনের ‘বাধা’ কেটে যায়।
ফাহমিদাকে নিয়ে গত সোমবার বিকালে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আলী হুসেন। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এ আবাসিক শিক্ষার্থী পোস্টে লেখেন, “হাই কোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত। “কেউ এসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না, যে একে সাপোর্ট করবে ওপরের কথাটা তার জন্যও প্রযোজ্য।” তার এ পোস্টের পর থেকে ছাত্রদল ও বেশ কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন অভিযোগ করে, আলী হুসেন ছাত্রশিবিরের কর্মী।
আলী হুসেনকে শিবির নেতা হিসাবে অভিহিত করে গতকাল মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ডাকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছে সংগঠনটি।
আলী হুসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ছাত্রশিবির। ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নাইম হাসান হৃদয়ও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের অভিযোগের সূত্র ধরে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে ‘সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন’ দিতে বলা হয়েছে।
সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সারকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে আরও দুই সহকারী প্রক্টর শেহ্?রীন আমিন ভূইয়া এবং মো. রেজাউল করিম সোহাগ সদস্য হিসাব রাখা হয়েছে।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু ভোট সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের স্বার্থে পর্যাপ্ত বুথের ব্যবস্থা, আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলছে, “ডাকসু নির্বাচনের জন্য মোট ভোটারের অনুপাতে যথেষ্ট সংখ্যক বুথ নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথভাবে ব্যালট যাচাই করে ভোটদানের জন্য প্রত্যেক ভোটারের কত সময় লাগবে তা বাস্তবসম্মতভাবে নির্ণয় করে তার ভিত্তিতেই বুথের ব্যবস্থা করতে হবে। “এই প্রাক্কলন অনুযায়ী প্রয়োজন হলে বুথের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বুথের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এখনো বুথের সংখ্যা যথেষ্ট নয় বলে আমরা মনে করি এবং প্রাক্কলন অনুযায়ী সংখ্যা নির্ধারণের দাবি জানাই।”
নির্বাচনে ভোটদানের সময়সীমা আরও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা খানম বলেন, “কতগুলো বুথ হবে এবং কত সময় লাগবে তার সুস্পষ্ট পরিকল্পনা শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ বা দ্বিমত থাকলে সে বিষয়গুলো সমাধান করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
“ভোটগণনা প্রক্রিয়াকে কার্যকরী ও স্বচ্ছ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার জন্য দৈনিক একটি নির্ধারিত সময়ে বসতে হবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি হিসেবে আচরণবিধি ও এর লঙ্ঘন সংক্রান্ত সকল কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে এবং সেগুলো যেন কোনো পক্ষের প্রতি বৈষম্যমূলক না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
“কোনো বিধিলঙ্ঘনের জন্য নির্ধারিত শাস্তি কী তা কোথাও উল্লেখ না থাকায় ঢালাওভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হলেও কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা দেখছি না। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাকে/ সেই প্যানেলকে উল্লেখিত সুনির্দিষ্ট শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।”নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব পালনের জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে যেন কোনো বৈষম্য না হয় তা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সাইবার বুলিং বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাহমিনা খানম বলেন, “সাইবার বুলিয়িং বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
“বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সম্পর্কে অরুচিকর পোস্ট ও মন্তব্য সহকারে আক্রমণ করা হয় এমন গ্রুপ বা পেইজে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি যে সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কমিউনিটির জন্য অপমানজনক হয়ে ওঠে তা বিবেচনা করতে হবে। এ ধরনের পেইজ/গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটদানের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে নিরাপদে আগমন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন অনুসারে বাস ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলছে, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকল পরীক্ষা ও ক্লাস বাতিল করেছিল। পরবর্তীতে তারা ৭ তারিখের পরীক্ষা ও ক্লাস বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৮ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে।
“আমরা মনে করি, শুধু নির্বাচনের দিন ক্লাস ও পরীক্ষা একযোগে বন্ধ করা এবং নির্বাচনের আগের দুইদিন অর্থাৎ ৭ ও ৮ তারিখ কেবল পরীক্ষা স্থগিত থাকলেও ক্লাস চালু রাখা যৌক্তিক। আমরা এ প্রস্তাব বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সহযোগিতা আশা করি।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নেটওয়ার্কের সংগঠক অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা।
এদিকে, ডাকসু নির্বাচনের এক প্রার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া শিক্ষার্থীকে ছাত্রশিবির নেতা আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। তারা হুমকিদাতাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক শাস্তির দাবিও তুলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাম্পাসের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এসময় তারা ‘এসো ভাই, এসো বোন, গড়ে তুলি অঙ্গীকার’; ‘আলী হুসেনের ছাত্রত্ব, বাতিল করো করতে হবে’, ‘নিপীড়কের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে রোকেয়া হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক শ্রাবণী আক্তার বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি দিতে পারে না। রাজনীতিতে নারীদেরকে নিরাপদ করে তুলতে হবে।”
এই আলী হুসেনকে শিবির নেতা অভিহিত করে গতকাল মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এর আগে সোমবার রাতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় ছাত্রশিবির। ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নাইম হাসান হৃদয়ও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে শামসুন্নাহার হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক বিথি হাসান বলেন, “রাজনীতিতে নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী আমাদেরকে আটকে রাখতে চায়। “ডাকসুতে নারী শিক্ষার্থীরা কম অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
ছাত্রদল মনোনীত ডাকসুর জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম বলেন, “নারী শিক্ষার্থীদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ইসলামের নাম ধরে একটি সংগঠন নারীদের নিরাপত্তার কথা বলে, অথচ তারাই নারীদেরকে হেনস্তা করে।
“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনকে পেছাতে ফাঁকফোকর রেখেছে। আলী হুসেনের বিরুদ্ধে প্রশাসন এখনো ব্যবস্থা নেয়নি। যারা জাতীয় নির্বাচন ও ডাকসু পেছাতে ষড়যন্ত্র করছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে লাল কার্ড দেখাবে।”
ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “৫ অগাস্টের পরে নারীদেরদের পোশাকের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করেছে একটি গুপ্ত সংগঠন; যারা নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে আলী হুসেন নামের একজন শিক্ষার্থী তার সহপাঠীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে।
“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে বিন্দু পরিমাণ ব্যবস্থা নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রের কাছে আহ্বান জানাই- আলী হুসেনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করবেন। তাকে অ্যাকাডেমিক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন। আমাদের সুস্থ, সুন্দর, নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে হবে।”
বিক্ষোভ শেষে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলী হুসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সারকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে আরও দুই সহকারী প্রক্টর শেহ্?রীন আমিন ভূইয়া এবং মো. রেজাউল করিম সোহাগ সদস্য হিসাব রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংসদের সভাপতি ও ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু অসুস্থতার কারণে নির্বাচনী প্রচারে থাকতে পারবেন না। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তারা অপারেশন হবে বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি নিজেই এ কথা জানান। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “যে ভয়টা পাচ্ছিলাম সেটাই সত্য হল। শরীর বিট্রেই করল। আজ রাতে এপেন্ডিক্স অপারেশন। সশরীরে আর মনে হয় ক্যাম্পেইন করতে পারব না। সরল অপারেশন এমনিতে। কিন্তু ডাক্তার কোনোভাবেই দেরি করতে রাজি নন। অবস্থা নাকি ইতিমধ্যেই বেশ খারাপ।” তিনি রাজনৈতিক শত্রু-মিত্র সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।
স্ট্যাটাসের কমেন্টে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের পাশাপাশি শুভকামনা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতারাও।
ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত বলেন, “সুস্থ হও দ্রুত, দোয়া রইলো।
ঢাবি শিবিরের সভাপতি ও ডাকসুর জিএস পদপ্রার্থী এসএম ফরহাদ বলেন, “দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা রইলো, দাদা।
বাগছাসের প্যানেল থেকে জিএস পদপ্রার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, “তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান এই কামনা দাদা।
উমামা ফাতেমার প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ও ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদি ভূঁইয়া বলেন, “সুস্থ হয়ে উঠুন, দাদা।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, “ফি আমানিল্লাহ ভাই, ইনশাআল্লাহ দেখতে আসবো।
প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ইতিমধ্যে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আলাদা প্যানেল দিয়েছে। বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো দুটি প্যানেল দিয়েছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে মোট প্যানেল ১০টির মতো। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সদস্য পদে সবচেয়ে বেশি ২১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে।
