সৎ-ত্যাগীদেরই মনোনয়ন কঠোর অবস্থানে তারেক

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আমিরুল ইসলাম অমর

সরকারের ঘোষিত সময় অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এর ফলে রাজনীতিতে নির্বাচনি হওয়া বইছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল এরইমধ্যে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। তবে বিএনপি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আসনেই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেনি। যদিও দলের ভেতরে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েছেন বলে দাবি করছেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয় বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে বিএনপির প্রার্থী কে হতে পারেন, সেটা নিয়ে দলের ভেতরে কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে এরইমধ্যে একাধিক জরিপও করা হয়েছে। কাকে কোথায় প্রার্থী করলে জিতে আসতে পারেন, একইসঙ্গে পজিটিভ ইমেজ আছে- এগুলো বিবেচনা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করার চিন্তা-ভাবনা করছে বিএনপি। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই প্রাথমিক বাছাই শেষ করবে দলটি। আর তফসিল ঘোষণার পরপরই বিএনপি তাদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবে।

অবশ্য, নির্বাচন সামনে রেখে এরইমধ্যে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। যারা মনোনয়ন পেতে পারেন অথবা মনোনয়নপ্রত্যাশী, তারা নিজ নিজ এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়িয়েছেন, গণসংযোগও অব্যাহত রেখেছেন। দল-ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফাকেন্দ্রিক প্রচারণা চালাচ্ছেন। মানুষের মন জয়ে তারা নানা কর্মকাণ্ডে নিজেদের যুক্ত রেখেছেন। কোনো কোনো প্রার্থী বিভিন্নভাবে দলের হাইকমান্ডের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ লন্ডনেও যাচ্ছেন নিজের সম্ভাবনার কথা জানাতে। পাশাপাশি দলের বিভিন্ন পর্যায়েও যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

বিএনপি মনে করছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় বিভিন্ন ফোরাম এবং সাংগঠনিক কর্মসূচিতে একাধিকবার এ কথা বলেছেন। নেতাকর্মীদেরও সেভাবে সতর্ক থাকতে বলেছেন। একইসঙ্গে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষের পাশে থেকে তাদের মন জয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ভাবমর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে ৫ আগস্টের পরে অপকর্মে জড়িত এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি।

দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায়ও সেটা বজায় রাখা হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। বিতর্কিত কাউকেই তিনি প্রার্থী করতে চান না।

এদিকে, যেসব এলাকায় একাধিক প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছেন, সেখানে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান। তিনি মনোনয়ন পাওয়া নেতার পক্ষে কাজ করার জন্য সবাইকে তাগিদ দিচ্ছেন। দলের নির্দেশনা অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হচ্ছে।

শুধু অভিজ্ঞ নেতাদের ওপর ভরসা নয়, তরুণ, শিক্ষিত ও পেশাজীবীদের নিয়ে নতুনভাবে প্রার্থী বাছাই করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। দলটির নেতাদের মতে, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের যুক্ত করলে রাজনীতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে, বাড়বে গ্রহণযোগ্যতা।

তবে প্রার্থী হিসেবে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, ভেদাভেদ ভুলে তার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা এরইমধ্যে নেতাকর্মীদের দিয়েছেন খোদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে যেসব এলাকায় একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন, দ্বন্দ্ব আছে, সেসব আসনের নেতাদের সঙ্গে নিজে কথা বলছেন তারেক রহমান। এদিকে, বিএনপির এমন ভাবনাকে দলের ভেতরে-বাইরে শক্তি বাড়াবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দলটির শীর্ষ নেতারাও মনে করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ গুছিয়ে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমলে ছিটকে যাওয়া ভালো প্রার্থীর সঙ্গে নতুন মনোনয়নপ্রত্যাশী যোগ হচ্ছে। ফলে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী খুঁজতে গিয়েও কিছুটা বেগ পেতে হবে। যে কারণে ভালো প্রার্থী বের করতে একাধিক মাঠ জরিপও চালানো হয়েছে। সেই জরিপের ফল এবং দলের নীতিনির্ধারণী নেতাদের মতামত ও তৃণমূলে জনপ্রিয়তা বিবেচনায় অন্তত দুশোর মতো প্রার্থী দলের ইতিবাচক বার্তা পেয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। যদিও দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এখনও কাউকে গ্রিন সিগন্যাল বা সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি।

বিএনপি মনে করছে, অতীতের মতো শুধু রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দিলে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া কঠিন হতে পারে। তাই এবার প্রার্থী নির্বাচনে সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে সততা, স্বচ্ছতা, পেশাগত দক্ষতা ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। যে কারণে কোথাও কোথাও হেভিওয়েট প্রার্থীও বাদ পড়তে পারেন। কোথাও কোথাও প্রবীণ নেতাদের সন্তানদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, শিক্ষক, আইনজীবী, কৃষিবিদ, খেলোয়াড়সহ বিভিন্ন পেশার গ্রহণযোগ্য প্রতিনিধিদের মনোনয়নের ক্ষেত্রে সুবিধা দেওয়া হতে পারে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় শুধু বয়স নয়, বিবেচনায় থাকবে জনপ্রিয়তা, সততা, জনসেবা এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ। দলের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে, কিছু আসনে হেভিওয়েট নেতাদের পরিবর্তে নতুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

অন্যদিকে সাবেক ছাত্রনেতাদের সামনে আনার চিন্তাও আছে বিএনপি। ইতোমধ্যে নির্বাচনের মাঠ তৈরিতে কাজ শুরু করেছেন অনেক সাবেক ছাত্র নেতা। দলীয় সূত্র বলছে, যেসব ছাত্রনেতা এলাকায় সুপরিচিত, সুনামের অধিকারী এবং যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা দুর্নীতির অভিযোগ নেই তাদেরও মনোনয়নের সুযোগ মিলতে পারে।

এরইমধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেও এমন আভাস মিলেছে। তিনি বলেছেন, মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন, তরুণ প্রার্থী ও মাঠে সক্রিয় নেতারা প্রাধান্য পাবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্লিন ইমেজ, ত্যাগী, দক্ষরা অগ্রাধিকার পাবেন। ভোটারদের মধ্যে বড় অংশ তরুণ। তাদের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে কাজ করতে পারবেন এমন নেতা আমাদেরও খুঁজে বের করতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি একাধিক সভায় বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন সহজ হবে না। তবে অন্তর্ভুক্তিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তরুণ, নারী ও পেশাজীবীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। তারেক রহমানের ভাষায়, ‘আমরা এগোচ্ছি নতুন যুগে; যেখানে সততা, তরুণ নেতৃত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হবে রাষ্ট্রগঠনের ভিত্তি। রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে।’

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও তিনি লেখেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি তৈরি করেছে। তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ আরও শক্তিশালী করছি। তরুণরা বাস্তব সুযোগ চায়, ফাঁকা বুলি নয়। জনগণ স্থিতিশীলতা চায়, বিশৃঙ্খলা নয়।’

সম্প্রতি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দিয়ে তারেক রহমান বলেছেন, বিশাল দল আমাদের, এতসংখ্যক নেতাকর্মী আমাদের। থাকতেই পারে বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিভিন্ন মতামত, থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দলের যখন একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে যাবে, আমাদের কাজ হচ্ছে দলের সিদ্ধান্তের পিছে এসে দাঁড়ানো। কারণ আপনারা ধানের শীষের কর্মী, জাতীয়তাবাদী শক্তির কর্মী আপনারা।’ তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রত্যেকটি নেতাকর্মী ইস্পাতের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, ইনশাআল্লাহ আমরা একটি সফল জনরায় আমাদের পক্ষে আনতে সক্ষম হবো।’

দলের এমন ভাবনায় নির্বাচনি মাঠে কাজ করা তরুণ, জনপ্রিয়তা আছে এমন নেতাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হচ্ছে। হাইকমান্ডের এমন ভাবনাকে তারা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে প্রার্থী বাছাইয়ে ব্যতিক্রমী চিন্তার মাঝে যাতে এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন, গ্রহণযোগ্যতা নেই এমন কেউ সুযোগ না পায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ তাদের।

সূত্রমতে, অক্টোবর মাসের মধ্যে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করতে চায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম এই দল। এ লক্ষ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নানাভাবে কাজ করছেন। দলীয় প্রার্থী ঠিক করার পাশাপাশি সমমনা ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসন ছাড় ও মনোনয়নের বিষয়টিও দ্রুত সুরাহা করতে চাইছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এ ক্ষেত্রে বেশি সময় নেওয়া হলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সুযোগ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।

এবারের সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একক প্রার্থী চূড়ান্তে তৎপর বিএনপি। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে দলটি। এবার দেশের মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই তরুণ। তাদের ভোট টানতে এরইমধ্যে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিএনপি। এরই অংশ হিসাবে প্রার্থী মনোনয়নে অপেক্ষাকৃত তারুণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাবেক ছাত্র ও যুব নেতারা এগিয়ে আছেন।

নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলের জন্য ত্যাগ, বিগত দিনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা, দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থাকা ও সাংগঠনিক দক্ষতাণ্ডএসব মানদ- যাচাই করে প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ বাস্তবতা বিবেচনায় তরুণ প্রার্থীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। মূলত সে কারণেই মনোনয়নে চমক হতে পারেন ‘যোগ্য’ তরুণরা। এরই মধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় এ ধরনের শতাধিক নেতা গণসংযোগ শুরু করেছেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন লাভে তারা কেন্দ্রেও দৌড়ঝাঁপ করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

এদিকে, অপেক্ষাকৃত তরুণ, সংগঠনের জন্য নিবেদিত এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত নয়- তাদের হাতেই আগামী নেতৃত্বের ঝাণ্ডা তুলে দেওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি। দলটি মনে করছে, ৫ আগস্টের পরে তরুণ নেতৃত্বের প্রতি মানুষের এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। জনগণের সেই আগ্রহ-আকাঙ্ক্ষাকে কিভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জায়গা দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে ভাবছে হাইকমান্ড। এতে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে চমক আসতে পারে। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে শতাধিক আসনে তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হতে পারে। বাদ যোতে পারেন দলটির পরিচিত অনেক হেভিওয়েট নেতা।

দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র মতে, অতীতে বারবার নির্বাচন করেছেন এমন সিনিয়র নেতা কিন্তু এলাকায় অজনপ্রিয় হয়ে গেছেন এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকাসহ যাদের ভাবমর্যাদা সংকটে রয়েছে- তাদের ব্যাপারে বিএনপি এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে সারা দেশে তিন ডজনেরও বেশি হেভিওয়েট নেতা দলীয় মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। এদের মধ্যে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির দুই-একজন নেতাও থাকতে পারেন। অনেককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও বিএনপি সরকার গঠন করলে তাদের মন্ত্রিসভায় রাখা নাও হতে পারে।