জুলাই শহিদের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করবে সরকার

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদের কবরগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণসহ বিনা খরচে আদর্শিক স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করবে সরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট এক বৈঠকে নেওয়া এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি? স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, সংশ্লিষ্ট জেলা ও সকল পৌরসভায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব চিঠির অনুলিপি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত সভায় সব পৌরসভা এলাকায় বীর শহীদের কবর চিরস্থায়ী হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এমতাবস্থায় বীর শহিদের কবর স্থায়ী হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে। গণকবর ও অশনাক্ত কবর যাচাইয়ের কাজ চলমান। কয়েকটি জেলায় শহিদ পরিবার নিজস্বভাবে কবর সংরক্ষণ করেছে। কয়েকটি শহীদ পরিবারের কবর পাকাকরণে আপত্তি আছে বিধায় কবর সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। বর্ষার কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি জেলায় কবর সংরক্ষণের কাজ শুরুর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গণকবরের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান আছে বলেও ওই সভায় জানানো হয়। এর আগে গত ৩১ আগস্ট সভায় জানানো হয়, দেশের মোট বাঁধাই করা কবরের সংখ্যা ৩৫১টি।

৬৪ জেলায় জেলা পরিষদের চিহ্নিত কবরের সংখ্যা ৬৭২টি এবং এর মধ্যে কবর বাঁধাই সম্পন্ন করা হয়েছে ৩৩৫টি; সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট চিহ্নিত কবরের সংখ্যা ৬৮টি এবং এর মধ্যে কবর বাঁধাই করা হয়েছে ১৬টি। সনাতন ধর্মালম্বী শহিদের সংখ্যা ৮ জন এবং পটুয়াখালী জেলায় স্থানীয়ভাবে ডিজাইন অনুযায়ী ১টি সমাধি সৌধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী একজন। স্থানীয়ভাবে ডিজাইন সম্পন্ন করে সংরক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।