বিক্ষোভ-বর্জনের মধ্যে জুলাই সনদ স্বাক্ষর

* জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদরা * গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা * ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সরিয়ে দিল পুলিশ, লাঠিপেটা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আগুন * ধানমন্ডিতে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সড়ক অবরোধ * ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যের মধ্যেই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সনদে স্বাক্ষর করেন।

তবে, সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে জুলাই সনদে সংশোধনের দাবিতে ‘জুলাই যোদ্ধারা’ সংসদ ভবনের বাইরে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। সড়কে টায়ার ও কাঠ এবং অনুষ্ঠানের জন্য বাইরে বানানো ছোট ছোট তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেন। এই ক্ষোভণ্ডবিক্ষোভের মুখে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চার বাম দল- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বর্জন করে।

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদরা : গতকাল বিকেলে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সমঝোতার দলিলে স্বাক্ষর করেন। বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসানসহ বিভিন্ন দলের নেতারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সনদে কিছু কিছু ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে। এখন এই নোট অব ডিসেন্টগুলো কেমন করে আমরা মিনিমাইজ করব, যারা আজকে স্বাক্ষর করছেন না, তারা কেমন করে সম্পৃক্ত হবেন- ভবিষ্যতে সেটা নিয়ে কাজ করব। প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়ন করা যায়, আমি মনে করি গণতন্ত্রের পথে একটি শক্ত যাত্রা শুরু হবে।

অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার দিনে এ রকম ঘটনা বিব্রতকর ও লজ্জাজনক। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতির ঘোষণার পরও যে পরিস্থিতি হয়েছে তা অভ্যুত্থানের জন্য ভালো বার্তা না। আইনজীবী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা শিশির মনির বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা তিনটি দাবি উত্থাপন করেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলেছি, কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। কমিশন অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তাদের দাবি মেনে নিয়ে এরইমধ্যে জুলাই সনদে পরিবর্তন করেছে। তাদের আর কোনো উদ্বেগ থাকার কথা নয়।’

গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ- প্রধান উপদেষ্টা : গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের এক নতুন জন্ম ঘটেছে। এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের কারণে।’ তিনি এই সনদ স্বাক্ষরকে অভ্যুত্থানের ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করে আত্মত্যাগকারী নাগরিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ড. ইউনূস বলেন, ‘জাতি আজ এক নবজন্মের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানেই এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। জুলাই সনদ সেই আন্দোলনের পরিণতি, যা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অংশগ্রহণে একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণের প্রতীক।’ বক্তব্যের শুরুতেই তিনি গণঅভ্যুত্থানের শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যারা রক্ত দিয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মত্যাগের ফলেই আজকের এই দিনটি সম্ভব হয়েছে। সারা জাতি তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।’

সংবিধান ও সরকার পরিচালনায় পরিবর্তনের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সুযোগে জাতি পুরোনো বিতর্ক ও অপ্রয়োজনীয় আলোচনার বাইরে এসে নতুন ধারার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সংবিধান সংস্কার ও সরকার পরিচালনায় যুগোপযোগী রূপান্তরই এখন সময়ের দাবি।’ ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর, নাগরিক অধিকার ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার এক নতুন যুগের সূচনা করবে।

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সরিয়ে দিল পুলিশ, লাঠিপেটা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আগুন : ‘জুলাই শহিদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেয় একই রঙের পোশাক ও টুপি লোকজন। মঞ্চের সামনে থেকে জুলাই যোদ্ধাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। এ সময় ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ কয়েকজন আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে ‘জুলাই যোদ্ধারা’ বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ করে এবং কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে একদল ব্যক্তি আবার মঞ্চের দিকে ঢুকে যায়। এ সময় পুলিশ আবার তাদের সরিয়ে দেয়। নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ দাবি করে রুবেল নামের একজন ব্যক্তি বলেন, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিপেঠায় তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা করা হয়েছে। পুলিশের পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছেন।

ধানমন্ডিতে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সড়ক অবরোধ : গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে একদল বিক্ষোভকারী ধানমন্ডি এলাকার মিরপুর সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ধানমন্ডি-২৭-এর রাপা প্লাজার সামনে জড়ো হন। এর আগে তাদের জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীরা কেবল অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে দিচ্ছে এবং অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে দিচ্ছে। রাপা প্লাজার কাছে তাদের ভিডিও ধারণ করছিলেন এক পথচারী। তার ফোন কেড়ে নিয়ে ফুটেজ মুছে দেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিক্ষোভকারী দাবি করেন, তারা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলেন, কিন্তু পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

‘জুলাইযোদ্ধাদের’ ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ : ঢাকায় ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ওপর হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। গতকাল ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জুলাই যোদ্ধারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কের দু’পাশে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এতে মহাসড়কে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ সময় ‘ঢাকায় হামলা কেন, ইন্টিরিম জবাব চাই’, ‘জুলাই যোদ্ধারা আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘ইন্টিরিম সরকার, ব্যর্থ ব্যর্থ’ এমন নানা স্লোগান দেন তারা। এ সময় জুলাই যোদ্ধা নেতারা বলেন, আমরা আন্দোলন করেছিলাম, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জন্য। এখন আমাদের ওপর হামলা চালানো মানে সেই চেতনার ওপর হামলা। ফেনী মডেল থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, ‘অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এখন আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামায় যা রয়েছে : জুলাই জাতীয় সনদে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে স্বাক্ষরকারীরা সনদ বাস্তবায়নে সাত দফা অঙ্গীকার করেছেন। এগুলো হলো-

১। জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।

২। যেহেতু জনগণ এই রাষ্ট্রের মালিক, তাদের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণত জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে সেহেতু রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ গ্রহণ করেছি বিধায় এ সনদ পূর্ণাঙ্গভাবে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করব।

৩। জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করব না, উপরন্তু উক্ত সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করব।

৪। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের দীর্ঘ ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করব।

৫। গণঅভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।

৬। জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তথা সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান এবং বিদ্যমান আইনগুলোর প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব। ৭। জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত যে সকল সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করেই দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।