নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জামায়াতের প্রভাব নিয়ে চিন্তিত বিএনপি

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আমিরুল ইসলাম অমর ও আরিফুল ইসলাম

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রসাশন ও নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর রাজনীতির ফাঁকা মাঠে জামায়াত শক্তিশালী হয়েছে। সঙ্গে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনে দলটি প্রভাব বাড়িয়েছে। বিএনপি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গুরুত্বপূণ পদে অনেক রদবদল হচ্ছে। এসব রদবদলে জামায়াতের সমর্থন করে এমন কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হচ্ছে। ইসির এ কর্মকর্তারা জাতীয় নির্বাচনকে জামায়াতের পক্ষে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। এছাড়া কমিশনারদের মধ্যে জামায়াতের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নির্বাচনের আগে তাদের উদ্বেগ উত্থাপন ও ‘জরুরি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা’ চাইতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল শিগগির এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও সিইসির সঙ্গে দেখা করবে।’ গত সোমবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন সদস্য জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন। একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘যদি জামায়াত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে ভোট কারচুপি বা নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন।’ দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান শিগগির নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবেন।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের জন্য সময় চাইবেন এবং দলীয় কর্মকর্তাদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা দেবেন।

তাদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ বিগত নির্বাচনগুলোতে রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে ভোট কারচুপি করেনি, করেছে ‘নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী সরকারি কর্মকর্তাদের’ ব্যবহার করে। একই কৌশলের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছে বিএনপি।

বৈঠকে উপস্থিত স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘ইতোমধ্যেই ডিসি, এসপি ও ইউএনওসহ বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার সংযোগ রয়েছে জামায়াতের সঙ্গে।’ তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি, ইসলামী ব্যাংকের প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন। এগুলোই উদ্বেগের।’ আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্যানেল চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।

গত ২ সেপ্টেম্বর এক সার্কুলারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সরকারি অফিস, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, ব্যাংক ও বীমা কোম্পানি থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়ে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে।

স্থায়ী কমিটির সভায় বিএনপি নেতারা বলেন, যাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের অনেকেই একসময় শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অথবা বর্তমানে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

এদিকে দলনিরপেক্ষ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসন ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে ‘সবুজ সংকেত’ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ তুলছে, নিরপেক্ষতা নয়, বরং দলীয় আনুগত্যই যেন নিয়োগের প্রধান মানদ- হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলো ততই দলীয়করণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, অভিযোগ তুলছে। বিশেষত রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হচ্ছে যে, সরকারের গত এক বছরে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং মাঠ প্রশাসনে ‘একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের’ অনুগত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে।

নতুন জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগের পর দলীয়করণ-সংক্রান্ত এই বিতর্কের পালে তীব্র হাওয়া লেগেছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তিনি ‘একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের’ আদর্শে বিশ্বাসী কর্মকর্তা। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত এক বছরে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনে ‘একটি বিশেষ দলের অনুগতদের’ পদায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে তাদের অনুগত উপদেষ্টাদের সমর্থন রয়েছে।

এ অবস্থায় দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে ‘নিরপেক্ষ’ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হচ্ছে। দুটি দলের এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কারণে প্রশাসনে নিরপেক্ষতার সংকট সৃষ্টি হওয়ার এবং নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক পর্যালোচকরা।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে ‘নিরপেক্ষ প্রশাসন’ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে এহছানুল হককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব করা হয়। কিন্তু তার নিয়োগ নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। জামায়াতে ইসলামীর এক শীর্ষ নেতা এক সমাবেশে বলেছেন, ‘জনপ্রশাসন সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এহছানুল হক ছাত্রজীবনে একটি বিশেষ রাজনৈতিক সংগঠনের দায়িত্বশীল ছিলেন।’ দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ‘সরকার উপদেষ্টাদের প্রভাবে এ পদটিতে এমন একজনকে নিয়োগ দিয়েছে, যার অতীত রাজনৈতিক আনুগত্য স্পষ্ট এবং দুর্নীতির ইতিহাসও দীর্ঘ। এর মাধ্যমে প্রশাসনে আবারও দলীয়করণে মহা ষড়যন্ত্র চলছে। অথচ এই পদটি নির্বাচনকালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কারণে এখানে একজন নিরপেক্ষ ও সৎ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে হবে।’

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সূত্র বলছে, জনপ্রশাসনে জ্যেষ্ঠ সচিব নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজনৈতিক আনুগত্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এখনও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। যারা অভিযোগ করছেন, তাদের অনেকেই নিজের অনুগত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। সরকার সেই চাপ উপেক্ষা করছে।

সূত্রটি বলছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রশাসনিক নিয়োগে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষত আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে তাদের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে বসাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে প্রশাসনে পদায়ন নিয়ে সরকারের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর চাপও বাড়ছে।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ছিল প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা। এজন্যই প্রথম মাসে গঠন করা হয় একটি প্রশাসনিক সংস্কার টাস্কফোর্স। টাস্কফোর্সের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল- রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর সমাধানে স্বচ্ছ নিয়োগ ও কর্মসম্পাদন মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, টাস্কফোর্সের সুপারিশগুলোর অগ্রগতি ধীর। অভিযোগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা পরিবর্তনের বিরোধিতা করছেন। কারণ এতে তাদের বিদ্যমান সুবিধা ও প্রভাব কমে যাবে।

প্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রশাসনিক সংস্কৃতি এখনও দলীয় প্রভাবের বাইরে যেতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে আশার বার্তা দিলেও সাম্প্রতিক নিয়োগগুলো সেই আস্থায় চিড় ধরাচ্ছে। নির্বাচনের আগে প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নির্বাচন কমিশনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। মাঠ প্রশাসনে ডিসি ও ইউএনওরা ভোট ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখেন। যদি নিয়োগে দলীয় আনুগত্য কাজ করে, তাহলে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব।’

আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ এখন বিশ্বাসযোগ্যতা। যদি জনগণ মনে করে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়, তাহলে তাদের নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্তই বিতর্কিত হয়ে পড়বে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে থাকতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এ লক্ষ্যে নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিশন গঠন করা যেতে পারে। এ ছাড়া ডিসি ও ইউএনওদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি ‘প্রশাসন নিরপেক্ষতা পর্যবেক্ষণ সেল’ চালু করা প্রয়োজন, যা নিয়োগ ও বদলির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। উপদেষ্টারা যাতে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে কাজ করেন, সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট আচরণবিধি নির্ধারণ জরুরি।

সরকারের একাধিক সূত্রমতে, নিরপেক্ষ প্রশাসন সাজানোর প্রক্রিয়ায় ড. ইউনূস সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষা। রাজনৈতিক চাপ, উপদেষ্টাদের প্রভাব এবং আসন্ন নির্বাচনজনিত পরিস্থিতি- সব মিলিয়ে প্রশাসন এখন এক কঠিন সন্ধিক্ষণে। তবে নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করতে হলে সরকারকে দলনিরপেক্ষ প্রশাসনের পথে হাঁটতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, প্রশাসন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তাদের সরিয়ে আওয়ামী লীগ বা জামায়াতপন্থিদের বসানো হচ্ছে। বিএনপিপন্থি কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে উপেক্ষা করা শুরু হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো বিএনপির প্রভাব দূর করা। বিএনপি-সমর্থিত কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত অথবা অন্তত জামায়াতে ইসলামীর অনুগতদের পদ দেওয়া হচ্ছে। এই ধারা এখন থানা, আদালত এবং সচিবালয়ের সব স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি-নির্মূলের এই পদক্ষেপ শুরু হয়েছে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির বলেছেন, জাতীয় রাজনীতিতে মূলধারার বড় দলগুলো যখন নিজেদের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও অসংহত অবস্থানে ভুগছে, তখন তুলনামূলকভাবে সংগঠিত জামায়াতে ইসলামী প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ক্রমেই প্রভাব বিস্তার করছে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে দলটির সাংগঠনিক শক্তি তেমন না বাড়লেও, প্রশাসন ও নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে তাদের আধিপত্য সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, চাকরিতে প্রবেশ করার সময় কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের অনুগত হয়ে যোগদান করে না। তারা যোগ্যতা অর্জন করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে। তবে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক সরকারগুলো গণকর্মচারীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পদোন্নতি ও ভালো পদায়ন দিয়েছে। এতে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা লাভবান হওয়ায় সরকার পরিবর্তনের পর তাদের আগের সরকারের দোসর মনে করা হয়। তিনি বলেন, ১৭ লাখ গণকর্মচারীর মধ্যে সবাই তো রাজনৈতিক দলের পক্ষে থাকে না। অনেকেই নিরপেক্ষ রয়েছেন। তার মতে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সরকারগুলোর একটি ভালো সম্পর্ক থাকে। সেটি এখনও রয়েছে। স্বাধীন প্রশাসন ব্যবস্থা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং স্বাধীন পুলিশ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে পারলে এ সমস্যা থাকবে না। সেটি বর্তমান সরকারের করার সুযোগ রয়েছে।