
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হয়। গতকাল বুধবার পৃথক পৃথক মামলায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। পরে তাদেরকে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে নেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। একজন অবসরকালীন ছুটিতে।
যাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ হয়েছে, তারা হলেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম। ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৫ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনাল থেকে সেনানিবাসের সাবজেলে : ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে নেওয়া হয়েছে। বুধবার এ তথ্য জানান কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে কারা কর্তৃপক্ষের সবুজ রঙের প্রিজন ভ্যানে করে তাদের সাবজেলে নেওয়া হয়। ১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার মক্কেলদের সাবজেলে (উপকারাগার) রাখা হবে। পরে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ১৫ সেনাসদস্যকে ঢাকা সেনানিবাসের যে সাবজেলে রাখা হয়েছে, সেখানে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সেনা সদরে ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’ ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করা হয়।
বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধাবোধ প্রশংসার দাবিদার- বললেন আইন উপদেষ্টা : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে সেনা সদস্যদের যেভাবে আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
আলাদা সাব-জেলের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, সাব-জেলে কেন রাখা হয়েছে, ওনাদের কোথায় রাখা হবে- এটা সম্পূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভুক্ত বিষয়। যেটা যথোপযুক্ত মনে করবেন, ওনারা করবেন। এটার জবাব দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।
কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে- চিফ প্রসিকিউটর : ট্রাইব্যুনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর সাংবাদিকদের সামনে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম ও জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামিদেরকে (সেনা কর্মকর্তা) গ্রেপ্তার করে আদালতে (ট্রাইব্যুনালে) হাজির করার ব্যাপারে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার না করার আহ্বান জানান তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আজকে (বুধবার) যাদেরকে উপস্থিত করা হয়েছিল তাদেরকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে ও বিচারের সোপর্দ করার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন কাজ করেছেন, তেমনিভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদেরকে মনে করি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, তারা এই আদালতের (ট্রাইব্যুনালের) বিচারিক প্রক্রিয়াকে সাহায্য করেছেন। তারা (সেনাবাহিনী) ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ল’ অফ দ্য ল্যান্ডের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল থাকবেন, বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের সব সমর্থন থাকবে। তারা সেই সমর্থন আমাদেরকে দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়েছেন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আসামিদেরকে গ্রেপ্ততার করে আদালতে হাজির করতে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে যারা অপপ্রচার করেন, তাদেরকে বলবো অপপ্রচার করবেন না। তারা জুলাই-আগস্টে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা হত্যাযজ্ঞের সময় ঢাল হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তা জাতি স্মরণ করে। এখন গুমের বিচারেও সহযোগিতা করছে।
ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন আযমী ও আরমান : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন বিগত সরকারের সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগীরা। তারা বলেন, আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা জেলে ডিভিশন পেতে পারেন। কিন্তু সাব জেলের নামে কোনও বৈষম্যের সুযোগ নেই। বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। এ সময় উপস্থিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আব্দুল্লাহ হিল আমান আল আযমী, ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান প্রমুখ।
আয়না ঘরে দীর্ঘ ৮ বছর গুমের শিকার জামায়াতের প্রয়াত সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ হিল আমান আল আযমী বলেন, ‘অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা বাহিনীর বাইরে র্যাবে যুক্ত হয়ে এসব অপকর্ম করেছেন। তবে তাদের সংখ্যা শতাংশেরও কম। তাই তাদের অপকর্মের দায়ভার পুরো সেনবাহিনীকে দেওয়া যাবে না। শুধু অপরাধে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
প্রায় ৮ বছর আয়নাঘরে থাকা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান বলেন, ‘সেনানিবাসের ভেতরে ঘোষিত সাবজেলে জেল কোড সঠিকভাবে অনুসরণ হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। বিশেষ করে তারা কি কোনোভাবে সার্ভিং সেনা সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিনা, এটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। যদি না হয় আমরা যারা ভুক্তভোগী ও সাক্ষি আছি, আমাদের জীবনের হুমকি আশঙ্কা থাকবে।’ আরমান আরও বলেন, ‘আসামিরা গ্রেপ্তার অবস্থায় ক্যান্টনমেন্টে (সেনানিবাস) অবস্থানকালে বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তা খুবই আতঙ্কজনক বিষয় হবে। তাই জেল কোড সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আমার আশাবাদ যে, দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের দিয়ে যেন ভাড়াটে খুনির কাজ আর করা না হয়। জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে আর কোনোদিন যেন জনগণের মুখোমুখি করা না হয়। আমাদের সার্বভৌমত্বের রক্ষক সেনাবাহিনী যেন আর কোনোদিন কোনও শক্তির পুতুল না হয়ে যায়- সেটা এই বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’ তিনি বলেন, ‘যারা দায়িত্বরত ছিলেন বা যাদের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় অপরাধীরা দেশত্যাগ করেছেন, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’
আত্মসমর্পণকারী সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ, অপরাধীরা পালিয়েছেন- আইনজীবী: মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন, তারা নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, এই মামলার মূল অপরাধীরা ভারতে পালিয়ে গেছেন। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামি হিসেবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার পর শুনানি শেষে আইনজীবী সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ১৫ আসামির আইনজীবী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘এর আগে সেনা সদরের আদেশে সংযুক্তকৃত ১৫ জন অফিসার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আজকে স্বেচ্ছায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সারেন্ডার করেছেন। তারা অনেক সিনিয়র অফিসার, অভিজ্ঞ অফিসার। আন্তর্জাতিক বাহিনীতেও অনেকে চাকরি করেছেন। তারা সবাই আশা করেন, তারা এই আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন।’ প্রসিকিউশন এই সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছিল। সে বিষয়ে প্রশ্নে আসামিদের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা জানি তারা আত্মসমর্পণ করেছেন। কিন্তু সেটা পুলিশের মাধ্যমে কোর্টে সারেন্ডার করেছেন, সেটাকে তারা বলেছেন যে তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না। আগে সেনা সদর ব্রিফিং করেছিল, সেখানে তারা বলেছে, তারা আর্মি হেফাজতে আছেন।’
মামলাগুলোর বাকি আসামিদের দিকে ইঙ্গিত করে আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই অফিসাররা অত্যন্ত আত্মবলে বলিয়ান এবং তারা নির্দোষ। তারা কোর্টের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলে আশাবাদী। যারা সত্যিকারের অপরাধ সংঘটন করেছেন, তারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে গেছেন। জেনারেল কবির, জেনারেল আকবর, জেনারেল তারিক সিদ্দিকী, জেনারেল মুজিব পালিয়ে গেছেন।’ এই মামলাগুলোয় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল- মামুনও আসামি। এর মধ্যে আল- মামুন গ্রপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অ্যাপ্রুভার। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে, তা শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’
সাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ : মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জন আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল বুধবার সকালে এ নির্দেশ দেন। পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য গতকাল আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তার আবেদন আমলে নিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য দুটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়।