ইসলামী ব্যাংক-ইবনে সিনার কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ নয়
ইসিকে প্রস্তাব বিএনপির
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ব্যাংক ও সমমনা প্রতিষ্ঠানের কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব না দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৬ দফার এক প্রস্তাবনা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে দিয়েছে দলটি।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং পারসোনাল তথা প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলের নিকট চিহ্নিত এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। যেমন- ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য যে, এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা/কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে এবং এসব শূন্যপদে তড়িঘড়ি করে দলীয় লোক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সিইসির কাছে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে মঈন খান বলেন, বিতর্কিত কাউকে যেন ভোটের দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া না হয়। এ সময় তার হাতে ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে করণীয় প্রস্তাবসমূহ নির্বাচন কমিশনের সহিত সভার জন্য প্রস্তাবিত কার্যপত্র’ শীর্ষক একটি দলিল দেখা যায়।
মঈন খান বলেন, বিতর্কিত কাউকে যেন ভোটের দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া না হয়। জাতীয় নির্বাচন একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। ৩০০ নির্বাচন এলাকায় ৪২ হাজার কেন্দ্র আছে। ভোটে ১০ লাখ লোক দরকার, তারা কারা? তারা সিভিল, পুলিশ, বিচার বিভাগ থেকে আসেন। বিগত ১৫ বছর প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে তৈরি করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা তাদের কাজ করবেন। তারা যেন বিনা বাঁধায় কাজ করতে পারেন। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রাম ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এই অবস্থায় এসেছি। নির্বাচন কমিশনকে বলেছি তারা যেন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কমিশনের দায়িত্ব।
