
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ক থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে। গতকাল শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানবন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে। তারপরও আগুনের ঘটনায় কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের আনা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, প্রবাসী শ্রমিকদের পাসপোর্ট ফি কমানোর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকে। আগুন নেভাতে গিয়ে আনসার বাহিনীর ২৫ সদস্যসহ মোট ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে অনুমান তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের। তারা বলেছেন, এ দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।