দুর্ভোগের পর মেট্রোরেল আবার পুরোপুরি চালু
* মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারের নির্মাণসামগ্রীর মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট * হেঁটে, ভ্যানে, পিকআপে দুর্ভোগের যাত্রা * মেট্রোরেল স্বাভাবিক হলেও জানেন না অনেকে, পড়েন তীব্র যানজটে * বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট মেট্রোর গতি ১০ কিলোমিটার * নিহত কালামের দাফন, ‘দুই সন্তান নিয়ে কোথায় দাঁড়াব’- স্ত্রীর প্রশ্ন
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক যুবকের মৃত্যুর পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত রোববার মেট্রোরেল আংশিক চালু হলেও গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল সেবা চালু হয়। বেলা ১১টার দিকে মেট্রোরেল সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে আবার চালু হয়। তবে, অনেক যাত্রী মেট্রোরেল চালুর তথ্য না জানায় সড়ক পথে যাত্রায় দুর্ভোগে পড়েন।
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড লাগানোর পর পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে একাধিক দফায় পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়। এতে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তাই বেলা ১১টায় পুরোদমে মেট্রোরেল চালু করা হয়। পুরোদমে চালুর পর বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে উত্তরামুখী প্রথম ট্রেন ফার্মগেট ছাড়ে। একই সময় আরেকটি ট্রেন মতিঝিলের পথে ফার্মগেট ছাড়ে।
মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারের নির্মাণসামগ্রীর মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট : মানুষের জীবন রক্ষায় ঢাকার মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রীর মান যাচাই ও নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। জনস্বার্থে গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এই আবেদন করেন। আবেদনে গত রোববার মেট্রোরেলের পিলার থেকে বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় মেট্রোরেল রক্ষণাবেক্ষণে কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে এ বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আরজি জানানো হয়। রিট আবেদনে মেট্রো রেলের জন্য একটি রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি গঠনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক এবং ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। আবদুল্লাহ আল মামুন আবেদনে বলেন, আবুল কালামের মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণ করে যে বিবাদীরা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত জীবনের অধিকার ও আইনের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজই হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় আগারগাঁও থেকে হেঁটে, ভ্যানে, পিকআপে দুর্ভোগের যাত্রা : ব্যাংক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে মেট্রোরেলে করে আগারগাঁও স্টেশনে নামেন, তিনি যাবেন মতিঝিলে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে আগারগাঁও বাসস্টেশনে অপেক্ষা করেও কোনো গাড়ি পাচ্ছিলেন না। আতিকুর রহমান বলেন, ‘পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চাইলাম, তার পরও সিএনজি যেতে রাজি হলো না। ইতিমধ্যে অফিসে ঢোকার সময় পেরিয়ে গেছে। আর কিছু সময় গেলে হয়তো অফিসেই যাওয়া হবে না। ছুটি নিতে হবে। কিছুই পাচ্ছি না, কী করব?’ সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আতিকুর রহমানের মতো অসংখ্য অসহায় মুখ দেখা গেল যায়। গত রোববার দুর্ঘটনার পর শাহবাগ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকায় এই পথে চলাচলরত মানুষদের ভোগান্তি চরমে ওঠে। বেলা ১১টার পর অবশ্য মেট্রোরেল পুরোপুরি চালু হয়। তবে তার আগ পর্যন্ত চলে ভোগান্তি। ১১টার আগ পর্যন্ত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলছিল মেট্রোরেল। এরপর আর যাচ্ছিল না বলে যাত্রীদের আগারগাঁও স্টেশনে নেমে যেতে হয়। এরপর চলে বাসে ওঠার লড়াই। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় বাস অনেক কম থাকায় বেশির ভাগ মানুষই উঠতে পারছিলেন না। ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটেই রওনা হন গন্তব্যে। কেউ কেউ ভ্যানে চেপে বসেন। মালবাহী পিকআপ ভ্যান পেয়ে তাতেও চড়ে বসেন অনেকে।
সাভার থেকে উত্তরায় গিয়ে সেখান থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও পর্যন্ত আসা সাইদুল ইসলাম আধা ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও বাস বা অটোরিকশা কিছুই পাচ্ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে যাব। রাস্তায় জ্যাম হবে ভেবে উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে উঠেছিলাম। আগারগাঁও থেকে মেট্রোরেলে প্রেস ক্লাবে যাব ভেবেছিলাম। এখন তো কিছুই পাচ্ছি না।’
আরেক যাত্রী সাহিদা খাতুন (ছদ্মনাম) আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট যাবেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেও কিছু পাচ্ছিলেন না তিনি। সাহিদা খাতুন বলেন, ‘ফার্মগেট যাব। এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি, কিছুই পাচ্ছি না। মিরপুর থেকে ফার্মগেটমুখী যেসব বাস আসছে, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে তাতেও উঠতে পারছি না। ভাড়ায়চালিত অ্যাপে বাইক ডাকার চেষ্টা করছি সেটিও পারছি না।’ গতকাল সকাল থেকে এই দুর্ভোগ চলছিল, তার অবসান ঘটিয়ে ১১টার পর মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দেয়।
মেট্রোরেল স্বাভাবিক হলেও জানেন না অনেকেই, পড়েন তীব্র যানজটে : দীর্ঘ সাড়ে ২২ ঘণ্টা পর উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক হয়। সোমবার বেলা ১১টা থেকে মেট্রোরেল পুরোপুরি স্বাভাবিক হলেও অনেকে না জানায় সড়ক পথে যাত্রা শুরু করেন। এতে সকাল থেকে অফিসগামী মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁও, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, রেইনবো, বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ মোড় এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়। অফিস সময়ে এসব সড়কে যানজটের কারণে সাধারণ যাত্রী ও অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। দুর্ভোগে পড়া সাধারণ মানুষ জানান, সকাল থেকে বিজয় সরণি থেকে কারওয়ান বাজার স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়ে সড়কে। নাজিবুল্লাহ আহসান নামের একজন যাত্রী আগারগাঁও মোড়ে প্রায় ১৫ মিনিট আটকে ছিলেন। যাবেন মহাখালী। তিনি জানান, মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় যানজট বেড়েছে। এর ফলে আগারগাঁও মোড়ে চতুর্দিক থেকেই গাড়ির চাপ। ফার্মগেট এলাকায়ও দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। এই এলাকায় গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। ফার্মগেটে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা বিল্লাল হোসেন জানান, সকাল থেকে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। এ কারণে একটি সিগন্যাল ছাড়লে অন্য সিগন্যাল ছাড়তে কিছুটা দেরি হয়।
বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট স্টেশনের মেট্রোর গতি মাত্র ১০ কিলোমিটার : দুর্ঘটনার দীর্ঘ সাড়ে ২২ ঘণ্টা পর ফার্মগেট স্টেশন দিয়ে মেট্রোরেল চলাচল করলেও বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের গতি অনেক কম। এ নিয়ে যাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানান। এক যাত্রী বলেন, আগেও বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের গতি কম ছিল। তবে গত রোববার দুর্ঘটনার পর গতি আরও কমেছে। এক যাত্রী গুগল ম্যাপে গতি পরীক্ষা করে দেখেন বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট স্টেশনের গতি মাত্র ১০ কিলোমিটার। কিন্তু অন্য স্টেশনের গতি ৭০ কিলোমিটার। আরেক যাত্রী বলেন, হয়তো ঝুঁকি রয়েছে এজন্য কম গতিতে চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) (উপসচিব) উপ প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ফার্মগেট স্টেশনে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তারা বলেছে আগের চাইতে স্পিড (গতি) কমানো হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে এর কারণ বা ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবো না।
নিহত কালামের দাফন, ‘দুই সন্তান নিয়ে কোথায় দাঁড়াব’- স্ত্রীর প্রশ্ন : ঈশ্বরকাঠি গ্রামটি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদর হতে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। পদ্মা ও কীর্তিনাশা নদীর তীরঘেঁষা নির্মল ও শান্ত গ্রামটিতে চলছে শোক। ঢাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামটির পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে। পরে সকাল ১০টার দিকে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে শেষবিদায় জানান।
আবুল কালামের বাড়ি উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে। তার এমন অকালমৃত্যু মানতে পারছেন না স্বজন ও গ্রামের মানুষেরা। তিনি ওই গ্রামের জলিল চোকদার ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে আবুল কালাম ভাইদের দিক থেকে সবার ছোট। ২০ বছর আগে তার বাবা ও মা মারা যান। এরপর তিনি বেড়ে ওঠেন বড় ভাই ও বোনদের কাছে। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায় বসবাস করতেন। আর কাজ করতেন রাজধানীর মতিঝিলের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে। ওই কাজের জন্যই প্রতিদিন তিনি নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা যাতায়াত করতেন।
জানাজায় অংশ নিয়ে ঈশ্বরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা নাঈম চোকদার বলেন, ‘আবুল কালাম ভাই ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের হওয়ায় এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন। সবার সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। মানুষটির এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি আমরা মানতে পারছি না।’
জানাজার আগে আবুল কালামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামবাসীরা তার কফিনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শেষবিদায় ও একনজর দেখার জন্য ভিড় করছেন তারা। প্রায় সবাই অশ্রুসিক্ত। পরিবারের সদস্যরা বাড়ির উঠানে বসে কান্না করছেন। স্ত্রী আইরিন আক্তার শিশুসন্তান কোলে নিয়ে এদিক-সেদিক ছুটছেন আর কান্না করছেন। স্বজনরা তাকে সান্ত¡না দিয়েও শান্ত করতে পারছেন না। জানাজার পর শিশুসন্তানকে কোলে কফিনের পেছনে ছুটছিলেন স্ত্রী আইরিন আক্তার। পরে স্বজনেরা তাকে সান্ত¡না দিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন।
আইরিন আক্তার বলেন, ‘গত রোববার সে (আবুল কালাম) যখন বাসা থেকে বের হয়, তখন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে চলে যাওয়ার পরও আমি দরজা বন্ধ করতে পারছিলাম না। জানি না তখন কেন যেন আমার বুক ফেটে কান্না পাচ্ছিল। আগে তো কখনো এমন হয়নি। এখন আবুল কালাম আমাকে সারা জীবনের জন্য কান্না উপহার দিয়ে চলে গেল। আমি দুই শিশুসন্তান নিয়ে কোথায় দাঁড়াব? কে আমাদের পাশে থাকবে?’
আবুল কালামের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আসমা বেগম বাড়ির উঠোনে বসে ডুকরে কাঁদছিলেন এবং দেবরের (আবুল কালাম) স্মৃতিচারণা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘শ্বশুর-শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর ওকে (আবুল কালাম) সন্তানের মতো মানুষ করেছি। সেও আমাকে মায়ের স্থান দিয়েছিল।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম খান জানান, আবুল কালামের দাফনের সব কাজ তারা সমন্বয় করেছেন। এ ছাড়া ওই পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে উপজেলা প্রশাসন। পরিবারটিকে সহায়তার বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।
