পর্যবেক্ষণের আড়ালে কেউ দুর্নাম করতে আসুক- চায় না সরকার
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের আড়ালে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্নাম করার জন্য আসুক, সেটা আমরা চাই না। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসছে কি না, কতগুলো দেশ আসার জন্য যোগাযোগ করেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ প্রাক্-নির্বাচনী দল পাঠিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই প্রতিনিধিদল এসেছে। তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা বলেছি- একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা পর্যবেক্ষণে আসতে চায়, তাদের আমরা উৎসাহিত করব। তবে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের আড়ালে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্নাম করার জন্য আসুক, সেটা আমরা চাই না। ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষণে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা চাই আরও পর্যবেক্ষক আসুক। নির্বাচন হওয়া নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ আছ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ঘটনার শেষ না হয়, দেশে-বিদেশে উদ্বেগ হতেই থাকবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক কারা হবেন, সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। আমরা ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করব।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আপনাদের সুযোগ দিলেও কেউ প্রশ্ন করেননি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার আদালতের নির্দেশ অনুসারে আইনি প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বিষয়টি ভারতের বিবেচনায় রয়েছে। তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের আইনি দিক পালন করেছি এবং আদালতের নির্দেশেই শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছি। এখন তারা (ভারত) তাদের মতো করে দেখুক। এখন পর্যন্ত তারা আমাদের কিছু জানায়নি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের সাংবাদিকরা ভারত গিয়েছিলেন। আপনাদের নিয়ে আমার একটা অবজারভেশন আছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যখন বলেছিলেন, তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন চান- তখন আপনাদের মুখে তারা একটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনারা কেউ সেই প্রশ্নটি করেননি। প্রশ্নটা ছিল- এই কথা গত ১৫ বছর বলেননি কেন? আগের নির্বাচনগুলো কি এই ফর্মুলায় সঠিক ছিল? সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেউ সেই প্রশ্নটি তোলেননি। তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হয়েছি, কারণ আপনাদের মধ্যে অনেক সিনিয়র ও অভিজ্ঞ সাংবাদিক ছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যখন সুযোগ দিয়েছিলেন, তখন অন্তত একটি প্রশ্ন তোলা যেত। বিব্রত না করলেও প্রশ্ন করার সুযোগ তো ছিল। এ সময় ঢাকায় নতুন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নিয়োগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে এমন কেউ আসবেন না, যার কারণে কোনো সমস্যা বা বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
