বাড়ছে বিরোধ, বাড়ছে শঙ্কা
‘গণভোট নিয়ে যে সিদ্ধান্তই হোক, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে’
ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে গভীর ফাটল : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সঙ্গে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটালেও এখন ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ নিয়ে গণভোট ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে চরম বৈরিতা তৈরি হয়েছে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের একই দিনে নাকি আগে- এ নিয়ে কথার লড়াইয়ে দল দুটির মধ্যকার রাজনৈতিক দূরত্ব দিনদিন বাড়ছে বৈ কমছে না। বিএনপি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। জামায়াতের দিকে আঙুল তুলে দলটির মহাসচিব বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। অন্যদিকে জামায়াত বলছে, বিএনপির এই অবস্থান তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় এবং নতুন করে রাজনৈতিক সংকট তৈরির অপপ্রয়াস। দলটির দাবি, নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের এই বিপরীতমুখী অবস্থানে সরকার কী সিদ্ধান্ত দেয়, এর দিকে এখন সারাদেশের দৃষ্টি
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে। কোনো শক্তি এটিকে পেছাতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শেষে এ কথা বলেন প্রেস সচিব। শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’ চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানে পুরুষ ও নারীরা রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। এখন নারীরা পিছিয়ে নেই। সব ক্ষেত্রেই তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন। তরুণদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন ২০২৫’-এর আয়োজন করা হয়।
নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম প্রমির সভাপতিত্বে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসমাঈল হোসেন।
