বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম নিয়ে অস্থিরতা

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সরবরাহ কমার অজুহাতে দেশের বাজারে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ টাকার কাছাকাছি। ৮০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ এখন ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আবার বাজার ভেদে পেঁয়াজের দামের তারতম্য রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। শান্তিনগর, মিরপুরের বিভিন্ন খুচরা দোকানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। অন্যদিকে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার কাছাকাছি। অথচ শনিরআখড়া বাজারে গতকাল সকালে ওই পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আশপাশের পাড়া-মহল্লায় দাম আরও পাঁচ টাকা বেশি।

হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়া, আমদানি প্রক্রিয়া ধীর হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের মজুদ প্রবণতা বাড়ায় খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর টাউন হলের পেঁয়াজ বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দাম একটু বেশি। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় এখন খুব অল্প লাভে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করলেও ৮ থেকে ১০ টাকা লাভ হতো, এখন ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও ৩ টাকার বেশি লাভ হচ্ছে না।

রাজধানীর গুদারাঘাট কাঁচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী রিপন মিয়া বলেন, গত মঙ্গলবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার মান ভেদে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে যে দামে আমরা কিনতে পারি, সেভাবেই তো বিক্রি করব। পেঁয়াজের দাম কয়দিনের মধ্যেই বাড়ছে। কদমতলী এলাকার খুচরা বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, যদিও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ তলানিতে, তারপরও দাম একলাফে এতটা বাড়ার কথা নয়। কিন্তু নতুন পেঁয়াজ না উঠায় মজুদকারীরা দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে পেঁয়াজের বিক্রি কমে গেছে।

শ্যামবাজারের পাইকারি বিক্রেতারা বলেছেন, বছরের এমন সময় এমনিতেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়তি থাকে। এবার সেভাবে বাড়েনি। কিন্তু বর্তমানে ভারতের পেঁয়াজ আমদানিও বন্ধ রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি বাজারে না পাওয়ায় এখন প্রতিদিন দাম বাড়ছে। ঢাকার উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছি ৬০ টাকা কেজি, এবার কিনলাম ১২০ টাকা দিয়ে। হঠাৎ করেই দাম অনেক বেড়ে গেল।

দেশের আমদানি পেঁয়াজের অধিকাংশই ভারতীয়। এ অর্থবছরেও আমদানির ৯৯ শতাংশ এসেছে ভারত থেকে। গত বছর ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়লে দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়। এরপর দেশে উৎপাদন বাড়লে আমদানি অনুমতি (আইপি) বন্ধ রাখা হয়। তবে গত এপ্রিল ও আগস্ট মাসে দাম বাড়লে আইপি দেওয়া হয়। মৌসুম শেষে দেশি পেঁয়াজের যোগান স্বল্পতা এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এই অবস্থা আরও এক সপ্তাহ দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব আমদানি করা দরকার আছে কি না। কারণ কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ মাসেই প্রায় এক লাখ টন নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। আগামী মাসে আসবে আড়াই লাখ টন এবং সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সক্ষমতার জানান দিতে চাই। আমরা চাচ্ছি দেশি পেঁয়াজে যে মৌসুম শেষ করা সম্ভব সেই তথ্যটা সবাইকে দিতে। কারণ সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে পেঁয়াজের পরিবহনে সামান্য যে সমস্যা হয়েছিল সেটাকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। আমদানির জন্য চাপ তৈরি করছে। বাণিজ্য সচিব দাবি করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপকভাবে কাজ চলছে, যার প্রভাব দ্রুতই দৃশ্যমান হবে।

এদিকে, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও রাজশাহীর পাইকারি ব্যবসায়ী এবং পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আইপি বা আমদানি অনুমতি অনেকদিন ধরে বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। তাদের মতে, চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে কয়েকদিনের মধ্যে যদি যোগান না বাড়ে তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।

যদিও পেঁয়াজের দাম আর বাড়ার কোনো কারণ দেখছে না বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব)। সংস্থাটি বলছে, কিছুদিনের মধ্যেই দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে, এই মুহূর্তে আমদানি অনুমতি যাতে দেওয়া হয়, সেজন্য কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।

বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের বাজারে অস্থিরতা অনেকটা নিয়মিতবিষয়। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলো নিয়ে বছরের কোনো না কোনো সময় নানা আলোচনা-সমালোচনা, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটসহ নানা বিষয় সামনে আসে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ করেই গত দশ দিনের ব্যবধানে দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যার কারণ হিসেবে দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়া এবং পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ বন্ধ থাকাকেই দুষছেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে জোগান ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। অনেকেই এমন প্রশ্ন তুলছেন যে, একদিনের ব্যবধানে একটি পণ্যের দাম কীভাবে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়ে?

পেঁয়াজ আমদানিকারক ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আহসান উল্লাহ জাহেদী বলছেন, অনেকদিন ধরে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় জোগানের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। দুই মাস আগে অল্প কিছু পেঁয়াজ এসেছিল ভারত ও চীন থেকে। সরকার আজকে যদি আইপি খোলার অনুমতি দেয় তাহলে কালকেই তার প্রভাব বাজারে পড়বে।

যদিও দেশের উৎপাদন সক্ষমতা বিবেচনায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বলেই মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ও উৎপাদনের তথ্য নিয়েও কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে যার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ টন। আর দেশীয় উৎপাদন প্রায় ২১ লাখ টন। এই হিসেবে প্রতি বছর ছয় লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। যদিও সরকারের এই পরিসংখ্যান প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ক্যাব এর সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন। তিনি বলেন, দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তাতে আমদানি করার প্রয়োজন হয় না। বাজার তদারকির দুর্বলতাও দাম বৃদ্ধির কারণ। যেভাবে দাম বাড়ছে এটা তো হওয়ার কথা না। যে স্টক আছে তাতে নতুন পেঁয়াজ আসা পর্যন্ত আমাদের চাহিদা পূরণ হওয়ার কথা। তবে আগের মৌসুমে যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে তাতে ঘাটতি তৈরির সুযোগ নেই বলেই মনে করেন ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন। তিনি আরও বলেন, বাজার তদারকি বাড়িয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরির সুযোগ বন্ধ করা গেলে এই সময়টুকু সহজেই পার করা যাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানির সুযোগ রাখার কথা বলেন ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন।

রাজবাড়ীর কৃষক ছোরাপ আলী বলেন, অন্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেই রবি মৌসুমের পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারি। কিন্তু এবার পেঁয়াজ শুরু করতেই দেরি হয়ে গেছে। সেজন্য বাজারে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে- কিছু দিনের মধ্যেই নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে।

হিলিতে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার : হিলি বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তা পাবনা ও অন্যান্য মোকাম থেকে আনা হচ্ছে। মোকামগুলোতেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এছাড়া পাতা পেঁয়াজ এখনও পুরোপুরি বাজারে আসেনি, সরবরাহ বাড়লে শুকনা পেঁয়াজের চাহিদা কমবে এবং দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা মোকাররম হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও ৬০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কিনেছিলাম, এখন দাম ১০০ টাকার উপরে। এমন বৃদ্ধি আমাদের জন্য খুব কষ্টকর। আশা করি, ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।’

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, যদি আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া হয়, বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং পেঁয়াজের দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে, যা কমে ৫০ টাকার মধ্যেও চলে আসতে পারে। অন্যথায়, দাম আবারও ২০০ টাকার উপরে যেতে পারে। দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কিছুদিন ধরে আমদানির অনুমতি বন্ধ রেখেছে। গত ৩ মার্চ থেকে আমদানির অনুমতি বন্ধ থাকলেও দেশীয় উৎপাদন বাড়ায় দাম ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ছিল।

আরেক আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলে গত ১৪ আগস্ট আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। ১৭ আগস্ট থেকে আমদানি শুরু হলেও দুদিন পর ১৯ আগস্ট অনুমতি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকায় স্থির থাকলেও সম্প্রতি সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বাড়তে শুরু করেছে; যা এখন ১১০ টাকায় পৌঁছেছে। অনুমতি দিলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। অন্যথায়, দাম আবারও ২০০ টাকার ওপরে চলে যেতে পারে।’ হিলি স্থলবন্দরের সংরক্ষক কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দেশে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সরকার আমদানির অনুমতি নিয়ে ভাবছে। সবশেষ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল আগস্টে, কিন্তু অনুমতি না দেওয়ায় এরপর থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। অনুমতি মিললে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর : বাজারে সাধারণ ডিসেম্বর মাসে আগাম পেঁয়াজ বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসে। এরপর জানুয়ারিতে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ বাজারে এসে যায়। সেটি সরবরাহের মধ্যেই মেহেরপুর, জামালপুরসহ অন্যান্য জেলার পেঁয়াজও বাজারে আসে। কিন্তু এবার ফরিদপুরের পেঁয়াজ দেরিতে বাজারে আসবে। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহাদুজ্জামান জানান, পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। মৌসুমে এ জেলায় আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদন হয় ৬ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। যদিও পেঁয়াজ তোলার মৌসুমের সময় চাষি পর্যায়ে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা মণপ্রতি দর পেয়ে ছিল। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন পেঁয়াজ চাষিরা, পেঁয়াজ ?উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাষি পর্যায়ে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকার দর পেলে তারা লাভবান হয়।

চট্টগ্রামের বাজার : চট্টগ্রামের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ হয় দেশে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ আড়ত খাতুনগঞ্জ থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে আকার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৯২ থেকে ১০০ টাকার দরে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগেও দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। বাজারে এই মুহূর্তে আমদানি পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বাজারে কোনো আমদানি পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজ দিয়েই বাজার চলছে। দাম এ মাসে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। আমদানির অনুমতি দিলে হয়তো কিছুটা কমবে। নাহয় কয়েক মাসে আগাম পেঁয়াজ এসে যাবে বাজারে।