আট দলের কর্মসূচি

দাবি না মানলে যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকাল অবস্থান

* আজ ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে আট দলের নেতারাসহ সর্বস্তরের জনশক্তি রাজপথে অবস্থান করবে * আগামীকাল জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, নভেম্বর মাসে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়িত না হলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ আট দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর মগবাজার আল-ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত দলগুলোর নেতাদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে মুজিবুর রহমান বলেন, ১৩ নভেম্বর ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে আট দলের নেতারাসহ সর্বস্তরের জনশক্তি রাজপথে অবস্থান করবে। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক শক্তিকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির বলেন, ১৪ নভেম্বর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে আল-ফালাহ মিলনায়তনে দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জনগণের দাবি মেনে নেওয়া না হলে ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল নানা কর্মসূচি দিয়ে নির্বাচন পেছাতে চাইছে এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাঁরা ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চান। গতকাল সমাবেশে তাঁদের আমির বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরে গণভোট হলে জানুয়ারিতে নির্বাচন করতেও তাঁদের কোনো আপত্তি নেই।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের; ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন; জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধানসহ আট দলের শীর্ষ নেতারা।