ইসির শক্ত অবস্থান দেখতে চায় জামায়াত-এনসিপি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) শক্ত অবস্থানে থাকার কথা বলছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইসির সঙ্গে সংলাপ করে দল দুটি। ওই সংলাপে নির্বাচন কেন্দ্রীক বেশকিছু আপত্তির বিষয় ইসির সামনে তুলে ধরা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সামনে রেখে ইসিকে আরও শক্ত ও কার্যকর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। মাঠপর্যায়ে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ইসির কঠোর পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। কারণ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক গাফিলতি বাড়ছে, যা নিয়ন্ত্রণে ইসিকে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সমান আচরণ, স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত এবং নিয়মিত সংলাপই আস্থার সংকট দূর করতে পারে।
জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসবে। এই পরিস্থিতিতে আস্থা নিশ্চিত করতে ডিসি-এসপি বদলিতে লটারিভিত্তিক পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছিল জামায়াত। তবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় তেমন কোনো সমাধান না পাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। জামায়াত নেতা বলেন, সবচেয়ে নিরপেক্ষ এবং আস্থা বজায় রাখার উপায় হল লটারি পদ্ধতিতে ট্রান্সফার করা। যার যেখানে ভাগ্য আছে, সে সেখানে যাবে। এতে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
গোলাম পরওয়ার বলেন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের এই হঠাৎ রদবদলে যেন কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য কাজ করছে। এক মাসও হয়নি, ২০ দিনও হয়নি, একজন ডিসি চলে গেলেন- হঠাৎ করেই। এক সপ্তাহের মধ্যে অনেককে বদলানো হয়েছে। মনে হচ্ছে এটি কোনো ডিজাইন বা উদ্দেশ্য থেকে হচ্ছে।
একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজনের বিষয়টিও গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি জুলাই সনদ ও গণভোটও গুরুত্বপূর্ণ। একই দিনে দুটি ভোট হলে ভোটারদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে। তিনি মনে করান, গণভোটটি আগে হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদে কী কী সংস্কার হবে, কোন বিষয়ে ভোটার ‘হ্যাঁ’ বলবে, কোন বিষয়ে ‘না’ এই বিষয়ে ভোটারের মাইন্ডসেট আগে তৈরি হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে একই দিনে দুইটি ভোটের ক্ষেত্রে ভোটার বিভ্রান্ত হবেন। প্রবাসীদের ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালায় স্পষ্ট নির্দেশনা নেই। প্রবাসীরা বিভিন্ন ভোটিং সিস্টেমে ভোট দেন; গণভোটের ক্ষেত্রে তাদের ভোটিং প্রক্রিয়া কেমন হবে তা পরিষ্কার নয়। তিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধনের প্রস্তাব পুনরায় উত্থাপন করেন, কারণ অনেক প্রবাসীর এনআইডিতে জটিলতা রয়েছে।
নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রতি ভোটকেন্দ্রে অন্তত ৫ জন সেনা মোতায়েন থাকা উচিত। একজন সেনা থাকলে পর্যাপ্ত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না। অবশেষে, দলের অঙ্গীকারনামা কোথায় জমা দিতে হবে তা তফসিলে অস্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন; কিন্তু দলের অঙ্গীকারনামা ঢাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে কি না তা পরিষ্কার করা জরুরি।
অন্যদিকে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মূসা বলেছেন, নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় দলীয় প্রধানের সঙ্গে তারেক রহমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি ব্যবহার করলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘দলীয় প্রধানের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি না রাখতে পারার বিধান রাখায় স্বাগত জানাই। এখন খালেদা জিয়া হচ্ছেন বিএনপির প্রধান, তারেক রহমানের বা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি কেউ ব্যবহার করলে এই বিধি ব্যবহার করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তখন এই কমিশনের সক্ষমতা আমরা দেখতে পারব।’
জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, বিলবোর্ডের ক্ষেত্রে কাপড় দিয়ে করা, এটা প্র্যাকটিক্যাল না। দলে ব্যয় ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এখন একটা বিলবোর্ড করতেই ২০ লাখ টাকা লাগে। এতে অন্যায্য প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এগুলো কীভাবে ব্যবস্থা করবেন। একটা সুন্দর বিধি আপনারা করেছেন। কিন্তু আইনের ভেতরে অনেক অস্পষ্টতা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে।
এনসিপির এ নেতা বলেন, মাইকের ক্ষেত্রে ৬০ ডেসিবল শব্দের মাত্রার কথা বলেছেন। কিন্তু এটা মাপার যন্ত্র কী আছে? নির্বাচন ঘনিয়ে এলে অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে অন্য দলের প্রার্থীকে সুরক্ষা দেবেন। যে আইন করেছেন, সেটা বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা এবং সদিচ্ছা নেই আপনাদের। তরুণ প্রার্থীদের জনগণের কাছে পৌঁছানের সুযোগ দিতে হবে। অবশ্যই আগের মন্ত্রী, এমপিদের সঙ্গে এক মঞ্চে বিতর্কের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। যারা পেশি বা কালো টাকা বা অস্ত্র দিয়ে ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাদেরও একই বৈঠকে বিতর্কের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে পারে- এই সিদ্ধান্তে অটল থাকার অনুরোধ জানাব নির্বাচন কমিশনকে।’ তিনি বলেন, ‘কেউ যদি নিজের শরীরে অন্যের জামা পরে যায়, সেটা ঠিক নয়। এখন একটা সুযোগ এসেছে নিজ দল নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার।’ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, প্রতিটি দলের জন্য যদি একজন করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ হবে এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমও আরও সুচারুভাবে সম্পন্ন করা যাবে। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে মেটা, টিকটকের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তাসনিম জারা।
‘ইচ্ছামতো’ আইন-বিধি সংশোধন করায় ইসির প্রতি ক্ষোভ সাকি’র : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিভিন্ন নির্বাচনি বিধি ও আইন পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনা না করে ‘ইচ্ছামতো’ সংশোধন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠকে অংশ নিয়ে সাকি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ট্রানজিশন এবং জাতীয় ঐকমত্যের জন্য আলাপ-আলোচনা অপরিহার্য। বক্তব্যে নির্বাচনি বিধিমালা ও আইনে পরিবর্তন আনার আগে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাকি। বলেন, নির্বাচন কমিশন তার যে আইন দেয়, নির্বাচনি বিধি থেকে শুরু করে যত ধরনের পরিবর্তন তারা করছেন, সেসব বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা দরকার ছিল। এই আলোচনা করা দরকার ছিল, এই ধরনের বিধি কিংবা যেকোনো ধরনের চেঞ্জেসের আগে।
নির্বাচনসংক্রান্ত কাজ এককভাবে করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে ইসির উদ্দেশে সাকি বলেন, সব স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে আপনাদের একটি সমন্বিত মতামতটা তৈরি করা দরকার। বিশেষভাবে এই মুহূর্তে, যখন দেশ একটি ডেমোক্র্যাটিক ট্রানজিশনের মধ্যে আছে এবং যেখানে আমাদের ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য খুব জরুরি, তখন এই আলাপ-আলোচনা আরও গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের দীর্ঘসূত্রতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তার দল নিবন্ধন পেতে যে প্রতিকূলতার শিকার হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় একটি ভালো নির্বাচনের জন্য আইনি কাঠামোর চেয়ে পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন গণসংহতি আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা। নির্বাচনকালীন পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে সরকার ও ইসির উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ‘নির্বাচন পরিবেশ মনিটরিং কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দেন জোনায়েদ সাকি। তিনি মনে করেন, এই কমিটি সংঘাতের ঘটনা দ্রুত সমাধান করতে পারবে। সাকি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যখন সহযোগিতা করেছে তখনই কেবল এই দেশে ভালো নির্বাচন হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে একটি জবাবদিহিমূলক, ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ সংগ্রহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি।
নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান সিইসির : গতকাল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালনে যথাযথভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
সিইসি বলেন, ভোটগ্রহণের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাদের সকলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অতীতে কেয়ারটেকার আমলে দুই তিনটা নির্বাচন দেখেছি, নির্বাচনি আচরণবিধি পালনের ব্যাপারে দলগুলো ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাইতেও প্রতিটা রাজনৈতিক দল এবং তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে আমরা আশা করব, আপনারা আমাদের ও দেশের জনগণের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন কমিশন একা নয়, একটা সুন্দর আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আপনারাও জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। এতদিনের সংলাপে ‘আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই না’ এমন বক্তব্য কোনো রাজনৈতিক দল দেয়নি। সবাই একটা সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জাতির কাছে ওয়াদা করেছেন।
সিইসি বলেন, এটাই স্বাভাবিক, কারণ আপনারা তো দেশের জন্য রাজনীতি করেন, দেশের কথা ভাবেন, মঙ্গল কামনা করেন- এই বিশ্বাস আমাদের আছে, তাই আমরাও জাতির কাছে কথা দিয়েছি এবং প্রধান উপদেষ্টাও অঙ্গীকার করেছেন এই নির্বাচনকে ঘিরে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, আচরণ বিধির খসড়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেকগুলো সুপারিশ এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এরপর এটি ওয়েবসাইটে দিয়ে জনগণের মতামত চেয়েছিলাম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল লিখিতভাবে তাদের মতামত দিয়েছে, বিভিন্ন অন্যান্য সংস্থাও লিখিতভাবে মতামত দিয়েছে। সবার মতামত পর্যালোচনা করে এটা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে, আচরণবিধি প্রস্তুত করাটা বড় কাজ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা সুন্দর নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি পরিপালনটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা যে রাজনৈতিক দলগুলো এই আচরণবিধি পরিপালনে প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখবেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল সংলাপে প্রথম ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি-বিএমজেপি, ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
