নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে চিকিৎসকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা তাকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফ. এম. সিদ্দিকী গত রোববার সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগে থেকেই থাকা হৃদরোগের সঙ্গে এই সংক্রমণ ফুসফুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা করে অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজও বোর্ড বৈঠক করেছে এবং আরও কিছু পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। ঢাকায় খালেদা জিয়ার পাশে আছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত রোববার রাতে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে থাকার সময়ই বিএনপি চেয়ারপারসনের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হবে- আগেই এমন তথ্য জানিয়েছিলেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে ১১৭ দিন অবস্থান শেষে ৬ মে দেশে ফেরার পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদ্?রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। কিছুদিন পরপরই নানা জটিলতায় তাঁকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
