ঘামের দাম পাচ্ছেন না কৃষক শূন্য হচ্ছে ভোক্তার পকেট

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফারুক আলম

মাঠে ফসল উৎপাদনের শুরু থেকেই কৃষক পড়ছেন সিন্ডিকেট-নিয়ন্ত্রিত শোষণের চক্রে। বীজ, সার ও কীটনাশক কেনার ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকি থাকা সত্ত্বেও মাঠপর্যায়ের কৃষকরা সে সুবিধা পুরোপুরি পাচ্ছেন না। সরবরাহ ও বিক্রির পুরো চেইন প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে থাকায় উৎপাদন ব্যয় দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। আবার বাজারে ফসল বিক্রি করতে গেলেও আরেক দফা শোষণের শিকার হচ্ছেন কৃষক। মাঠ থেকে স্বল্প দামে ফসল কিনে খুচরা ক্রেতাদের কাছে তা উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে আরেকটি সিন্ডিকেট। এতে একদিকে কৃষকের ঘামে ফলানো ফসলের ন্যায্যমূল্য যেমন তারা পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ভোক্তার পকেটও ফাঁক হয়ে যাচ্ছে। কৃষক ও ভোক্তা- দু’পক্ষের ক্ষতির এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে চললেও কার্যকর মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য বাড়ছে প্রধানত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। ফলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মাঠের কৃষকরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান, পেঁয়াজ, আলু, শীতের শাকসবজি- কোনোটিতেই কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা বলছেন, মৌসুমে উৎপাদন বেশি থাকলে সিন্ডিকেট কারসাজি করে দাম কমিয়ে দেয়, আর বাজারে সংকট দেখিয়ে পরে কয়েকগুণ বাড়িয়ে লাভ তুলে নেয় মধ্যস্বত্বভোগীরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও কার্যকর নজরদারির অভাবে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বারবার। তারা মনে করেন, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে শক্তিশালী বাজার তদারকি, আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও সরকারি হস্তক্ষেপ দরকার।

দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে জিডিপির ৮০ শতাংশ কৃষকের অবদান। এরকম একটি জনশক্তির উৎপাদকের জন্য প্রতি বছর ভর্তুকি যা দিচ্ছে সরকার তার সিংহভাগ লুটে নিচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।

সরেজমিন রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, যান্ত্রিক শহর ঘুম থেকে জাগার আগেই গ্রামের হাটে জমে ওঠে সবজি বিক্রি। কৃষকের হাতে থাকা বেগুন, ফুলকপি, সিমণ্ডসবই রাজধানীর থেকে অন্তত তিন গুণ কম দামে মিলছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, শহরে বেশি দামে সবজি বিক্রি হলেও কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। কমিশন নিয়ে ফড়িয়ারা নিজেদের পকেট ভরছে। প্রতি হাত বদলেই তারা সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোক্তারা বেশি দামে কিনলেও, তার লাভ কৃষকের হাতে পৌঁছায় না তেমন। মূলত এখানেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে সিন্ডিকেটের কারসাজি। কৃষকের খেত থেকে সবজি যায় স্থানীয় ফড়িয়ার কাছে, তারপর আড়ত- সেখান থেকে ঢাকার আরেক মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে। এরপর পাইকার হয়ে পৌঁছায় খুচরা দোকানদারের কাছে। এভাবে ৫-৬ ধাপ পেরিয়ে আসে সবজি আসে ভোক্তার পাতে। প্রতিটি ধাপেই দাম বাড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা। তাই গ্রামের বাজারে ৩০ টাকার সবজি ঢাকায় এসে সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যায়।

বাজার ব্যবস্থাপনায় কারসাজি : ময়মনসিংহে বর্তমানে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০-৩০ টাকা, গোল বেগুন ৭০, ঢ্যাঁড়শ ৫০, চিকন বেগুন ৫০, ঝিঙে ৬০, শসা ৫০ ও কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ৮০, শিম ৬০, ধুন্দল ৪০, পটল ৬০, কাঁচা পেঁপে ২০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, লাউ ৩০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। ময়মনসিংহ ও দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জেলাগুলোয় শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কম থাকলেও ঢাকায় এসে সেই সবজি সেঞ্চুরি পার করছে। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় এবার ফুলকপি ও বাঁধাকপির ব্যাপক আবাদ হয়েছে। খেত থেকে প্রতিটি বাঁধাকপি গড়ে ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছে কৃষক।

রাজশাহীর পাইকারি ব্যবসায়ী শামীম বলেন, কৃষক থেকে বাজার পর্যন্ত কপির দামের আকাশ-পাতাল ব্যবধানের বিষয়ে তার ভাষ্য, ১৬-১৭ টাকা দামে একেকটি কপি জমি থেকে কিনলেও বাজারে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটির পেছনে সাত-আট টাকা হারে খরচ আছে। এরপর সেটি বিক্রি হবে ঢাকার আড়তে ৩০-৩৫ টাকা দামে। এ জন্য আড়তদারকে দিতে হবে ছয় হাজার টাকা কমিশন। আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা নিয়ে প্রতি পিস ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করবেন। এভাবে কয়েক হাত ঘুরে ১৬ টাকার বাঁধাকপি ঢাকার বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার কাছাকাছি।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় সরবরাহকৃত শীতের সবজি কেমন দরে বিক্রি হচ্ছে সেটি দেখতে কয়েকদিন সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর বাজার, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৬০ টাকা, প্রতি কেজি শিম ও বেগুন ১০০-১২০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত শীতের শুরুতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, শিম ৪০-৬০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসে।

বর্তমানে প্রতি কেজি টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ, করলা ও বরবটি ১০০-১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৮০ টাকা, পটোল ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এসব সবজির দামও তুলনামূলক বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। বাজারে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০-১২০ টাকা। এক মাস ধরে এ দামেই খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে দেশি পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি। এ বছর দীর্ঘ সময় ১৮-২০ টাকা দরে আলু বিক্রি হয়েছে। মাসখানেক হয় আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে। এরই মধ্যে বাজারে স্বল্প পরিমাণে আগাম নতুন আলু আসতে শুরু করেছে। এসব আলুর দাম অবশ্য বেশি; কেজি ১৪০-১৬০ টাকা।

যাত্রাবাড়ীর পঞ্চায়েত বাজারের সবজি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের সবজি শিম গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু হঠাৎ দাম বেড়েছে। এখন প্রতিকেজি শিম ৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ায় ক্রেতারা খুচরা বিক্রেতাদের দোষে। আমাদের তো এখানে কোনো দোষ নেই, আড়তে বেশি দাম রাখলে আমাদেরকেও বেশি দামে শিম বিক্রি করতে হচ্ছে।

সস্তায় শীতের সবজি কিনতে মালিবাগ এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে এসেছিলেন জাহিদুল সরকার। কিন্তু প্রতিটি সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার কাছাকাছি থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন। জাহিদুল সরকার বলেন, এবার শীত এলো, বাজারে পর্যাপ্ত শীতের সবজি সরবরাহ আছে, কিন্তু দাম কমেনি। বাজারের ঊর্ধ্বগতি থাকলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় মিটানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।

শীতের আমেজ, কিন্তু সবজির বাজার উত্তপ্ত : স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, শহরে বেশি দামে সবজি বিক্রি হলেও কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। কমিশন নিয়ে ফড়িয়ারা নিজেদের পকেট ভরছে। প্রতি হাত বদলেই তারা সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোক্তারা বেশি দামে কিনলেও, তার লাভ কৃষকের হাতে পৌঁছায় না তেমন। মূলত এখানেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে সিন্ডিকেটের কারসাজি। কৃষকের খেত থেকে সবজি যায় স্থানীয় ফড়িয়ার কাছে, তারপর আড়ত-সেখান থেকে ঢাকার আরেক মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে। এরপর পাইকার হয়ে পৌঁছায় খুচরা দোকানদারের কাছে। এভাবে ৫-৬ ধাপ পেরিয়ে আসে সবজি আসে ভোক্তার পাতে। প্রতিটি ধাপেই দাম বাড়ে ৫ থেকে ২০ টাকা। তাই গ্রামের বাজারে ৩০ টাকার সবজি ঢাকায় এসে সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যায়। তবে, দামের হেরফের দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন সবজির ক্ষেত্রে।

শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম : প্রতিদিনই বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ছে। কিন্তু দাম ক্রেতার নাগালে আসছে না। বাজারে নতুন বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শালগম বিক্রি হচ্ছে গত বছরের এই সময়ের চেয়ে বেশি দামে। শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজারে নতুন আসা বিভিন্ন ধরনের সবজি প্রতি কেজি কিনতে হচ্ছে অন্তত ১০০-১২০ টাকায়। এ দামে সাধারণত সবজি বিক্রি হয় গরমকালে। যখন দেশে সবজির উৎপাদন কম থাকে। শীতের মধ্যে শীতকালীন সবজির দাম নেমে আসে ৩০-৪০ টাকায়। অন্যদিকে, প্রতিটি মাঝারি আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম ৪৫-৫৫ টাকা। নতুন আসা এক কেজি শিমের দাম এখন ১০০ টাকা বা তারও বেশি। কোনো কোনো বাজারে সবুজ শিম ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য বছর একই সময়ে শীতের এ শিম ৫০ টাকা ও কপির দাম ২০-৩০ টাকার মধ্যে থাকতো।

নওগাঁ আমনের বাজার স্থিতিশীল, দামে অখুশি চাষিরা : ধান-চালে সমৃদ্ধ উত্তরের জেলা নওগাঁয় চলতি মৌসুমে উৎপাদিত আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। কিছু এলাকায় পোকামাকড়ের আক্রমণ থাকলেও অনুকূল আবহাওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে। তবে কাটা-মাড়াইয়ের পর উৎপাদিত এ ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ করছেন চাষিরা। তাদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে লাভের আশায় বেশি দামে সার কীটনাশক কিনে আমন ধানের আবাদ করেছেন চাষিরা। কিন্তু স্থানীয় বাজারে সেই ধানের দাম বাড়ছে না। দেশে ধানের বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রাখায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

মহাদেবপুর উপজেলার কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ?‘এ বছর দুই বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের আবাদ করে ৪০ মণ ফলন পেয়েছি। সার-কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান রোপণের শুরু থেকে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রতি মণ ধান উৎপাদন খরচ ৮৫০ টাকা। সেই ধান বর্তমান বাজারে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এত পরিশ্রমের পর প্রতি মণ ধানে মাত্র ৪১০ টাকা লাভ যথেষ্ট নয়। দাম না বাড়লে ভবিষ্যতে এই আবাদ বন্ধ করে দিতে হবে।’

রাণীনগর উপজেলার কৃষক শমসের আলী বলেন, ‘ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছিলাম। পাওনাদারদের হালখাতার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজারমূল্যে ধান বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের পর পকেটে কিছুই থাকবে না।’

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোছা. হোমায়রা মন্ডল বলেন, সরকার চাল আমদানি অব্যাহত রাখায় বাজারে ধানের দামে প্রভাব নিয়ে কিছু বলার সুযোগ নেই। এবার জেলায় আমনের ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। তারা ভালো দাম পাবেন, এটাই আমাদের চাওয়া।

গত সোমবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ক্যাব রাজশাহীর উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগীয় খাদ্য সমৃদ্ধকরণ ও ভোক্তা অধিকার শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, নিত্যপণ্যের বাজারে চার-পাঁচটি বড় করপোরেট গ্রুপের পাশাপাশি ‘অদৃশ্য শক্তির’ প্রভাব এতটাই গভীর যে, সিন্ডিকেট ভাঙা এখন অত্যন্ত কঠিন। বাজার অস্থিরতার পেছনে দালালচক্র, আড়তদার ও অগণিত শক্তি সক্রিয়। সঠিক ব্যবস্থা না নিলে তাদের আধিপত্য কমবে না।

ক্যাব সভাপতি বলেন, খোলা ভোজ্যতেল ভোক্তার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যপণ্যের একটি। এতে ভেজাল, নিম্নমান ও নকল তেল মেশানোর প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। রাজশাহী অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট চক্র কৃষিঋণ বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে প্রকৃত কৃষক ঋণ না পেয়ে উচ্চ সুদে দাদন নিয়ে চাষাবাদ করতে বাধ্য হচ্ছে। আলুর বাজারে বিশৃঙ্খলা, ভেজাল বীজ, সার সিন্ডিকেট, পরিবহনে চাঁদাবাজি- এসব সমস্যা বহুদিনের। এসব ভাঙতে হলে ক্যাব সদস্যদের মাঠে নামতে হবে বলে জানান ক্যাব সভাপতি।