চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের ‘দ্বিধাবিভক্ত’ রায়
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়ার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলে দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফাতেমা নজীব চুক্তি প্রক্রিয়া অবৈধ ঘোষণা করেছেন। তবে বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার চুক্তি প্রক্রিয়া বৈধ ঘোষণা করেন।
এ সংক্রান্ত রিটের ওপর জারি করা রুল শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক পৃথকভাবে এ রায় ঘোষণা করেন। ফলে এখন নিয়মানুযায়ী মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। পরে তিনি এ মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
এর আগে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তরের বৈধতা প্রশ্নে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন এ রিট আবেদন করেন। গত ৩০ জুলাই এনসিটি পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হওয়া চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এই রিট দায়ের করে। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। পরে গত ১৩ নভেম্বর রুল শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। ফলে ১৯ নভেম্বর থেকে মামলাটির রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলের শুনানি নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে সরকারকে মৌখিক নির্দেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়ার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে। বৃহৎ এই টার্মিনালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রফতানি কনটেইনারের অধিকাংশ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন হয়।
