অধিকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচনি মিছিলে আপনাদের সঙ্গে থাকব
বললেন তারেক রহমান
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের জনগণের কাছে প্রত্যাশা রেখে বলেছেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রামে গঞ্জে, শহরে নগরে বন্দরে, বাজারে মহল্লায়, অলিতে গলিতে, রাজপথে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচনি মিছিলে আমিও আপনাদের সঙ্গে থাকব ইনশাআল্লাহ।’ তিনি বলেছেন, ‘১৯৭১, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে প্রমাণিত হয়েছে জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে জনতার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বক্তব্য শুরুর আগে সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা উচ্চৈঃস্বরে স্লোগান দিতে থাকেন. ‘তারেক রহমান আসছে, বাংলাদেশ হাসছে, ২৫ তারিখ সারাদিন, বাংলাদেশের খুশির দিন।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণকে ক্ষমতাবান করার পূর্বশর্তই হচ্ছে, জনগণের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠা। এ কারণেই বিএনপি সবসময় রাষ্ট্র এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যেকোনো মূল্যে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।’
ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও থেমে নেই উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের জনগণ সাক্ষী, অকারণ শর্তের পর শর্ত জুড়ে দিয়ে কিংবা নানা অজুহাতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একাধিক চক্র নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বারবার নানারকম বিঘ্ন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তবুও বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত জনগণের কাঙ্ক্ষিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে।
তবে ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। কী ছিল ওসমান হাদির অপরাধ? আমি মনে করি, কয়েকটি প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই গণতন্ত্রকামী জনগণের সামনে ঘাতকদের চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠবে।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা গেলে কারা খুশি হবে? নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বহাল রাখা গেলে কারা লাভবান হবে? দেশে জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কাদের লাভ? আমি বিশ্বাস করি, এসব প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই হাদির ঘাতকেরা লুকিয়ে রয়েছে। স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের শত্রুরা ঘাপটি মেরে রয়েছে।’
সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের সতর্ক থাকা দরকার। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশি-বিদেশি অপশক্তি তখনও যেমন সক্রিয় ছিল, এখনও সক্রিয়। সময়ের সাথে সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের রং-রূপ-চেহারা হয়তো পাল্টেছে চরিত্র কিন্তু পাল্টায়নি।’ তারেক রহমান বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রকামী জনগণকে ভয় দেখাতে চায়, তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে ইনশাআল্লাহ।
