জাতীয় ঐক্য ছাড়া এত বিভেদ সংকটে দেশ চলতে পারে না
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা : * প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জার : সালাহউদ্দিন আহমেদ * ওয়ান-ইলেভেনের ভুল যেন আর না হয় : শফিক রেহমান * তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে ভবিষ্যৎ দেখছি সেখানে যেন ক্রিটিক্যাল জার্নালিজমের সুযোগ থাকে : মাহফুজ আনাম * যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে যাবে : মতিউর রহমান চৌধুরী * জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতা ছাড়া এত বিভেদ সংকটে দেশ চলতে পারে না : মতিউর রহমান
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দৃশ্য সারাবিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা কোনোভাবে আমরা শুধুমাত্র দুঃখ প্রকাশ, ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারব না। গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক রেডিও, টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিএনপি। সালাহউদ্দিন বলেন, এখানে সরকারের দায়িত্ব ছিল সবচাইতে বেশি। আমরা জেনেছি, হামলার বিষয়ে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট ছিল। কিন্তু সেটা আমলে নেওয়া হলো না কেন- এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলার পরও শুনেছি এক দুই ঘণ্টা পরে তারা সাড়া দিয়েছে। সেটা কেন? কাদের হাতে আমরা এই রাষ্ট্রব্যবস্থা দেব? নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের ভূমিকাটা প্রশ্নবিদ্ধ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কিছুদিন যাবত গণমাধ্যমকে চিহ্নিত করে, টার্গেট করে হামলা করতে দেখছি। কিছু স্থাপনায়, ঠিকানায় মবকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারের দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছি। এগুলো আরও কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, দেশ নিয়ে গণপ্রত্যাশা, গণআকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। পূর্ণগণতন্ত্রণ চায় বাংলাদেশের সব মানুষ। গণতন্ত্রকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানিকীকরণ করতে চায়। গণতন্ত্র বিনির্মাণের জন্য সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে, যাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করে। গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট থাকবে, আছে কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থের বিবেচনায় সবসময় আমরা যেন দেশের পক্ষেই থাকি। নিরপেক্ষ না থাকি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ বিএনপিকে দেয়, তাহলে আমাদের সহযোগিতা থাকবে সর্বোচ্চ। আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই, তবে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী কী করেছে, সেটা স্মরণে রাখতে চাই।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, জনগণ আশা করছে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের খুঁটিটা শক্তিশালী হয়। তিনি বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবনযাপন করেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগাতে চাই। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ওয়ান-ইলেভেনের ভুল যেন আর না হয়- শফিক রেহমান : ‘লাল গোলাপ’ খ্যাত জনপ্রিয় উপস্থাপক ও যায়যায়দিন-এর সম্পাদক শফিক রেহমান বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফেরার দিন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেও পারে। এয়ারপোর্টে অথবা রাস্তাঘাটে যে কোনোখানে অথবা অন্য শহরে। যারা ইলেকশন বানচাল করতে চায়, তারাই সেটাকে সেদিন খুব বড় করে দেখাবে। আমি বিএনপির আয়োজকদের সতর্ক থাকতে বলছি। তারেক রহমান যেদিন ফিরে আসবেন এবং তার পরবর্তী কয়েকদিন যেন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ঘটে। এটা খুবই জরুরি।’ গতকাল রোববার রাজধানীর ‘হোটেল রেডিসন ব্লু’তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদেশে শফিক রেহমান বলেন, ‘সাংবাদিকদের দায়িত্ব সমালোচনা করা, ঠিক আছে। কিন্তু পাশাপাশি প্রশংসা করাও তাদের দায়িত্ব। এটা আমার মনে রাখতে হবে। আমি এখানে যখন আবার ফিরে এলাম। আমি যায়যায়দিন সম্পাদক হিসেবে বলছি, তোমরা খেয়াল রাখবে। একটা ছোটখাট প্রশংসার কাজও যাদি হয়, সেটা ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সরকারিভাবে ওই কথাটাও তুলে ধরতে হবে। খালি সমালোচনা কোরো না সাংবাদিকদের দায়িত্ব কিন্তু প্রশংসা এবং সমালোচনা দুটো করার।
শফিক রেহমান বলেন, খেয়াল করে দেখুন। আজকের এই অনুষ্ঠানটা খুবই ব্যতিক্রমী একটি অনুষ্ঠান। শেখ মুজিবও দেশে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু এ রকম অনুষ্ঠান তো হয়নি। শেখ হাসিনাও দেশে ফিরে এসেছিলেন, এ রকম তো তার ফেরার আগে হয়নি। এই যে মতবিনিময় সভা হচ্ছে আজকে, তার আসার আগে চমৎকার কথা। কিন্তু এর জন্য প্রস্তুতি থাকা দরকার। খালি এখানে বক্তৃতা দিলেই হবে না। মনে করুন তিনি ফিরে এসেছেন। সেদিন একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেও পারে। এয়ারপোর্টে অথবা রাস্তাঘাটে যে কোনোখানে অথবা অন্য শহরে। সেটাকেই যারা ইলেকশন বানচাল করতে চায়, তারাই সেটাকে সেদিন খুব বড় করে দেখাবে। এটা থেকে আমি বিএনপি আয়োজকদের সতর্ক থাকতে বলছি। তারেক রহমান যেদিন ফিরে আনবেন এবং তার পরবর্তী কয়েকদিন যেন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ঘটে। এটা খুবই জরুরি।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে ভবিষ্যৎ দেখছি সেখানে যেন ক্রিটিক্যাল জার্নালিজমের সুযোগ থাকে- মাহফুজ আনাম : দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, নতুন যে বাংলাদেশ আমরা চাচ্ছি, আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যেটা ভবিষ্যৎ দেখছি, সেখানে যেন ক্রিটিক্যাল জার্নালিজম এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়ার (সুযোগ থাকে)।’ গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও ও টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ মতবিনিময়সভার আয়োজন করে দলটি। গত ৫৩ বছরে কোনো মিডিয়া অফিসে আগুন জ্বালানো হয়নি জানিয়ে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘সর্বপ্রথম এবার ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসে আগুন জ্বালানো হলো। কেন? আমারা কী অপরাধ করলাম? আমি এটা অনুরোধ করব সব মিডিয়াকে, সত্যিকার অর্থে আপনারা এটা প্রশ্ন করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান হবে ক্রিটিক্যাল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে; কিন্তু আমি আপনার সমালোচনা করব, সেইটার স্বাধীনতা থাকতে হবে।’
যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে যাবে- মতিউর রহমান চৌধুরী : ‘আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ যেটা আসছে, তা মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে যাবে। সেই রাষ্ট্রের যদি অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যায়, তাহলে আমরা কেউই থাকব না’- বলে মন্তব্য করেছেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটা অস্থির সময়। কঠিন সময়। দেশটা দু’ভাগে বিভক্ত। বিভাজনের মধ্যে কথা বলাও খুব ডিফিকাল্ট (কঠিন)। তবে আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমার খুবই ভালো লেগেছে এই কারণে- বিএনপির যে তিনজন নেতা বক্তৃতা করেছেন, আগামী দিনে দলটি ক্ষমতায় এলে মিডিয়া পলিসি কী হবে? সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রিজভী আহমেদ দুজনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। আমি খুবই আশাবাদী হতে চাই- আগামী দিনে যদি এর সিকিভাগ বাস্তবায়িত হয়। কারণ হলো এই অস্থির সময়ে আমরা সবাই কিন্তু অস্থির। মিডিয়াও অস্থির, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কথা বলাও এখন ডিফিকাল্ট। সে কারণে বলছি, যদি মিডিয়া পলিসি যেটা বলা হয়েছে, তারা সেটা বাস্তবায়ন করেন তাহলেই বোধহয় বাংলাদেশের মিডিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কারণ অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে। তারেক রহমান এমন এক সময়ে আসছেন, যখন বাংলাদেশের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপত্তা। মানুষ নিজেকে নিরাপদ ভাবতে চায়, কিন্তু মানুষ এখন তা ভাবতে পারছে না। চারদিকের পরিস্থিতি যেভাবে যাচ্ছে আমরা যখন কথা বলছি, তখন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ। দিল্লিতে আমাদের হাই কমিশনারের বাসভবনে হামলা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রহরীরা।
জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতা ছাড়া এত বিভেদণ্ডসংকটে দেশ চলতে পারে না- মতিউর রহমান : জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করাই এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ টিকতে পারে না। কোনো সরকারও কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারে না।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মতিউর রহমান। গতকাল রোববার দুপুরে র্যাডিসন ব্লু হোটেলে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও-টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে ‘তারেক রহমান-স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি’। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সভায় মতিউর রহমান বলেন, দেশে একটি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা বিপজ্জনক। এ প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের আরও আগে দেশে ফেরা সম্ভব হলে বিএনপি ও দেশের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হতে পারত বলে মন্তব্য করেন তিনি। তারেক রহমানের অনুপস্থিতি বিএনপির জন্য নানা প্রশ্ন ও বিভ্রান্তির সুযোগ তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রথম আলো সম্পাদক।
মতিউর রহমান বলেন, বিভিন্ন জরিপে বিএনপি এখনও দেশের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে এসেছে এবং নির্বাচনে তারা বড় ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারে- এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যে দল ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে, তাদের নেতৃত্ব, আচরণ ও বিনয় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’ তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী তালিকা নিয়েও মানুষের মধ্যে খুব বেশি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। কিছু জায়গায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কি না, তা ভেবে দেখা যেতে পারে বলেও মত দেন তিনি। আগামী দিনে সরকার গঠনকারী দলের জন্য সময়টা হবে বাংলাদেশের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন সময় বলে মনে করেন মতিউর রহমান। বিএনপির কাছ থেকে আরও বেশি সহ্যশক্তি, আরও বেশি সমালোচনা গ্রহণের মানসিকতা দেখতে পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, বিএনপির শাসনামলে সংবাদপত্র খুব স্বস্তিতে ছিল- এমন দাবি তিনি করছেন না। তবে তুলনামূলকভাবে সে সময়টি ছিল কিছুটা বেশি সহনশীল। অন্যদিকে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের ১৫-১৬ বছরে সংবাদপত্র শিল্প সবচেয়ে বেশি ভীতি ও চাপের মধ্য দিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘এই সময়টাতে শুধু প্রথম আলো নয়, পুরো গণমাধ্যমকেই ভয়াবহ চাপের মধ্যে থাকতে হয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে তা ছিল ভয়ংকর।’ এ সময় ডিজিএফআইসহ (প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি হস্তক্ষেপ, মালিকানা বদল, সম্পাদক পরিবর্তন ও শেয়ার হস্তান্তরের চেষ্টার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
