ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের ভেঙে পড়া অভিবাসন ব্যবস্থা সংস্কার এবং সীমান্তে কঠোর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত সফরকালে কমলা এই প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যুতে কমলার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখছেন বেশির ভাগ মার্কিন ভোটার।
ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনার ডগলাসে দেয়া ভাষণে কমলা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি সার্বভৌম দেশ।
আমি মনে করি, সীমান্তে কিছু নিয়ম নির্ধারণ করা এবং সেগুলো প্রয়োগের দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। আর এই দায়িত্বটি আমি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। আমরা অভিবাসীদেরও দেশ। তাই আমাদের অভিবাসনব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে, যাতে এটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়।
একই সঙ্গে এটি যেন মানবিক হয় এবং আমাদের দেশকে শক্তিশালী করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাইতে বাধা দেয়া হবে জানিয়ে কমলা বলেন, ‘তবে যেসব কঠোর পরিশ্রমী অভিবাসী বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, তাদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত করা উচিত।’ এই ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক বলেন, ‘শুধু সীমান্ত সুরক্ষিত করা অথবা শুধু নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক অভিবাসন ব্যবস্থা সৃষ্টি করা এই দুটি মিথ্যা বিকল্পের যে প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে, তা আমি প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দুটি কাজই করতে হবে।’
৫৮ বছর বয়সী কমলার ভাষ্য, ‘ট্রাম্প বারবার অভিবাসীদের খুনি, ধর্ষক ও মানসিক অসুস্থ আখ্যা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ভয় ও বিভাজনের অনল জ্বালিয়েছেন।’