কেরালার কাসারগোড় জেলার নীলেশ্বরমের কাছে একটি মন্দিরে আতশবাজি দুর্ঘটনায় ১৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। গত সোমবার উত্তর মালাবার অঞ্চলে অঞ্জুটাম্বালাম ভীরেকাভু মন্দিরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভয়াবহ চিত্রগুলোতে দেখা গেছে, আতশবাজি প্রদর্শনের সময় বিশাল আগুন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়। এ সময় মন্দির চত্বরে উপস্থিত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ স্থানে ছুটতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের দিকে আতশবাজি প্রদর্শনী চলাকালীন একটি আতশবাজি এমন এক জায়গায় পড়ে যেখানে আরো আতশবাজি মজুদ ছিল। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো বলেন, ‘প্রথমে বিকট শব্দ শোনা যায় এবং তারপর আমরা আগুনের বল দেখতে পাই। তখনই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। প্রচুর ভিড় ছিল। অনেকেই আতশবাজির মজুদঘরের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে তারা দ্রুত সরে যেতে পারেনি।’ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারও রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেঙ্গালুরু, কান্নুর এবং কসরগড়ের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। তিনি আরো বলেন, ‘গুদামঘরে চীনা আতশবাজি মজুদ ছিল। একটি ফুলের আতশবাজি থেকে ঘরের কাছে একটি স্পার্ক পড়ে যায়। এতে মজুদ আতশবাজিগুলোতে আগুন ধরে যায়।’
কাসারগোড়ের কালেক্টর ইনবাসেকার কে বলেন, আতশবাজি ফাটানোর স্থান থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরে আতশবাজি সংরক্ষণ করা উচিত ছিল। যদিও আগুন লাগার কারণ সরকারি ভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন দমকল কর্মীরা। এ ঘটনায় মন্দির কমিটির দুই কর্মকর্তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।