ঢাকা ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেন

প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেন

রুশ বাহিনীর সঙ্গে চলমান যুদ্ধে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার করে সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। গত ৬ মাস ধরে এমন ঘটছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি জানুয়ারি মাসে এরই মধ্যে ৫১ হাজার ৯৬০ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী; তার আগের মাস ডিসেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৪৭০ জন এবং নভেম্বরে ছিল ৬০ হাজার ৮০৫ জন। তবে প্রতিমাসে যে পরিমাণ সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেন, সেই তুলনায় নিয়োগে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, প্রতি মাসে গড়ে ৩০ হাজার নতুন সেনা নিয়োগ দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এছাড়া বাহিনী থেকে সেনাদের পলায়নের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি শেষ সপ্তাহ থেকে যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় বাহিনী থেকে প্রায় ১ লাখ সেনা পালিয়েছেন বলে গত বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে রুশ মন্ত্রণালয়। সেনা বাহিনীতে নিয়োগ আরো বাড়াতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের বয়স ২৫ থেকে ১৮ বছরে নামিয়ে আনার জন্য ভলাদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ ছিল পাশ্চিমা বিশ্বের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একাধিকবার জেলেনস্কিকে এ ইস্যুতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। জেলেনস্কি সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান না করলেও সরাসরি তাতে সায় দেননি। সে সময় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর কাছে জনবলের চেয়েও বড় সংকট হলো সমরাস্ত্রের অভাব। তবে জেলেনস্কির অন্যতম উপদেষ্টা নিকোলাই এসচুর গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার শিগগিরই সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের বয়স ২৫ থেকে ১৮ বছরে নামিয়ে আনবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন, ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনো চলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রায় তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন— এই চার প্রদেশের দখল করেছে রাশিয়া। মস্কোর প্রস্তাব— কিয়েভ যদি ক্রিমিয়াসহ এই চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইউক্রেনে সামরিক অভিয়ানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে কিয়েভের বক্তব্য, রাশিয়া যদি অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, শুধু তাহলেই শান্তি সংলাপে বসবে ইউক্রেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত