মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
অভিযোগ পানামার
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পানামা খাল পার হতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি জলযানকে কোনো মাশুল দিতে হবে না-মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন ভাষ্য প্রত্যাখ্যান করে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে ‘মিথ্যা ও অসত্য তথ্য’ ছড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। গত বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে এক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি জলযান কোনো ফি দেয়া ছাড়াই পানামা খাল পার হতে পারবে। এর ফলে বছরে লাখ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে। ৫১ মাইল (৮২ কিলোমিটার) দীর্ঘ এই খাল আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করেছে। এটি পার হতে সব জলযানকেই মাশুল দেয়া লাগে, যা ধার্য হয় আকার ও ধরনের ওপর ভিত্তি করে। তবে পার হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ সব সময়ই অগ্রাধিকার পায়। দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ঢোকার পর থেকেই ট্রাম্প এই জলসীমার নিয়ন্ত্রণ ফেরত পাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনে বল প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি। গত শুক্রবার তার সঙ্গে মুলিনোর কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্সে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর দেয়া বিবৃতিতে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মাশুলে কোনো পরিবর্তন আনেনি তারা, তবে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকেও তার মন্ত্রণালয়ের দাবি থেকে খানিকটা পিছিয়ে আসতে দেখা যায়।
পানামা খাল আক্রান্ত হলে এর সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য, এমন চুক্তি থাকার পর মার্কিন জলযানের জন্য সেটি পার হতে মাশুল লাগাকে ‘অযৌক্তিক’ বলেও অ্যাখ্যা দেন তিনি। পরে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে মুলিনো ‘মিথ্যা ও অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পরিচালনার এই পদ্ধতি’ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জানান, ওয়াশিংটনে পানামার রাষ্ট্রদূতকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিত্তিহীন দাবি খারিজ করার ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। নৌযানসহ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি জলযান খাল পার হতে বছরে ৬০ থেকে ৭০ লাখ ডলার ফি দেয়। এমন না যে, খালের এই টোল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, বলে উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার রুবিও ও মুলিনোর বৈঠকের পর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিসিয়েটিভ নামে পরিচিত চীনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল পানামা। খালের আশপাশে চীনের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ট্রাম্পের আশঙ্কা, যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে বেইজিং খালটি বন্ধ করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো বিপাকে ফেলতে পারে। পানামা ও চীন বলছে, এ ধরনের কিছু হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
