ইসরায়েলকে আরও লাশের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলল আল-কাসসাম
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজায় গত সোমবার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ১৪ সেনা আহত হওয়ার পর এই অভিযানের প্রশংসা করেছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডস।
কাসসামের মুখপাত্র আবু উবাইদা মঙ্গলবার বলেন, ‘বেইত হানুনের জটিল এই অভিযান আমাদের দুর্দান্ত যোদ্ধাদের একটি নতুন আঘাত, যা ভঙ্গুর দখলদার বাহিনী ও তার সবচেয়ে অপরাধী ইউনিটগুলোর মর্যাদায় আঘাত হেনেছে। এই হামলা এমন একটি এলাকায় ঘটেছে, যাকে তারা নিরাপদ মনে করেছিল।’ আবু উবাইদা বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কিছু সেনাকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সৃষ্টি করা নরক থেকে অলৌকিকভাবে উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে ভবিষ্যতে তারা সেটিও পারবে না। আরও সেনা আমাদের হাতে ধরা পড়বে।’
কাসসামের মুখপাত্র বলেন, ‘এই যুদ্ধে মাঠের সমীকরণ নির্ধারণ করছে ফিলিস্তিনিদের দৃঢ়তা ও বীরত্ব, ইসরায়েলি বাহিনীর শক্তি বা অস্ত্র নয়।’ তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর সবচেয়ে নির্বোধ সিদ্ধান্ত হবে গাজা উপত্যকায় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত।’ কয়েকদিন আগে প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডস জানিয়েছিল, গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় পরিচালিত এক জটিল অভিযানে তারা প্রায় ৪০ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা বা আহত করেছেন। তাদের অপারেশন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিভিন্ন ভবনে লুকিয়ে থাকা বড় আকারের সেনা ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান পরিচালিত হয়।
ইসরায়েলি বাহিনী ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করে, যা ছিল ইসরায়েলে পরিচালিত একটি বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ অভিযানের প্রতিশোধ। এই বর্বর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পাশাপাশি ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী প্রায় দুই দশকের পুরোনো অবরোধ আরও কঠোর করেছে। তারা মানবিক সহায়তা কার্যক্রম প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে এবং ‘ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
