পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক চান জেলেনস্কি

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে প্রস্তুত।

জেলেনস্কি আরও বলেন, সত্যিকারের শান্তি এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে নেতৃত্ব পর্যায়ে বৈঠক হওয়া দরকার। গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতি অর্জনে যা কিছু করা দরকার, তার সবই করা উচিত। রাশিয়ার উচিত, সিদ্ধান্ত থেকে পালানোর প্রবণতা বন্ধ করা। রাশিয়াকে নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন। গত মাসে আলোচনা থেমে যাওয়ার পর কিয়েভ এখন চাইছে, আগামী সপ্তাহে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু হোক। গতকাল শনিবার এই প্রস্তাব দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের প্রস্তাবের বিষয়ে রাশিয়ার দিক থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভকে গত সপ্তাহে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাকে শান্তি আলোচনায় গতি আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে তুরস্কে অনুষ্ঠিত দুই দফা শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন উমেরভ। তবে বন্দি ও নিহত সেনাদের লাশ বিনিময়ের বিষয়ে একটি চুক্তি ছাড়া আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। আগের আলোচনায় রাশিয়া বেশ কিছু কঠোর শর্ত দিয়েছিল। শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ইউক্রেনের চারটি দখলকৃত অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নেওয়া এবং পশ্চিমা সামরিক সহায়তা প্রত্যাখ্যান করা। কিয়েভ এসব শর্ত মানেনি। গত শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, শান্তির প্রচেষ্টায় গতি আনার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জেলেনস্কির বক্তব্যের সঙ্গে মস্কো একমত। মস্কোর অবস্থানে এমন একসময়ে পরিবর্তন এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়িয়েছেন। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরুতে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি কিছুটা নমনীয় থাকলেও এখন তিনি চাপ বাড়িয়েছেন।যুদ্ধ থামানোর জন্য গত সপ্তাহে ট্রাম্প রাশিয়াকে ৫০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুদ্ধ থামানো না হলে রাশিয়ার পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প।