হরিয়ানায় বাংলাভাষী মুসলমানদের নির্যাতনের অভিযোগ
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের রাজধানী দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানার শহর। এ শহরের গুরুগ্রাম থেকে পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ছয়জন বাসিন্দাকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছে পুলিশ।
আটককৃত ছয়জনই পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাসিন্দা এবং এদের ধর্মীয় পরিচয় এরা মুসলমান। এরা সবাই পরিযায়ী শ্রমিক এবং সাত-আট বছর ধরে গুরুগ্রামে থাকতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি সংগঠন। আটকের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিবিসিকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি গুরুগ্রাম পুলিশ। এ ছয়জন আটক হওয়ার ব্যাপারে মালদা জেলার যুগ্ম শ্রম কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে। হরিয়ানার এ ঘটনা এমনই দিনে সামনে এসেছে, যেদিন কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী অভিযোগ করেছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের ওপরে নির্যাতন হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দিল্লি, উত্তর প্রদেশে, গুজরাট, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং ওড়িশা রাজ্যে গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশি সন্দেহে বহু বাংলাভাষীকে আটক করা হচ্ছে, যারা আসলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আবার ভারতের বেশ কয়েকজনকে বাংলাদেশে পুশইন করে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য পরে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের যে বাসিন্দাদের গুরুগ্রামে আটক করা হয়েছে, তারা মালদা জেলার চাঁচল এক নম্বর ব্লকের বাসিন্দা বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার। গত শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের ঘরে এসে পরিচয়পত্র যাচাই করতে আসে বলে জানাচ্ছেন ধৃতদের এক আত্মীয় মামনি খাতুন। তিনি বলেন, যাদের আটক করেছে, তার মধ্যে আমার দুই মামা আর দুই দাদা আছে। সেদিন রাতে তখন কারও খাওয়া হয়ে গিয়েছিল, কেউ খেতে বসেছিল। সাদা পোশাকের পুলিশ এসে আমাদের আধার কার্ড দেখতে চায়। এরপরে তারা বলে যে থানায় যেতে হবে আঙুলের ছাপ নেবে বলে।
