আহত ইসরায়েলি সেনাসংখ্যা ১৮ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ক্রমবর্ধমান শীর্ষস্তরের হামলার মুখে ইসরায়েলি সেনারা যখন বিভিন্ন কৌশলে অভিযান থেকে সরে দাঁড়াতে মরিয়া, তখন ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে আহত ইসরায়েলি সেনাসংখ্যা ১৮ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। তাদের মধ্যে বহু সেনা গুরুতর মানসিক ট্রমার শিকার হয়েছেন।

ইসরায়েলি পত্রিকা ইয়েদিয়োথ আহরোনোথের প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০২৮ সালের মধ্যে এই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে পারে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আহত সেনাদের অনেকে শুধু সেনাবাহিনী থেকে নয়, বরং শ্রমবাজার থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন এবং এই দ্বিমুখী অনুপস্থিতি ইসরায়েলি অর্থনীতি ও সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, আগামী বছরগুলোতে আহতদের প্রায় অর্ধেক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায়, বিশেষত পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মানসিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থা, বাজেট ও চিকিৎসার কৌশল নতুন করে পর্যালোচনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানায় পত্রিকাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগে যে সংকট ২০৩০ সালের মধ্যে হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল, মানসিক রোগীর সংখ্যা কল্পনাতীতভাবে বাড়ার কারণে তা ২০২৮ সালের মধ্যেই বাস্তব হতে চলেছে। ফলে কর্তৃপক্ষ তাদের স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনায় জরুরি পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গত রোববার ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণে খান ইউনুসে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এক অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর এক সেনা নিহত এবং অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে আছেন ইসরায়েলি বাহিনীর ‘ডেজার্ট রিকনাইসেন্স ইউনিট’- এর সদস্যরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনজন সেনা জীবনঝুঁকিতে এবং আরও চারজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, অভিযানে ওই ইউনিটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আরও এক সেনা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এর আগে গত শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, দক্ষিণ গাজায় হামাসের হামলায় তাদের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন যুদ্ধ প্রকৌশলী; অন্যজন অভিজাত ‘গোলানি ব্রিগেড’-এর সদস্য।