পারমাণবিক অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করছে চীন, শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন সামরিক ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচলিত সামরিক অস্ত্রাগারের বিশাল বৃদ্ধির পাশাপাশি চীন তার পারমাণবিক বাহিনীর আকার এবং সক্ষমতা দ্রুত এবং টেকসই বৃদ্ধির কাজ শুরু করেছে। গতকাল বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল অ্যান্থনি কটন গত মার্চ মাসে কংগ্রেসকে বলেছিলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের জন্য চীনের সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে। এজন্য স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র থেকে হামলা করতে পারে এমন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ২০২৩ সালের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিতে চীন তার দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে করেছে যে, তারা কোনো পরিস্থিতিতেই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। ‘প্রথমে ব্যবহার নয়’ এই নীতিতে একটি প্রতিশ্রুতিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যে, যেসব দেশে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই, সেসব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না এবং ব্যবহারের হুমকিও দেবে না। এক প্রশ্নের জবাবে বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, একটি পারমাণবিক যুদ্ধে জেতা যায় না এবং তা চালানো উচিত নয়। চীন ‘আত্মরক্ষার পারমাণবিক কৌশল’ মেনে চলে এবং ‘প্রথমে ব্যবহার নয়’ নীতি অনুসরণ করে। চীনের সামরিক শক্তি সম্পর্কে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে, পেন্টাগন বলেছে, চীনের জনসাধারণের অবস্থান সত্ত্বেও, তাদের কৌশলে সম্ভাবত প্রচলিত আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা তার পারমাণবিক শক্তি, কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণের কার্যকারিতা হুমকির মুখে ফেলে অথবা পারমাণবিক হামলার প্রভাবের কাছাকাছি।