গাজাসিটিতে দুর্ভিক্ষ চলছে

বলল জাতিসংঘ

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজাসিটিতে দুর্ভিক্ষ চলছে বলে জাতিসংঘ-সমর্থিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রোমভিত্তিক খাদ্যনিরাপত্তা পর্যবেক্ষণবিষয়ক প্যানেল- আইপিসির প্রতিবেদনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গাজার পাঁচ লাখ মানুষ ভয়াবহ রকমের অনাহারে ভুগছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেছেন, এ দুর্ভিক্ষ পুরোপুরি ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের পরিকল্পিত বাধার কারণে ফিলিস্তিনি অঞ্চলটিতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো যায়নি।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের দাবি, ‘গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।’

ইসরায়েল আইপিসি প্যানেলের প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেছে, একটি স্বার্থান্বেষী সংস্থার মাধ্যমে হামাসের প্রচার করা মিথ্যা তথ্যের ওপর ভর করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি অঞ্চলটির মানবিক পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে বলে কয়েক মাস ধরে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক করে আসছিল।

গতকাল শুক্রবারের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে আইপিসি বলেছে, ১৫ আগস্ট নাগাদ গাজা উপত্যকার গাজাসিটিতে দুর্ভিক্ষ (আইপিসি ধাপ ৫) নিশ্চিত হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে যৌক্তিক প্রমাণ আছে। গাজাসিটি গাজা উপত্যকার প্রায় ২০ শতাংশজুড়ে বিস্তৃত।

আইপিসির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গাজাসিটি এখন খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সূচকে পঞ্চম ধাপে আছে। এটি এই সূচকের সবচেয়ে মারাত্মক ও সর্বোচ্চ স্তর। আইপিসি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, যখন পরিবারগুলো সব ধরনের চেষ্টা করেও খাবার বা অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে পারে না, তখনই আসে পঞ্চম ধাপ। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিস এলাকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে আইপিসি। এতে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ফিলিস্তিনি অঞ্চলের ওপর দুর্ভিক্ষের প্রভাব পড়বে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘২২ মাসের অবিরাম সংঘাতে গাজা উপত্যকার পাঁচ লাখের বেশি মানুষ এখন অনাহার, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর মতো ভয়াবহ সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।’