ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যর্থতায় পদত্যাগ করলেন ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজায় সামরিক আগ্রাসন ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের ঘটনায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছেন নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসপার ফেল্ডক্যাম্প।
গত শুক্রবার কেন্দ্র-ডানপন্থি নিউ সোস্যাল কন্ট্রাক্ট দলের এই নেতা জানান, তিনি অর্থবহ পদক্ষেপে ঐকমত্য আনতে পারেননি এবং মন্ত্রিসভায় তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন। খবর আনাদোলুর।
ফেল্ডক্যাম্প ইসরায়েলের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন-গভিরের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেন এবং নৌবাহিনীর জাহাজের যন্ত্রাংশের তিনটি রপ্তানি অনুমতি বাতিল করেন। তিনি সতর্ক করেন, গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই অস্ত্র অবাঞ্ছিত উদ্দেশে ব্যবহৃত হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি গাজায় ইসরায়েলি হামলা, পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি ই-১ নির্মাণ এবং পূর্ব জেরুজালেমের দখলদারিত্ব দেখছি। এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া আর দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।’
ফেল্ডক্যাম্পের পদত্যাগের পর তার দলের সব মন্ত্রী ও রাষ্ট্রমন্ত্রীও সংহতি জানিয়ে সরে দাঁড়ান। এরফলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা চলাকালীন ইউরোপীয় ইউনিয়নে কূটনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হলো।
ডাচ পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিল। ফেল্ডক্যাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইসরায়েলের বাণিজ্য চুক্তি স্থগিতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তবে জার্মানির বিরোধিতায় তা আটকে যায়। এতে তিনি হতাশ হন এবং নেদারল্যান্ডসকে এককভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিও জোরদার হয়।
গবেষণা বলছে, রটারডাম বন্দরে প্রায়ই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ নিয়ে জাহাজ ভিড়ে, যা পরে ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহৃত হয়। এসব এফ-৩৫ বিমানের আঘাতে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে নেদারল্যান্ডস ২১ দেশের সঙ্গে যৌথভাবে ইসরায়েলের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বলে নিন্দা জানায়।
