ইয়েমেনের ক্লাস্টার মিউনিশন ব্যবহারে দুশ্চিন্তায় ইসরায়েল
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার মিউনিশনযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে হুথি আনসার-আল্লাহ সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। ২২ আগস্ট রাজধানী তেলআবিবে চালানো হামলায় এ ধরনের মারাত্মক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ। কয়েক স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকার পরও ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠেকাতে ব্যর্থ হন তারা। মূলত চার ধরনের প্রতিরক্ষা ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলে আঘাত হানে ইয়েমেনের ছোড়া মিসাইলটি। যেটি থামাতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন প্রযুক্তির থাড, আলোচিত আয়রন ডোম, অ্যারো এবং ডেভিডস স্লিং-এর মতো শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখনই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তেলআবিব। এরপরই আলোচনায় আসে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত মিসাইল। প্রায় দুই বছরের সংঘাতে এবারই প্রথম ক্লাস্টার মিসাইল ব্যবহারের নজির গড়ল ইয়েমেনি বাহিনী। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যালিস্টিক মিসাইলের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে আধুনিক এ সমরাস্ত্র। ভূমি থেকে প্রায় ৭-৮ হাজার মিটার উচ্চতায় ছোট ছোট ওয়ারহেড বা সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয় ক্লাস্টার বোমা। যা আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেশ কিছু ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বিশ্লেষণ বলছে, ক্লাস্টার বোমার এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত হওয়ার কারণে ইয়েমেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয় আইডিএফ।
